পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Geography Prithibir Gotisomuho Question and Answer

প্রথম শিরোনাম (Unique Version):
পৃথিবীর গতিসমূহ অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্নোত্তর | নবম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় Class 9 Geography Motion of Earth Q&A

দ্বিতীয় শিরোনাম (Unique Version):
WB Class 9 Geography MCQ – পৃথিবীর গতিসমূহ প্রশ্ন ও উত্তর | নবম শ্রেণীর ভূগোল বহু নির্বাচনী প্রশ্নোত্তর


🌍 MCQ | পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়)

নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীর গতিসমূহ অধ্যায় MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Geography Motion of Earth Multiple Choice Q&A


✅ গুরুত্বপূর্ণ MCQ প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন 1: পৃথিবীর অনুসূর অবস্থানের দিনটি হল—
(A) 3 জানুয়ারি
(B) 4 জানুয়ারি
(C) 21 মার্চ
(D) 23 সেপ্টেম্বর
👉 Ans: (A) 3 জানুয়ারি


প্রশ্ন 2: মকরসংক্রান্তিতে মকরক্রান্তিরেখায় সূর্যরশ্মির সর্বাধিক পতনকোণ হয়—
(A) 90°
(B) 66.5°
(C) 47°
(D) 43°
👉 Ans: (A) 90°


প্রশ্ন 3: অনুসূর অবস্থানে সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে দুরত্ব থাকে—
(A) 15 কোটি কিমি
(B) 14 কোটি কিমি
(C) 15.20 কোটি কিমি
(D) 14.70 কোটি কিমি
👉 Ans: (D) 14.70 কোটি কিমি


প্রশ্ন 4: অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে গ্রীষ্মকাল শুরু হয়—
(A) জুন মাসে
(B) জুলাই মাসে
(C) ডিসেম্বর মাসে
(D) সেপ্টেম্বর মাসে
👉 Ans: (C) ডিসেম্বর মাসে


প্রশ্ন 5: উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম রাত্রি হয়—
(A) 21 মার্চ
(B) 23 সেপ্টেম্বর
(C) 21 জুলাই
(D) 22 ডিসেম্বর
👉 Ans: (D) 22 ডিসেম্বর


প্রশ্ন 6: বুধের একবার আবর্তনে সময় লাগে—
(A) 55 ঘণ্টা
(B) 58 ঘণ্টা
(C) 58 দিন 15 ঘণ্টা
(D) 59 দিন
👉 Ans: (C) 58 দিন 15 ঘণ্টা


প্রশ্ন 7: অধিবর্ষে সামগ্রিক বছরটি হল—
(A) 363 দিন
(B) 364 দিন
(C) 365 দিন
(D) 366 দিন
👉 Ans: (D) 366 দিন


প্রশ্ন 8: নিরক্ষরেখায় অভিকর্ষের মান সর্বাধিক—
(A) নিরক্ষরেখা
(B) সুমেরুবৃত্ত রেখা
(C) কর্কটক্রান্তি রেখা
(D) মকরক্রান্তি রেখা
👉 Ans: (A) নিরক্ষরেখা


প্রশ্ন 9: ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করো—
(A) 22 ডিসেম্বর থেকে 21 জুন – উত্তরায়ণ
(B) কর্কটসংক্রান্তি – উভয় গোলার্ধে দিনরাত সমান
(C) 22 ডিসেম্বর থেকে 21 জুন – দক্ষিণায়ন
(D) অপসূর অবস্থান প্রায় ১৪ কোটি ৭০ লাখ কিলোমিটার

 👉 Ans: (A) 22 ডিসেম্বর থেকে 21 জুন – উত্তরায়ণ


প্রশ্ন 10: সূর্যের উত্তরায়নের শেষসীমা হল—
(A) মকরক্রান্তি রেখা
(B) কর্কটক্রান্তি রেখা
(C) কুমেরুবৃত্ত রেখা
(D) সুমেরুবৃত্ত রেখা
👉 Ans: (B) কর্কটক্রান্তি রেখা


প্রশ্ন 11: যে অক্ষরেখায় পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের মান সর্বনিম্ন, তা হল—
(A) নিরক্ষরেখা
(B) সুমেরুবৃত্ত রেখা
(C) কর্কটক্রান্তি রেখা
(D) মকরক্রান্তি রেখা
👉 Ans: (A) নিরক্ষরেখা


