Welcome to DailyUpdate
MCQ | পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় (তৃতীয় অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Geography Prithibi Pristthe Kono Sthaner Obosthan Nirnoy MCQ Question and Answer :
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]
- পৃথিবীকে উত্তর ও দক্ষিণ গোলার্ধে ভাগ করেছে—
(B) কর্কটক্রান্তিরেখা
(C) মকরক্রান্তিরেখা
(D) মেরুবৃত্তরেখা
Ans: (A) নিরক্ষরেখা
- উত্তর অক্ষরেখায় অবস্থিত স্থানের প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ –
(B) 0°
(C) 45° দক্ষিণ
(D) 45°30″ পশ্চিম
Ans: (C) 45° দক্ষিণ
- দিন ও রাতের মধ্যে উষ্ণতার প্রসর সর্বাপেক্ষা কম যে অক্ষরেখা বরাবর –
(A) নিরক্ষরেখা
(B) কর্কটক্রান্তিরেখা
(C) মকরক্রান্তিরেখা
(D) কুমেরুবৃত্তরেখা
Ans: (A) নিরক্ষরেখা
- আন্তর্জাতিক তারিখরেখা অ্যালুসিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছে বাঁকানো হয়েছে—
(A) 11° পূর্বে
(B) 11° পশ্চিমে
(C) 7° পূর্বে
(D) 7° পশ্চিমে
Ans: (D) 7° পশ্চিমে
- সুমেরুতে ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ—
(A) 0°
(B) 90° উত্তর
(C) 90° দক্ষিণ
(D) 180°
Ans: (B) 90° উত্তর
- সর্বোচ্চ অক্ষাংশের মান—
(A) 90°
(B) 100°
(C) 175°
(D) 180°
Ans: 90°
- বিষুবরেখায় ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ হল-
(A) 0°
(B) 90°
(C) 60°
(D) 45°
Ans: (A) 0°.
- ভূপৃষ্ঠের মাঝবরাবর উত্তর দক্ষিণে বিস্তৃত কাল্পনিক অক্ষরেখাটি হল-
(A) কর্কটক্রান্তি রেখা
(B) মূলমধ্যরেখা
(C) নিরক্ষরেখা
(D) মকরক্রান্তি রেখা
Ans: (B) মূলমধ্যরেখা।
প্রশ্ন: পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিমে 0° কোণে কাল্পনিকভাবে চলে যাওয়া রেখাটিকে কী বলা হয়?
ক) মূল মধ্যরেখা
খ) কর্কটক্রান্তি
গ) মকরক্রান্তি
ঘ) নিরক্ষরেখাউত্তর: ঘ) নিরক্ষরেখা
প্রশ্ন: দুটি ভিন্ন স্থান এবং তাদের বিপরীত অবস্থানের (antipodal) মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত?
ক) 6 ঘণ্টা
খ) 12 ঘণ্টা
গ) 24 ঘণ্টা
ঘ) 30 ঘণ্টাউত্তর: খ) 12 ঘণ্টা
- দ্রাঘিমারেখাগুলির আকৃতি –
(A) বৃত্তাকার
(B) অর্ধবৃত্তাকার
(C) আয়তাকার
(D) সরলরৈখিক
Ans: (B) অর্ধবৃত্তাকার।
- কলকাতার অক্ষাংশ হল –
(A) 22°34´22´´ উত্তর
(B) 23°30´30´´ উত্তর
(C) 22°34´22´´ দক্ষিণ
(D) 23°30´30´´ দক্ষিণ
Ans: (A) 22°34´22´´ উত্তর।
- অক্ষরেখার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল-
(A) সর্বোচ্চ অক্ষরেখার মান 0°
(B) প্রতিটি অক্ষরেখা মহাবৃত্ত
(C) অক্ষরেখাগুলি পরস্পরের সমান্তরাল
(D) প্রতিটি অক্ষরেখার পরিধি সমান
Ans: ( c) অক্ষরেখাগুলি পরস্পরের সমান্তরাল।
- 1° অন্তর পৃথিবীতে মোট অক্ষরেখার সংখ্যা –
(A) 178
(B) 179
(C) 180
(D) 181 টি
Ans: (A) 178.
