গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Geography Grohorupe Prithibi Question and Answer

 

গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Geography Grohorupe Prithibi Question and Answer




গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

Class 9 Geography Grohorupe Prithibi Question and Answer

West Bengal Board Class 9th Geography Notes, Suggestion & Questions-Answers
📘 অধ্যায়: গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়)
📖 বিষয়: নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্নোত্তর

রাজ্য (State)পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)
বোর্ড (Board)WBBSE
শ্রেণী (Class)নবম শ্রেণী (WB Class 9)
বিষয় (Subject)নবম শ্রেণীর ভূগোল (Class 9 Geography)
প্রথম অধ্যায় (Chapter 1)গ্রহরূপে পৃথিবী (Grohorupe Prithibi)
গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal WBBSE Class 9th Geography Grohorupe Prithibi Question and Answer 

MCQ | গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Geography Grohorupe Prithibi MCQ Question and Answer :

  1. পৃথিবীকে বলা হয়—
(A) লাল গ্রহ 
(B) বামন গ্রহ 
(C) নীল গ্রহ 
(D) কোনোটিই নয়

Ans: (C) নীল গ্রহ


2. বর্তমানে সৌরজগতে গ্রহের সংখ্যা –

(A) 3টি 
(B) 5টি 
(C) 7টি 
(D) 8টি
Ans: (D) 8টি

3.দুরবীন যন্ত্র আবিষ্কার করেন—

(A) কেপলার 
(B) গ্যালিলিয়ো গ্যালিলি 
(C) নিউটন 
(D) এডমান্ড হ্যালি
Ans: (B) গ্যালিলিয়ো গ্যালিলি

4.প্রাচীনযুগে মানুষের ধারণা ছিল পৃথিবী –

(A) গোলাকার 
(B) অভিগত গোলাকার 
(C) সমতল 
(D) চৌকো

Ans: (C) সমতল

5. বর্তমানে বামন গ্রহের সংখ্যা—

(A) 5টি 
(B) 6টি 
(C) 4টি 
(D) 3টি
Ans: A

  1. 6.পৃথিবী সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে

(A) প্রথম গ্রহ 
(B) দ্বিতীয় গ্রহ 
(C) তৃতীয় গ্রহ 
(D) চতুর্থ গ্রহ 
Ans: (C) তৃতীয় গ্রহ।

  1. 7সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব প্রায়

(A) 15 কোটি কিমি 
(B) 15.5 কোটি কিমি 
(C) 14.7 কোটি কিমি 
(D) 20 কোটি কিমি 
Ans: (A) 15 কোটি কিমি।

  1. 8পৃথিবীকেন্দ্রিক মতবাদের পক্ষে ছিলেন—

(A) কোপারনিকাস 
(B) অ্যারিস্টটল 
(C) ব্রুনো 
(D) ব্রাহে
Ans: (B) অ্যারিস্টটল

  1. 9 . নিরক্ষরেখায় পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বল-

(A) অনুপস্থিত 
(B) সবচেয়ে কম 
(C) বেশি 
(D) এর কোনোটিই নয় 
Ans: (B) সবচেয়ে কম।

  1. 10. সৌরজগতের কোন গ্রহকে নীলগ্রহ বলে?

(A) শুক্র 
(B) বুধ 
(C) পৃথিবী 
(D) চাঁদ 
Ans: (C) পৃথিবী গ্রহকে নীলগ্রহ বলে।

  1. 11. পৃথিবী সমতল হলে তিনটি লাঠিকে কী রকম দেখাত?
(A) সমান দৈর্ঘ্যের 

(B) একটু লম্বা দৈর্ঘ্যের 
(C) লাঠিগুলি বেঁকে থাকবে 
(D) এর কোনোটিই নয়
Ans: (A) সমান দৈর্ঘ্যের দেখাত।

  1. 12. পৃথিবী গোল তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ হল—

(A) জাহাজের উঁচু মাস্তুলে দাঁড়িয়ে দেখা 
(B) জাহাজে পৃথিবী ভ্রমণ 
(C) মহাকাশ থেকে তোলা আলোকচিত্র 
(D) মাউন্ট এভারেস্ট থেকে পৃথিবীকে দেখা

Ans: (C) মহাকাশ থেকে তোলা আলোকচিত্র

  1. 13. পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি –

(A) বৃত্তাকার 
(B) উপবৃত্তাকার 
(C) অভিগত গোলকের ন্যায় 
(D) আয়তাকার
Ans: (C) অভিগত গোলকের ন্যায়

  1. 14. প্যারিস শহরের অক্ষাংশ –

(A) 26°32′ উত্তর 
(B) 47° উত্তর 
(C) 49° উত্তর 
(D) 75° 03′ উত্তর
Ans: (C) 49° উত্তর

  1. 15. পৃথিবীর গভীরতম অঞ্চল –
(A) মারিয়ানা খাত 

(B) সুন্দা খাত 
(C) সেন্ট লুইস খাত 
(D) কুমেরু অঞ্চল
Ans: (A) মারিয়ানা খাত

  1. 16.পৃথিবীর গোলত্বের প্রমাণ করতে যে খালকে ব্যবহার করা হয় তার নাম

(A) সুয়েজ 
(B) বেডফোর্ড 
(C) পানামা খাল 
(D) এর কোনটিই নয় 

Ans: (B) বেডফোর্ড খালকে ব্যবহার করা হয়।

  1. 17. সৌরজগতে কুলীন গ্রহের সংখ্যা

(A) 4 টি 
(B) 5 টি 
(C) 8 টি 
(D) 2 টি 
Ans: (C) 8 টি।

  1. 18. এরাটোসথেনিস কোন্‌ দিনে সূর্যরশ্মির পতন কোণের ভিত্তিতে পৃথিবীর পরিধি নির্ণয় করেন?
(A) মকর সংক্রান্তি 
(B) কর্কট সংক্রান্তি 
(C) জলবিষুব 
(D) মহাবিষুব 
Ans: (B) কর্কট সংক্রান্তির 
  1. 19. যে সকল জ্যোতিষ্ক মিটমিট করে জ্বলে, যাদের তাপ ও আলো আছে, তাদের বলে