প্রশ্ন 12: পৃথিবীর অক্ষ তার নিজের কক্ষতলের সঙ্গে যে কোণে হেলে অবস্থান করে, তা হল—
(A) 0°
(B) 90°
(C) 66½°
(D) 23½°
👉 Ans: (C) 66½°


প্রশ্ন 13: সারাবছরই প্রায় দিনরাত্রি সমান—
(A) নিরক্ষীয় অঞ্চলে
(B) সুমেরু অঞ্চলে
(C) কুমেরু অঞ্চলে
(D) মধ্য অক্ষাংশীয় অঞ্চলে
👉 Ans: (A) নিরক্ষীয় অঞ্চলে


প্রশ্ন 14: কলকাতায় পৃথিবীর আবর্তন বেগ ঘণ্টায়—
(A) 1547 কিমি
(B) 1674 কিমি
(C) 0 কিমি
(D) 666 কিমি
👉 Ans: (A) 1547 কিমি


প্রশ্ন 15: পৃথিবীর গতির সংখ্যা—
(A) একটি
(B) দুটি
(C) তিনটি
(D) চারটি
👉 Ans: (B) দুটি


প্রশ্ন 16: নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে যে বছরটি অধিবর্ষ, তা হল—
(A) 1900
(B) 2000
(C) 2100
(D) 2300
👉 Ans: (B) 2000


প্রশ্ন 17: ‘বসন্ত বিষুব’ বলে—
(A) 21 মার্চকে
(B) 21 সেপ্টেম্বরকে
(C) 22 ডিসেম্বরকে
(D) 4 জুলাইকে
👉 Ans: (A) 21 মার্চকে


প্রশ্ন 18: দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে ছোটো রাত হয়—
(A) 21 জুন
(B) 23 সেপ্টেম্বর
(C) 22 ডিসেম্বর
(D) 21 মার্চ
👉 Ans: (C) 22 ডিসেম্বর


প্রশ্ন 19: সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়—
(A) 21 মার্চ
(B) 22 ডিসেম্বর
(C) 23 সেপ্টেম্বর
(D) 21 জুন
👉 Ans: (D) 21 জুন


প্রশ্ন 20: পৃথিবীর অপসূর অবস্থান হয়—
(A) 4 জুলাই
(B) 3 জানুয়ারি
(C) 23 সেপ্টেম্বর
(D) 22 ডিসেম্বর
👉 Ans: (A) 4 জুলাই



🌍 অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়)

WB Class 9 Geography – পৃথিবীর গতিসমূহ সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর (VSAQ)

✅ গুরুত্বপূর্ণ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (VSAQ)

প্রশ্ন 1: পৃথিবীর কোন্ গতির ফলে দিনরাত্রি হয়?
👉 Ans: আবর্তন গতি।


প্রশ্ন 2: পৃথিবীতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হওয়ার প্রকৃত কারণ কী?
👉 Ans: পৃথিবীর আবর্তন।


প্রশ্ন 3: পৃথিবীর আবর্তন গতি না থাকলে কত দিন অন্তর কোনো স্থানে পৃথিবীতে জোয়ারভাটা হত?
👉 Ans: 273 দিন অন্তর।


প্রশ্ন 4: পৃথিবীর আলোকিত ও অন্ধকার অর্ধাংশ যে বৃত্তাকার সীমারেখায় মিলিত হয় তাকে কী বলে?
👉 Ans: ছায়াবৃত্ত।


প্রশ্ন 5: বিষুব অর্থ কী?
👉 Ans: সমান।


প্রশ্ন 6: ‘অরোরা অস্ট্রালিস’ কোথায় দেখা যায়?
👉 Ans: দক্ষিণমেরুতে।


প্রশ্ন 7: আবর্তনের ফলে গতিশীল পদার্থের গতিবিক্ষেপ হয়— এই সুত্রটি কে আবিষ্কার করেন?
👉 Ans: কোরিওলিস, 1835 সালে।


প্রশ্ন 8: কোন্ দিন পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে দূরত্ব সবচেয়ে কম হয়?
👉 Ans: 3 জানুয়ারি।


প্রশ্ন 9: কোন্ গতির জন্য ভূপৃষ্ঠে দিন-রাত্রি সংঘটিত হয়?
👉 Ans: আবর্তন গতির জন্য।


প্রশ্ন 10: ভূপৃষ্ঠের কোথায় বছরে 6 মাস দিন ও 6 মাস রাত্রি হয়?
👉 Ans: দুই মেরু অঞ্চলে।


প্রশ্ন 11:২৫ ডিসেম্বর ‘বড়োদিন’-এ দক্ষিণ গোলার্ধে আবহাওয়া কেমন থাকে?