- পশ্চিম গোলার্ধ থেকে পূর্ব গোলার্ধে যেতে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা অতিক্রম করলে দিন-
(A) কমে
(B) বাড়ে
(C) একই থাকে
(D) দ্বিগুণ হয়
Ans: (B) বাড়ে।
- কলকাতা ও এলাহাবাদের মধ্যে স্থানীয় সময়ের পার্থক্য হয়—
(A) 20 মিনিট
(B) 22 মিনিট
(C) 24 মিনিট
(D) 26 মিনিট
Ans: 24 মিনিট
শ্ন: কোনো স্থানের দ্রাঘিমাংশ (Longitude) নির্ণয় করতে কোন রেখা ব্যবহার করা হয়?
ক) মূলমধ্যরেখা (Prime Meridian)
খ) 180° দ্রাঘিমারেখা
গ) নিরক্ষরেখা (Equator)
ঘ) কোনোটা নয়উত্তর: ক) মূলমধ্যরেখা
- দুপুর 12 টাকে প্রকাশ করা হয়—
(A) 12 pm
(B) 12 am
(C) 12
(D) কোনোটিই নয়
Ans: 12 pm
- কলকাতা ও গ্রিনিচের প্রমাণ সময়ের পার্থক্য –
(A) 5 ঘণ্টা
(B) 5 ঘণ্টা 30 মিনিট
(C) 6 ঘণ্টা
(D) 6 ঘণ্টা 30 মিনিট
Ans: 5 ঘণ্টা 30 মিনিট
- দিন ও রাত্রির মধ্যে উষ্ণতার প্রসর সর্বাপেক্ষা কম যে অক্ষরেখা বরাবর, তা হল-
(A) নিরক্ষরেখা
(B) কর্কটক্রান্তি রেখা
(C) মকরক্রান্তি রেখা
(D) মেরুবৃত্ত রেখা
Ans: (A) নিরক্ষরেখা।
সংক্ষিপ্ত রিভিশন | পৃথিবীর পৃষ্ঠে অবস্থান নির্ণয় (অধ্যায় ৩) – নবম শ্রেণীর ভূগোল
WB Class 9 Geography – “Prithibi Pristhe Kono Sthaner Obosthan Nirnoy”
প্রশ্ন ও উত্তর (VSAQ)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 1]
- নিরক্ষরেখার মান কত?
Ans: শূন্য ডিগ্রী।
- নিরক্ষরেখার অপর নাম কি?
Ans: বিষুবরেখা।
- ভারতের প্রমাণ সময় এর দ্রাঘিমা কত?
Ans: ৮২ ডিগ্রী ৩০ মিনিট পূর্ব।
- কোন স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত?
Ans: ১২ ঘন্টা।
- দ্রাঘিমারেখাগুলি নিরক্ষরেখাকে কত ডিগ্রি কোণে ছেদ করে?
Ans: দ্রাঘিমারেখাগুলি নিরক্ষরেখাকে 90° কোণে ছেদ করেছে।
- মূলমধ্যরেখার ঠিক বিপরীত দিকে অবস্থিত দ্রাঘিমারেখার মান কত?
Ans: মূলমধ্যরেখার ঠিক বিপরীত দিকে অবস্থিত দ্রাঘিমারেখার মান হল 180°।
- মূলমধ্যরেখার ডানদিকের অংশটি কোন গোলার্ধে অবস্থিত?
Ans: মূলমধ্যরেখার ডানদিকের অংশটি পূর্ব গোলার্ধ।
- বিষুবরেখায় ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ কত?
Ans: বিষুবরেখায় ধ্রুবতারার উন্নতি কোণ হল 0°।
- কলকাতার দ্রাঘিমা কত?
Ans: কলকাতার দ্রাঘিমা হল 88°30´ পূর্ব।
- বিষুব রেখা কোন্ অক্ষরেখার নাম?