উত্তর: গরম থাকে।

প্রশ্ন 12: 21 জুন থেকে 22 ডিসেম্বর পর্যন্ত সূর্যের আপাত দক্ষিণমুখী গতিকে কী বলা হয়?
👉 Ans: দক্ষিণায়ন।


সংক্ষিপ্ত উত্তর | নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) | WB Class 9 Geography Motion of Earth SAQ Q&A

  1. দিগন্ত রেখা কাকে বলে?

Ans: এটি একটি কাল্পনিক রেখা। সমুদ্র বা বিশাল প্রান্তরের থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে থাকলে মনে হয় স্থলভাগ বা জলভাগটি আকাশের সঙ্গে একটি বৃত্তচাপীয় সুবিস্তৃত রেখায় মিশে রয়েছে। এই কাল্পনিক রেখাকেই দিগন্ত্রেখা বলা হয়।

  1. পৃথিবী মহাকাশে দ্রুত ঘুরছে, তবু আমরা কেন তা থেকে ছিটকে গিয়ে আলাদা হচ্ছি না?

Ans: পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে ঘূর্ণনের কারণে মহাশূন্যে আবর্তিত হচ্ছে। এর ফলে পৃথিবী পৃষ্ঠে থাকা যেকোনো বস্তু বা প্রাণী বাইরে ছিটকে না গিয়ে অবস্থান করে, কারণ কেন্দ্রের দিকে কার্যকর অভিকর্ষ শক্তি তাদের আকর্ষণ করে ধরে রাখে।

  1. সূর্যের দৈনিক আপাত গতি কাকে বলে? 

Ans: সূর্য তার নিজস্ব কক্ষপথে স্থিত থাকে। পৃথিবী তার অক্ষের চারপাশে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঘূর্ণনের কারণে, আমরা সূর্যকে আকাশে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকে সরতে দেখছি। এই আপাত গতিকে সূর্যের দৈনিক আপাত গতি বলা হয়।

  1. পৃথিবীর আবর্তন গতি কিভাবে সময় নির্ধারণে সাহায্য করে?

Ans: আবর্তন গতিকে আহ্নিক গতি বলা হয়, ‘অহ্ন’ শব্দটির অর্থ হল দিন। নিজের মেরুদণ্ডের চারদিকে একবার সম্পূর্ণ আবর্তন করতে পৃথিবীর সময় লাগে প্রায় 23 ঘণ্টা 56 মিনিট বা প্রায় 1 দিন। পৃথিবীর এই একবার আবর্তনের সময়কে 1 দিন বা 1 অহ্ন ধরা হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে সময় নির্ধারিত হয়।

  1. নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তন বেগ বেশি হয় কেন?

Ans: পৃথিবী অভিকেন্দ্রিক গোলকের আকারের হওয়ায় এর মাঝভাগটি ফোলা এবং মেরুর দিকে সামান্য চেপে আছে। ফলে নিরক্ষরেখার চারপাশের পরিধি সবচেয়ে বেশি, প্রায় ৪০০০০ কিমি। ঘণ্টায় প্রায় ১৬৬৬ কিমি হারে পৃথিবী এই পথ ২৪ ঘণ্টায় অতিক্রম করে, তাই নিরক্ষরেখার কাছাকাছি এক ঘূর্ণন সম্পূর্ণ করতে সর্বাধিক সময় লাগে।

বিশ্লেষণধর্মী | পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Geography Prithibir Gotisomuho Question and Answer :

  1. প্রতি চার বছর অন্তর বছরে একদিন অতিরিক্ত হয় কেন?

Ans: নিজের পরিক্রমণ গতিতে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করার জন্য পৃথিবীর সময় লাগে 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড বা 365 দিন 6 ঘণ্টা। কিন্তু হিসেব করার সুবিধের জন্য আমরা 365 দিনে এক বছর ধরি। এতে প্রতি বছরের প্রায় 6 ঘণ্টা সময় বাড়তি থেকে যায়। এই হিসেবে প্রতি চার বছর অন্তর 6*4 = 24 ঘণ্টা বা পুরো একটা দিন অতিরক্ত হয়। এই বাড়তি সময়ের হিসাব ঠিক রাখার জন্য প্রতি চার বছর অর্থাৎ (365+1) = 366 দিন হয়ে থাকে।

  1. নরওয়েকে নিশীথ সূর্যের দেশ কেন বলে?

Ans: পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতি, উপবৃত্তাকার কক্ষপথ, পৃথিবীর মেরুরেখার সর্বদা একই মুখে অবস্থান প্রভৃতি কারণে মার্চ থেকে জুলাই মাসে উত্তর গোলার্ধে সুমেরুবৃত্তে একটানা দিন থাকে। সুমেরুবৃত্তের উত্তরে অবস্থিত ইউরোপ, ও এশিয়ার কোন কোন স্থানে স্থানীয় সময় অনুসারে গভীর রাত্রিতেও আকাশে সূর্য দেখা যায়। নরওয়েতে মে থেকে জুলাই মাস অব্দি এই গভীর রাত্রে সূর্যালোক দেখা যায় বলে নরওয়েকে নিশীথ সূর্যের দেশ বলে।

  1. কীভাবে কোরিওলিস প্রভাব বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতকে প্রভাবিত করে ব্যাখ্যা করো।

Ans: পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট যে বলের প্রভাবে বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত ও পৃথিবীপৃষ্ঠের যে কোন গতিশীল বস্তুর গতিবিক্ষেপ ঘটে তাকে কোরিওলিস বল বলে। পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতির জন্য নিরক্ষরেখা থেকে উভয় মেরুর দিকে আবর্তনের গতিবেগ ক্রমশ কমতে থাকে। আবর্তন বেগের এই তারতম্যের জন্য কোরিওলিস বলের প্রভাবে বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত প্রভৃতি গতিশীল পদার্থের গতিপথ উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে যায়।

  1. ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে বিজ্ঞানীরা আন্টার্কটিকা অভিযানে যান কেন?

Ans: ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পরে তাই সূর্যের উত্তাপ অনেক বেশি হয় এবং তুলনামূলকভাবে দিনের দৈর্ঘ্য রাতের থেকে বেশি হয়। পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ মেরুকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকারে অবস্থিত চিরতুষারময় মহাদেশের তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালেই হিমাঙ্কের 40° সেলসিয়াস নীচে থাকে, আর শীতকালে তা প্রায় -80° সে ছাড়িয়ে যায়। শীতকালে এখানে ক্রমাগত তুষারপাত এবং তুষার ঝড় হয়। এই আবহাওয়ায় অ্যান্টার্কটিকাতে কোনোরকম বৈজ্ঞানিক গবেষণা সম্ভব হয়না। ফলে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে অর্থাৎ দক্ষিণ গোলার্ধের গ্রীষ্মকালেই বিজ্ঞানীরা এখানে গবেষণা এবং অভিযানে যান।

সংক্ষিপ্ত | পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Geography Prithibir Gotisomuho SAQ Short Question and Answer :

  1. দিগন্ত রেখা কাকে বলে?

Ans: এটি একটি কাল্পনিক রেখা। সমুদ্র বা বিশাল প্রান্তরের থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে থাকলে মনে হয় স্থলভাগ বা জলভাগটি আকাশের সঙ্গে একটি বৃত্তচাপীয় সুবিস্তৃত রেখায় মিশে রয়েছে। এই কাল্পনিক রেখাকেই দিগন্ত্রেখা বলা হয়।

  1. পৃথিবী মহাশূন্যে আবর্তন করছে কিন্তু আমরা ছিটকে বেরিয়ে যাচ্ছি না কেন? 