Ans: নিরক্ষরেখা।
- নিরক্ষীয় অঞ্চলের তাপমাত্রা কেমন?
Ans: গড়ে ২৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
- আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার মান কত?
Ans: ১৮০ ডিগ্রী দ্রাঘিমা।
- মূলমধ্যরেখাকে কোন্ শহরের উপর দিয়ে টানা হয়েছে?
Ans: লন্ডনের গ্রীনীচ।
- কোন্ রেখা পৃথিবীর পূর্ব-পশ্চিম গোলার্ধে ভাগ করেছে?
Ans: মূলমধ্যরেখা।
- মূলমধ্যরেখার মান কত?
Ans: শূন্য ডিগ্রী।
- সর্বোচ্চ অক্ষাংশের মান কত?
Ans: ৯০ ডিগ্রী।
- সর্বনিম্ন অক্ষাংশের মান কত?
Ans: শূন্য ডিগ্রী।
- সর্বোচ্চ দ্রাঘিমার মান কত?
Ans: ১৮০ ডিগ্রী।
সংক্ষিপ্ত রিভিশন | পৃথিবীর পৃষ্ঠে অবস্থান নির্ধারণ (অধ্যায় ৩) – নবম শ্রেণীর ভূগোল
WB Class 9 Geography – “Determining the Location of a Place on Earth”
প্রশ্ন ও উত্তর (SAQ – Short Answer Questions)
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 2]
প্রশ্ন: মূলমধ্যরেখা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর:
মূলমধ্যরেখা হলো একটি কাল্পনিক দ্রাঘিমারেখা যা লন্ডনের গ্রিনিচ শহরের মধ্য দিয়ে উত্তরের উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণের দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত গিয়ে পৃথিবীকে পূর্ব ও পশ্চিমে ভাগ করে।
প্রশ্ন: দ্রাঘিমারেখা কী?
উত্তর:
দ্রাঘিমারেখা হলো ভূমধ্যরেখার উপর অর্ধবৃত্তাকার কাল্পনিক রেখা, যা উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত চলে এবং পৃথিবীকে পূর্ব ও পশ্চিমে ভাগ করে।উদাহরণ: মূলমধ্যরেখা (Prime Meridian) হলো একটি প্রধান দ্রাঘিমারেখা।
- ছায়াবৃত্ত বলতে কী বোঝো?
Ans: পৃথিবী আকৃতিতে গোল, তাই পৃথিবীর যে দিকটি সূর্যের সামনে থাকে সেদিকে দিন এবং তার বিপরীত দিকে রাত হয়। এই দিন এবং রাতের মাঝখানের স্থানটিকে ছায়াবৃত্ত বলে।
- ভৌগলিক জালক কাকে বলে?
Ans: মানচিত্রে কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয়ের জন্য জন্য অসংখ্য অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা দিয়ে ভূ-জালক তৈরি করা হয় ও ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত যেকোন স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। সমতল কাগজে অঙ্কিত মানচিত্রের অক্ষরেখাগুলো সমান্তরালভাবে পূর্বপশ্চিমে বিস্তৃত থাকে, দ্রাঘিমারেখাগুলো সুমেরু ও কুমেরু বিন্দুতে পরস্পর মিলিত না হয়ে Ans:দক্ষিণে বিস্তৃত হয়।
- অক্ষাংশ কাকে বলে?
Ans: পৃথিবীপৃষ্ঠে কোন স্থান, নিরক্ষরেখা থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু পর্যন্ত কল্পিত সরলরেখার সঙ্গে যে কোণ তৈরি করে, তাই হলই স্থানের অক্ষাংশ। নিরক্ষরেখা থেকে উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোন স্থান এবং নিরক্ষীয় তলের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলে।
- প্রতিপাদ স্থান কাকে বলে?