Ans: পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণে পৃথিবী নিজ অক্ষে মহাশূন্যে আবর্তিত হয়। পৃথিবী পৃষ্ঠে অবস্থিত যেকোনো বস্তু কিংবা প্রাণী পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে থাকা অভিকর্ষ শক্তির প্রভাবে ছিটকে বেরিয়ে যায় না। এই অভিকর্ষ বল পৃথিবীর কেন্দ্রভাগের দিকে যেকোনো বস্তু বা প্রাণীকে আকর্ষণ করে রাখে।

  1. সূর্যের দৈনিক আপাত গতি কাকে বলে? 

Ans: সূর্য নিজ কক্ষপথে স্থির। আহ্নিক গতির সময় পৃথিবী নিজের অক্ষের চারদিকে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে আবর্তন করছে বলে, আপাত দৃষ্টিতে সূর্যকে পূর্বদিক থেকে পশ্চিমদিকের আকাশে গতিশীল বলে মনে হয়। এই গতিকে সূর্যের দৈনিক আপাত গতি বলা হয়।

  1. পৃথিবীর আবর্তন গতি কিভাবে সময় নির্ধারণে সাহায্য করে?

Ans: আবর্তন গতিকে আহ্নিক গতি বলা হয়, ‘অহ্ন’ শব্দটির অর্থ হল দিন। নিজের মেরুদণ্ডের চারদিকে একবার সম্পূর্ণ আবর্তন করতে পৃথিবীর সময় লাগে প্রায় 23 ঘণ্টা 56 মিনিট বা প্রায় 1 দিন। পৃথিবীর এই একবার আবর্তনের সময়কে 1 দিন বা 1 অহ্ন ধরা হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে সময় নির্ধারিত হয়।

  1. নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তন বেগ বেশি হয় কেন?

Ans: পৃথিবী অভিগত গোলক আকৃতির হওয়ায়, এর মঝাখানটা ফোলা আর দুই মেরুর দিকে একটু চাপা। এইজন্য নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর পরিধি সবচেয়ে বেশি, প্রায় 40000 কিমি। ঘণ্টায় 1666 কিমি হারে এই পথ পৃথিবী 24 ঘণ্টায় অতিক্রম করে বলে পৃথিবীকে একটা পাক শেষ করতে হলে নিরক্ষরেখার কাছে সবচেয়ে বেশি জোরে ঘুরতে হয়। এইজন্য নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর আবর্তনের বেগ সবচেয়ে বেশি।

বিশ্লেষণধর্মী | পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Geography Prithibir Gotisomuho Question and Answer :

  1. প্রতি চার বছর অন্তর বছরে একদিন অতিরিক্ত হয় কেন?

Ans: নিজের পরিক্রমণ গতিতে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করার জন্য পৃথিবীর সময় লাগে 365 দিন 5 ঘণ্টা 48 মিনিট 46 সেকেন্ড বা 365 দিন 6 ঘণ্টা। কিন্তু হিসেব করার সুবিধের জন্য আমরা 365 দিনে এক বছর ধরি। এতে প্রতি বছরের প্রায় 6 ঘণ্টা সময় বাড়তি থেকে যায়। এই হিসেবে প্রতি চার বছর অন্তর 6*4 = 24 ঘণ্টা বা পুরো একটা দিন অতিরক্ত হয়। এই বাড়তি সময়ের হিসাব ঠিক রাখার জন্য প্রতি চার বছর অর্থাৎ (365+1) = 366 দিন হয়ে থাকে।

  1. নরওয়েকে নিশীথ সূর্যের দেশ কেন বলে?

Ans: পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতি, উপবৃত্তাকার কক্ষপথ, পৃথিবীর মেরুরেখার সর্বদা একই মুখে অবস্থান প্রভৃতি কারণে মার্চ থেকে জুলাই মাসে উত্তর গোলার্ধে সুমেরুবৃত্তে একটানা দিন থাকে। সুমেরুবৃত্তের উত্তরে অবস্থিত ইউরোপ, ও এশিয়ার কোন কোন স্থানে স্থানীয় সময় অনুসারে গভীর রাত্রিতেও আকাশে সূর্য দেখা যায়। নরওয়েতে মে থেকে জুলাই মাস অব্দি এই গভীর রাত্রে সূর্যালোক দেখা যায় বলে নরওয়েকে নিশীথ সূর্যের দেশ বলে।

  1. কীভাবে কোরিওলিস প্রভাব বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতকে প্রভাবিত করে ব্যাখ্যা করো।