Ans: ভূপৃষ্ঠের উপর অবস্থিত কোন স্থান বা বিন্দু থেকে একটি কাল্পনিক ব্যাস পৃথিবীর ভূকেন্দ্র ভেদ করে বিপরীত দিকে ভূপৃষ্ঠকে যে বিন্দুতে স্পর্শ করে, সেই বিন্দুকে প্রথম বিন্দুটির প্রতিপাদ স্থান বলে।
প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কী?
উত্তর:
আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা হলো একটি কাল্পনিক রেখা, যা পৃথিবীর মানচিত্রে প্রশান্ত মহাসাগরের উপর দিয়ে প্রায় 180° দ্রাঘিমারেখা অনুসরণ করে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত চলে।মূল কাজ:
-
এটি পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম গোলার্ধের মধ্যে তারিখ বা দিন ভাগ করার জন্য ব্যবহার হয়।
-
টীকা: AM এবং PM
ব্যাখ্যা:
একটি পূর্ণ দিনকে ২৪ ঘণ্টায় ভাগ করা হয়। দিনের মধ্যবর্তী সময়, অর্থাৎ দুপুর 12টা (মধ্যাহ্ন) কে কেন্দ্র করে সময়কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়:-
AM (Ante Meridiem): মধ্যাহ্নের পূর্ববর্তী সময়।
-
PM (Post Meridiem): মধ্যাহ্নের পরবর্তী সময়।
সহজভাবে বললে: সকাল 12টা পর্যন্ত AM এবং দুপুর 12টার পর PM।
-
- সময় অঞ্চল কাকে বলে?
Ans: সময় অঞ্চল হল পৃথিবীর উপরের এক একটি নির্দিষ্ট এলাকা যেখানকার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলের স্থানীয় সময় একই। প্রতি 15° দ্রাঘিমার পার্থক্যে পাশাপাশি দুটো সময় অঞ্চলের সময় ব্যবধান 1 ঘণ্টা করে হয়ে থাকে।
- অক্ষরেখার প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
Ans: অক্ষরেখার প্রধান দুটি বৈশিষ্ট্য
ক) প্রত্যেকটি অক্ষরেখা পূর্ণবৃত্ত এবং পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত।
খ) অক্ষরেখাগুলি নিরক্ষরেখার সমান্তরালে অবস্থিত, এজন্য একই অক্ষরেখায় অবস্থিত যেকোনো স্থান থেকে নিরক্ষরেখার দূরত্ব সর্বদা সমান থাকে।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখামূলক | পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় (তৃতীয় অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Geography Prithibi Pristthe Kono Sthaner Obosthan Nirnoy Question and Answer :
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 3]
- সমাক্ষরেখা কাকে বলে?
Ans: ভূগােলকের ওপর একই অক্ষাংশবিশিষ্ট স্থান বিন্দুগুলিকে পরপর যুক্ত করে যে রেখাটির সৃষ্টি হয়, তাকে সমাক্ষরেখা বলে। অর্থাৎ, সমান অক্ষাংশবিশিষ্ট রেখাকে সমাক্ষরেখা বলা হয় এবং একই সমাক্ষরেখার ওপর অবস্থিত প্রতিটি স্থানের অক্ষাংশ একই (সমান)।
- অক্ষাংশ (Latitude) কাকে বলে?
Ans: উভয় গােলার্ধে নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে পৃথিবীর কোনাে স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলে। অর্থাৎ, নিরক্ষরেখার উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনাে স্থান পৃথিবীর নিরক্ষরেখা কেন্দ্রে নিরক্ষীয় তলের সঙ্গে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে অক্ষাংশ বলে। উদাহরণস্বরূপ- কলকাতার অক্ষাংশ 22°34′ উত্তর বলতে বােঝায় কলকাতা নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে 22°34′ কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত।
- দ্রাঘিমা (Longitude) কাকে বলে?