Ans: পৃথিবীর আবর্তনের ফলে সৃষ্ট যে বলের প্রভাবে বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত ও পৃথিবীপৃষ্ঠের যে কোন গতিশীল বস্তুর গতিবিক্ষেপ ঘটে তাকে কোরিওলিস বল বলে। পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতির জন্য নিরক্ষরেখা থেকে উভয় মেরুর দিকে আবর্তনের গতিবেগ ক্রমশ কমতে থাকে। আবর্তন বেগের এই তারতম্যের জন্য কোরিওলিস বলের প্রভাবে বায়ুপ্রবাহ, সমুদ্রস্রোত প্রভৃতি গতিশীল পদার্থের গতিপথ উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে যায়।

  1. ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে বিজ্ঞানীরা আন্টার্কটিকা অভিযানে যান কেন?

Ans: ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পরে তাই সূর্যের উত্তাপ অনেক বেশি হয় এবং তুলনামূলকভাবে দিনের দৈর্ঘ্য রাতের থেকে বেশি হয়। পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ মেরুকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকারে অবস্থিত চিরতুষারময় মহাদেশের তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালেই হিমাঙ্কের 40° সেলসিয়াস নীচে থাকে, আর শীতকালে তা প্রায় -80° সে ছাড়িয়ে যায়। শীতকালে এখানে ক্রমাগত তুষারপাত এবং তুষার ঝড় হয়। এই আবহাওয়ায় অ্যান্টার্কটিকাতে কোনোরকম বৈজ্ঞানিক গবেষণা সম্ভব হয়না। ফলে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে অর্থাৎ দক্ষিণ গোলার্ধের গ্রীষ্মকালেই বিজ্ঞানীরা এখানে গবেষণা এবং অভিযানে যান।

রচনাধর্মী | পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল বড় প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Geography Prithibir Gotisomuho Question and Answer : 

1.  উপযুক্ত চিত্রসহ পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তনের কারণ আলোচনা করো। 

Ans: পৃথিবীতে আলো ও উষ্ণতার উৎস হল সূর্য। ভূপৃষ্ঠে সারাবছর সূর্যরশ্মি সারাবছর সমানভাবে পরে না। এই উষ্ণতার তারতম্যের উপর ভিত্তি করে বছরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে হয় যেটি হল ঋতুর পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন। বিভিন্ন কারণে পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তন ঘটে থাকে, এই কারণগুলি হল –

ক) পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতি – পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতির জন্য ভূপৃষ্ঠে সূর্যরশ্মি কোথাও তির্যকভাবে বা কোথাও লম্বভাবে পরে। তির্যক ও লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মির মধ্যে মধ্যে উত্তাপ এর তারতম্য থাকায় কোথাও শীত কোথাও গ্রীষ্ম ঋতু দেখা যায়।

খ) পৃথিবীর আবর্তন গতি পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্য দিনরাত্রি হয়ে থাকে, এরফলে উষ্ণতার তারতম্য ঘটে ও ঋতু পরিবর্তন হয়। আবর্তন গতি না থাকলে পৃথিবীর অর্ধভাগে চির গ্রীষ্ম ও অপরভাগে চির শীত বিরাজ করত।

গ) পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি  পৃথিবী একটি নির্দিষ্ট উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এটি পরিক্রমণ গতি নামে পরিচিত। এই পরিক্রমণ গতির জন্য ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশে বছরের বিভিন্ন সময়ে সূর্যরশ্মির তারতম্য লক্ষ্য করা যায়। যে কারণে ঋতু পরিবর্তন হয়ে থাকে।

ঘ) পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ কক্ষপথের উপবৃত্তাকার আকৃতির জন্য পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব সারাবছর সমান থাকেনা ফলে উষ্ণতার তারতম্য সৃষ্টি হয়।

2. পৃথিবীর বার্ষিক গতির ফলাফল সচিত্র ব্যাখ্যা করো। 

Ans: পৃথিবী নিজের অক্ষের উপর ঘুরতে ঘুরতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, এই প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে প্রায় 365 দিন 6 ঘণ্টা। এই সময়কে পৃথিবীর বার্ষিক গতি বা পরিক্রমণ গতি বলা হয়। পৃথিবীর এই গতির ফলে বেশকিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়, সেগুলি হল –

ক) সারাবছর ধরে দিন ও রাতের দৈর্ঘ্যের হ্রাস-বৃদ্ধি : সূর্য সারাবছর ধরে নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় ফলে এখানে দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান থাকে। কিন্তু পৃথিবীর অন্য সকল স্থানে দিনরাত্রির সময়ের পার্থক্য দেখা যায়। এর কারণগুলো হল –

পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলক। পৃথিবীর অক্ষ পৃথিবীর কক্ষপথের সাপেক্ষে কোণ করে অবস্থান করে। ফলে কক্ষপথের এক একটি জায়গায় পৃথিবীর এক একটি গোলার্ধ সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে। যখন পৃথিবী যে গোলার্ধে সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে। তখন সেই গোলার্ধে ক্রমশ দিন বড় ও রাত ছোট হয়। অন্য গোলার্ধে বিপরীত অবস্থার সৃষ্টি হয়।

খ) ঋতু পরিবর্তন : পৃথিবী তার কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণকালে পৃথিবীর অবস্থানের উপর নির্ভর করে উষ্ণতার তারতম্যের সৃষ্টি হয়। ফলে ঋতু পরিবর্তন ঘটে। উষ্ণতার উপর ভিত্তি করে পৃথিবীকে কয়েকটি ঋতুতে ভাগ করা হয়েছে। পরিক্রমণ গতির ফলে এই ঋতুগুলির পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন ঘটে যাকে ঋতুপরিবর্তন বলে।

গ) অপসুর ও অনুসুর অবস্থান : পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথের আকৃতির জন্য পৃথিবীতে অপসুর ও অনুসুর অবস্থান দেখা যায়। পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণকালে সূর্য থেকে সর্বাধিক দূরত্বে একবার অবস্থান করে, এই অবস্থানকে বলা হয় অপসুর অবস্থান বলা হয়। যেখানে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে দূরত্ব থাকে 15 কোটি 20 লক্ষ কিমি। আবার সূর্যের একদম কাছাকাছি পৃথিবীর অবস্থানকে বলা হয় অনুসুর অবস্থান। যেখানে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে দূরত্ব থাকে সবচেয়ে কম (14 কোটি 70 লক্ষ কিমি)।

3. পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলাফল ।

Ans: সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত : পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে তার অক্ষের উপর আবর্তন করে বলে, প্রতিদিন পূর্বে সূর্যোদয় এবং পশ্চিমে সূর্যাস্ত ঘটে ।

দিন ও রাত্রির সংঘটন : পৃথিবী সূর্যের সামনে পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করার ফলে পৃথিবীর যে অংশটি সূর্যের সামনে আসে সেই দিকটা দিনের আলো পায় । এর বিপরীত অংশে সূর্যালোকের অভাবে রাত হয় । পৃথিবীতে দিনের অর্ধাংশ ও রাতের অর্ধাংশের বৃত্তাকার সীমারেখাকে ছায়াবৃত্ত বলে ।

দিন ও রাত্রির বিভিন্ন অবস্থা :  সূর্যের সামনে পৃথিবীর ক্রমাগত  আবর্তনের ফলে দিন ও রাত্রির বিভিন্ন অবস্থা যেমন -সূর্যোদয়, ভোর, দুপুর, গোধূলি, সন্ধ্যা এবং মধ্যরাত্রি  প্রভৃতি পরিলক্ষিত হয় ।

 নিয়তবায়ু ও সমুদ্রস্রোতের  দিকবিক্ষেপ :  পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোরিওলিস বল সৃষ্টি হয় যা নিয়তবায়ু এবং সমুদ্রের স্রোতের দিকবিক্ষেপ ঘটায় । ফেরেলের সূত্র অনুসারে, নিয়ত বায়ুপ্রবাহ এবং সমুদ্রের স্রোত উত্তর গোলার্ধের ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধের বাম দিকে  বেঁকে যায়

জোয়ার ভাটার সৃষ্টি : সৌরজগতের প্রতিটি নক্ষত্র একে অপরের প্রতি প্রবলভাবে আকৃষ্ট হয় । চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের জ্যোতিষ্ক হওয়ায় চাঁদের আকর্ষণে পৃথিবীর সমুদ্রের জল স্ফীত হয় এবং জোয়ারের সৃষ্টি হয় । আবর্তনের ফলে পৃথিবীতে কোনো অংশে দিনে দুবার জোয়ার এবং দুবার ভাটা হয়।