Ans: মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্ব ও সুমেরু পশ্চিমে কোনাে স্থানের নিরক্ষীয়তল বরাবর কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা (Longitude) বলে। অর্থাৎ, পৃথিবীর কেন্দ্রে মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্বে ও পশ্চিমে কোনাে স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা বলে। উদাহরণস্বরূপ- কুমেরু কলকাতার দ্রাঘিমাংশ ৪৪°30′ পূর্ব কৌণিক দূরত্বের বলতে বােঝায় কলকাতা নিরক্ষীয় সাহায্যে দ্রাঘিমা নির্ণয় তল বরাবর মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্বে ৪৪°30′ কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত।
- 180° পূর্ব ও 180° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখাকে কেন একই দ্রাঘিমারেখা বলা হয়?
Ans: 180° পূর্ব ও 180° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা দুটি একই স্থানে অবস্থিত বলে এই দ্রাঘিমারেখা দুটিকে একই দ্রাঘিমারেখা বলে পৃথিবীর আয়তাকার মানচিত্রে এই রেখা দুটি অঙ্কন করা যায়, কিন্তু ভূ-গােলকে একটি দ্রাঘিমারেখার দ্বারাই উভয় রেখাদ্বয়কে বােঝানাে হয়।
- রৈখিক দূরত্ব (Linear Distance) কাকে বলে?
Ans: কোনাে সমতল জায়গায় দুটি স্থানের দূরত্ব সােজাসুজি ফিতে বা দড়ি দিয়ে মাপার পর ওই মাপটিকে সেন্টিমিটার, মিটার, কিলােমিটার ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এইভাবে দূরত্ব প্রকাশ করাকে রৈখিক দূরত্ব (Linear Distance) বলে।
- ক্রোনােমিটার (Chronometre) কী ?
Ans: ক্রোনােমিটার হল সময় নির্ণয়কারী এক বিশেষ ধরনের ঘড়ি, যা জাহাজের নাবিকদের কাজে লাগে। এই ঘড়ি গ্রিনিচের সময়কেই সূচিত করে, তবে এটি যে-কোনাে দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময় অনুসারে ঠিক করা যায়। সাধারণত নাবিকরা এর সাহায্যে গ্রিনিচের সময় জেনে জাহাজের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন।
- সেক্সট্যান্ট কী?
Ans: সেক্সট্যান্ট হল সূর্যের সর্বোচ্চ উন্নতি কোণ অর্থাৎ, মধ্যাহ্ন (দুপুর 12টা) নির্ণয়কারী অক্ষাংশ পরিমাপক যন্ত্র। এই যন্ত্রে একটি শক্তিশালী দূরবিন লাগানাে থাকে। কোনাে স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করতে হলে ধ্রুবতারা (উত্তর গােলার্ধ) বা হ্যাডলির অকট্যান্ট (দক্ষিণ গােলা) নক্ষত্রের অভিমুখে রাখা হয়। এই দুই নক্ষত্রের উন্নতি কোণ নির্দিষ্ট স্থানটির অক্ষাংশগত অবস্থান নির্দেশ করে।
- একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত জায়গাগুলির স্থানীয় সময় এক হয় কেন?
Ans: পৃথিবী 24 ঘণ্টায় একবার সূর্যকে পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে। তাই প্রতিটি দ্রাঘিমারেখাই 24 ঘন্টায় একবার করে সূর্যের সামনে আসে। সূর্য যখন যে দ্রাঘিমারেখার উপর অবস্থান করে তখন সেখানে লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং সেই দ্রাঘিমার সর্বত্র মধ্যাহ্ন সূচিত হয়। এই মধ্যাহ্ন অনুসারে ওই দ্রাঘিমার স্থানীয় সময় সূচিত হয়। তাই একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত জায়গাগুলির স্থানীয় সময় এক হয়।
- 180° দ্রাঘিমারেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা বলে কেন?