সময় নির্ণয় : পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তনে 24 ঘন্টা সময় লাগে । সময় গণনার জন্য এই সময়কালকে ঘণ্টায় ভাগ করে, তার এক ভাগকে ১ ঘন্টা, ১ ঘন্টাকে আবার ৬০ মিনিট এবং ১ মিনিটকে ৬০ সেকেন্ডে ভাগ করা হয় । ফলে, দিনে এবং রাতে উভয় সময়ের হিসেবে সুবিধা হয়েছে ।

উদ্ভিদ ও প্রাণিজগতের সৃষ্টি : পৃথিবীর আবর্তনের ফলে পৃথিবীতে পরিমিত আলো এবং তাপ পাওয়া যায় । ফলস্বরূপ, পৃথিবী উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বিকাশের জন্য অনুকূল পরিবেশের অধিকারী । যদি ঘূর্ণন গতি না থাকে, তাহলে পৃথিবীর এক অর্ধেকে অনির্দিষ্টকাল দিন থাকবে, আর বাকি অর্ধেক জায়গায় অনির্দিষ্টকাল রাত থাকবে । এর ফলে পৃথিবীতে কোন প্রাণ থাকবে না ।  আবর্তনের গতির জন্যই  গাছপালা এবং প্রাণীদের পৃথিবীতে বসবাস সম্ভবপর হয়েছে ।

4. আবর্তন গতি ও পরিক্রমণ গতির পার্থক্য ।

Ans:

আবর্তন গতিপরিক্রমন গতি
১। পৃথিবী তার নিজের অক্ষের চারিদিকে পশ্চিম থকে পূর্বে অবিরাম পাক খাওয়ার গতিকে বলা হয় আবর্তন গতি১। পৃথিবী তার নিজস্ব অক্ষ বা মেরুর চারপাশে একটি নির্দিষ্টপথে, একটি নির্দিষ্ট দিকে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের চারপাশে ঘোরে । পৃথিবীর এই গতিকে পরিক্রমণ গতি বলে ।
২। পৃথিবী তার অক্ষের চারিদিকে একবার পূর্ন আবর্তন করতে সময় নেয় ২৪ ঘন্টা ৫৬ মিনিট  ০৪ সেকেন্ড বা প্রায় ২৪ ঘন্টা । একে সৌরদিন বলে ।২। উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে একবার পূর্ণ  পরিক্রমণ করতে পৃথিবির সময় লাগে ৩৬৫ দিন ০৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট  ৪৬ সেকেন্ড । একে সৌরবছর বলে ।
৩। আবর্তন  গতির সময়ে আপাতদৃষ্টিতে সূর্যকে পূর্ব থকে পশ্চিমে সরতে দেখা যায় । একে সূর্যের আপাত দৈনিক গতি বলে ।৩। পরিক্রমন গতির সময়ে আপাতদৃষ্টিতে সূর্যকে উত্তরদিকে বা দক্ষিণ দিকে সরতে দেখা যায় । একে সূর্যের আপাত বার্ষিক গতি বলে ।
৪। আবর্তন  গতির ফলে পৃথিবীতে পর্যায়ক্রমে দিন-রাত্রি সংঘটিত হয় ।৪। পরিক্রমণ গতির ফলে পৃথিবীতে বছরের বিভিন্ন সময়ে দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে ।
৫। আবর্তন  গতির ফলে পৃথিবীতে বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোতের দিকবিক্ষেপ ঘটে ।৫। পরিক্রমণ গতির ফলে পৃথিবীতে দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্যের হ্রাস-বৃদ্ধির কারণে উত্তাপের তারতম্য ঘটে ও এর ফলে পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তন হয় ।








  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – আবহবিকার (পঞ্চম অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – দুর্যোগ ও বিপর্যয় (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভারতের সম্পদ (সপ্তম অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – পশ্চিমবঙ্গ (অষ্টম অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – মানচিত্র ও স্কেল (নবম অধ্যায়) Click Here

Post a Comment

We’d love to hear your thoughts! Share your comment below.

Previous Post Next Post