Ans: যে কাল্পনিক রেখার সাহায্যে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের দিন বা তারিখ নির্ণয় করা হয়, সেটি হল আন্তর্জাতিক তারিখরেখা। 180° দ্রাঘিমারেহা বরাবর মোটামুটিভাবে অনুসরণ করে এই রেখার প্রবর্তন করা হয়। এই রেখাটি পৃথিবীর পশ্চিম ও পূর্ব গোলার্ধের তারিখ বিভাজনের কাজ করে। 180° দ্রাঘিমারেখাকে পূর্ব বা পশ্চিম দিক থেকে অতিক্রম করলে একদিন বেড়ে বা কমে যায় বলে এই রেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা হিসেবে গণ্য করা হয়।
- নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত (Great Circle) বলে কেন?
Ans: পৃথিবীর ওপর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর মাঝ বরাবর ও সমদূরত্বে পূর্ব-পশ্চিমে যে রেখাটি কল্পনা করা হয়েছে, তাকে রক্ষরেখা বলে। এটি একটি পূর্ণবৃত্ত এবং সবচেয়ে বড়াে পরিধির বৃত্ত। সেইজন্য নিরক্ষবৃত্তকে মহাবৃত্ত বলে। মহাবৃত্ত বরাবর পৃথিবীকে কাল্পনিকভাবে কাটলে পৃথিবী সমান দুইভাগে বিভক্ত হবে। মহাবৃত্তের অক্ষাংশ ০° ।
রচনাধর্মী বা বিশ্লেষণধর্মী | পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় (তৃতীয় অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল বড় প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Geography Prithibi Pristthe Kono Sthaner Obosthan Nirnoy Question and Answer :
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 5]
WB Class 9 Geography – Determining the Location of a Place on Earth (Chapter 3)
রচনাধর্মী / বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর (প্রতিটি প্রশ্নের মান: 5)
1. অক্ষরেখার সাহায্যে পৃথিবীকে বিভিন্ন তাপমন্ডলে ভাগ করার পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:
পৃথিবীর মেরুরেখা 66½° কোণে অবস্থান করে, যার কারণে পৃথিবীর সব স্থানে সূর্যের আলো সমান কোণে পড়ে না। কোথাও সূর্য আলো লম্বভাবে আসে, কোথাও তীর্যকভাবে, আবার কোথাও অত্যন্ত তীর্যকভাবে। ফলে বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রার পার্থক্য সৃষ্টি হয়।
এই তাপমাত্রার পার্থক্যের ভিত্তিতে পৃথিবীকে তিনটি প্রধান তাপমন্ডলে ভাগ করা যায়:
-
উষ্ণমন্ডল (Torrid Zone):
-
অবস্থান: 0° থেকে 23½° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ।
-
বৈশিষ্ট্য: সারা বছর সূর্যালোক প্রায় লম্বভাবে পড়ে, তাই এই অঞ্চলের তাপমাত্রা অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি।
-
-
নাতিশীতোষ্ণ মন্ডল (Temperate Zone):
-
অবস্থান: উত্তর গোলার্ধে কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে সুমেরু বৃত্ত পর্যন্ত, দক্ষিণ গোলার্ধে মকরক্রান্তি থেকে কুমেরু বৃত্ত পর্যন্ত।
-
বৈশিষ্ট্য: সূর্যের আলো লম্বভাবে বা তীর্যকভাবে আসে না। গ্রীষ্মকাল অতিরিক্ত গরম হয় না, শীতকাল অতিরিক্ত ঠাণ্ডা হয় না।
-
-
হিমমন্ডল (Frigid Zone):
-
অবস্থান: উত্তর গোলার্ধে সুমেরু থেকে 66½° অক্ষাংশ পর্যন্ত, দক্ষিণ গোলার্ধে কুমেরু থেকে 66½° অক্ষাংশ পর্যন্ত।
-
বৈশিষ্ট্য: সূর্যরশ্মি অত্যন্ত তীর্যকভাবে পড়ে, ফলে তাপমাত্রা খুব কম থাকে। হিমমন্ডলকে আরও দুই ভাগে ভাগ করা হয়:
-
উত্তর হিমমন্ডল: উত্তর মেরু থেকে সুমেরু বৃত্ত পর্যন্ত।
-
দক্ষিণ হিমমন্ডল: দক্ষিণ মেরু থেকে কুমেরু বৃত্ত পর্যন্ত।
-
-
2. টোকিও থেকে কলকাতায় ইমেল পাঠানোর সময় নির্ণয়
প্রশ্ন:
২০১৬ সালের ১ মার্চ মঙ্গলবার ভোর ৩টায় টোকিও (139°45´ পূর্ব) থেকে ইমেল কলকাতায় (88°24´ পূর্ব) পাঠানো হলে কলকাতায় কোন দিন ও সময়ে পৌঁছায়?
সমাধান:
- দ্রাঘিমার পার্থক্য = 139°45´ – 88°24´ = 51°21´
- ১° দ্রাঘিমার জন্য সময় পার্থক্য = ৪ মিনিট
- তাই সময় পার্থক্য = 51°21´ × ৪ = 205 মিনিট 24 সেকেন্ড ≈ 3 ঘণ্টা 25 মিনিট 24 সেকেন্ড
- কলকাতা পূর্বদিকে কম এগিয়ে → কলকাতার সময় = 3:00 AM – 3:25:24 = 11:34:36 PM (ফলস্বরূপ ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, সোমবার রাত)
উত্তর: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, সোমবার রাত ১১:৩৪:৩৬
3. ওয়াশিংটন থেকে এলাহাবাদে টেলিগ্রামের সময় নির্ণয়
প্রশ্ন:
ওয়াশিংটন (77° পশ্চিম) থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৮, রাত ৮:৩০ টায় একটি টেলিগ্রাম এলাহাবাদে (88°30´ পূর্ব) পাঠানো হলে, ১৫ মিনিট সময় নিলে কখন পৌঁছায়?
সমাধান:
-
দ্রাঘিমার পার্থক্য = 77° + 88°30´ = 165°30´
-
১° দ্রাঘিমার জন্য সময় পার্থক্য = ৪ মিনিট
-
সময় পার্থক্য = 165°30´ × ৪ = 662 মিনিট = 11 ঘণ্টা 2 মিনিট
-
এলাহাবাদ ওয়াশিংটনের পূর্বে → সময় = 8:30 PM + 11:02 = 7:32 AM (১ জানুয়ারি ১৯৯৯)
-
টেলিগ্রাম পৌঁছাতে 15 মিনিট লাগে → 7:32 AM + 15 মিনিট = 7:47 AM
উত্তর: ১ জানুয়ারি ১৯৯৯, সকাল ৭:৪৭
✅ বিশেষ টিপস:
- উষ্ণতা অনুযায়ী তাপমন্ডল মনে রাখার সহজ উপায়: উষ্ণমন্ডল → মধ্যরেখা, নাতিশীতোষ্ণ → মধ্যম, হিমমন্ডল → মেরু।
- সময় পার্থক্য মনে রাখার ট্রিক: ১° দ্রাঘিমা = ৪ মিনিট। পূর্বদিকে সময় বাড়ে, পশ্চিমদিকে কমে।
- লিপ ইয়ার সমস্যা সমাধান: ফেব্রুয়ারি ২৯ তারিখ থাকে → সেই অনুযায়ী হিসাব করতে হবে।
West Bengal Class 9th Geography Suggestion 2025 WBBSE | Class 9 Geography Suggestion 2025 | পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ২০২৫
নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ২০২৫ – Class 9 Geography Suggestion 2025 :
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – আবহবিকার (পঞ্চম অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – দুর্যোগ ও বিপর্যয় (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভারতের সম্পদ (সপ্তম অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – পশ্চিমবঙ্গ (অষ্টম অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – মানচিত্র ও স্কেল (নবম অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – আবহবিকার (পঞ্চম অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – দুর্যোগ ও বিপর্যয় (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভারতের সম্পদ (সপ্তম অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – পশ্চিমবঙ্গ (অষ্টম অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – মানচিত্র ও স্কেল (নবম অধ্যায়) Click Here