(A) গ্রহ 
(B) উপগ্রহ 
(C) নক্ষত্র 
(D) কোনোটিই নয় 
Ans: (C) নক্ষত্র।

  1. 20. আয়তনের বিচারে গ্রহগুলির মধ্যে পৃথিবীর স্থান
(A) চতুর্থ 

(B) তৃতীয় 
(C) পঞ্চম 
(D) দ্বিতীয় 
Ans: (C) পঞ্চম।

অতি সংক্ষিপ্ত | গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Geography Grohorupe Prithibi VSAQ Question and Answer :

  1. 1.পৃথিবীর সবচেয়ে নীচু স্থানের নাম কী?

Ans: মারিয়ানা খাত।

  1. 2.সূর্যের নিকটতম গ্রহ কোনটি?

Ans: বুধ।

  1. 3.সৌরজগতে আয়তনে বৃহত্তম গ্রহ কোনটি?

Ans: বৃহস্পতি।

  1. 4. উপগ্রহ নেই এমন দুটি গ্রহের নাম লেখো।

Ans: বুধ ও শুক্র।

  1. 5.GPS ব্যবহারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম কয়টি উপগ্রহের প্রয়োজন?

Ans: 3টি।

  1. 6.সৌরজগতের কোন্ গ্রহকে ‘লাল গ্রহ’ বলা হয়?

Ans: মঙ্গলকে।

  1. 7. GEOID কথার অর্থ কী? 

Ans: GEOID কথার অর্থ পৃথিবীর আকৃতি পৃথিবী সদৃশ।

  1. 8. পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোন্‌ বল সৃষ্টি হয়? 

Ans: পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কেন্দ্রাতিগ বল সৃষ্টি হয়।

  1. 9. পৃথিবীর চাপের দৈর্ঘ্য কোন দিক থেকে কোন দিকে কমে? 

Ans: পৃথিবীর চাপের দৈর্ঘ্য মেরু থেকে নিরক্ষীয় অঞ্চলের দিকে কমতে থাকে।

  1. 10. বেডফোর্ড খালে অ্যালফ্রেড ওয়ালেস কী প্রমাণ করেন?

Ans: বেডফোর্ড খালে অ্যালফ্রেড ওয়ালেস পৃথিবীর গোলত্বের প্রমাণ করেন।

  1. 11. কোরিওলিস বলের অন্য নাম কী?

Ans: কোরিওলিস বলের অন্য নাম অপকেন্দ্র বল।

  1. 12. পৃথিবীপৃষ্ঠের সর্বত্র আবর্তন বেগ সমান নয় কেন?

Ans: পৃথিবীর আকৃতি অভিগত গোলক হওয়ার জন্য পৃথিবীপৃষ্ঠের সর্বত্র আবর্তন বেগ সমান নয়।

  1. 13. পৃথিবীর অভিকর্ষজ বলের মান কোন অঞ্চলে সবচেয়ে কম?

Ans: নিরক্ষীয় অঞ্জলে।

  1. 14. GPS ব্যবহারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম কয়টি উপগ্রহের প্রয়োজন?

Ans: 3টি।

  1. 15. 2006 সালে কোন গ্রহকে বামন গ্রহ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?

Ans: প্লুটোকে।

  1. 16. IAU-এর পুরোকথা কী?

Ans: International Astronomical Union ।

  1. 17. সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহের নাম কী?

Ans: সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহের নাম বৃহস্পতি।

  1. 18. সীমাহীন আকাশে উজ্জ্বল এক ঝাঁক আলোকবিন্দুকে কী বলে?

Ans: সীমাহীন আকাশে উজ্জ্বল এক ঝাঁক আলোকবিন্দুকে জ্যোতিষ্ক বলে।

  1. 19. দিগন্তরেখার আকৃতি কীরূপ?

Ans: দিগন্তরেখার আকৃতি গোলাকার।

  1. 20. চন্দ্রগ্রহণের দ্বারা কী প্রমাণ করা হয়? 

Ans: চন্দ্রগ্রহণের দ্বারা পৃথিবীর গোলত্বের প্রমাণ করা হয়।

সংক্ষিপ্ত | গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Geography Grohorupe Prithibi SAQ Short Question and Answer :

  1. 1. অভিগত গোলক কাকে বলে? 

Ans: যে গোলকের দুই বিপরীত প্রান্ত ঈষৎ চাপা এবং মধ্যভাগ ঈষৎ স্ফীত সেই প্রকার গোলাকৃতি ঘনবস্তুর আকৃতিকে অভিগত গোলক বলে। যেমন পৃথিবীর আকৃতি।

  1. 2. আয়তন অনুসারে সৌরজগতের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম গ্রহ দুটির নাম কি? 

Ans: আয়তন অনুসারে সৌরজগতের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম গ্রহ দুটি হল বৃহস্পতি ও বুধ।

  1. 3.বহিস্থ গ্রহ (Exterior Planet) কী? 

Ans: সৌরজগতের যেসব বৃহৎ আকৃতির গ্রহ সূর্য থেকে দূরে অবস্থিত তাদের বহিস্থ গ্রহ বলে। যেমন- বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন।

  1. 4. অভিগত গোলক কাকে বলে?

Ans: যে গোলকের উত্তর ও দক্ষিণ দিক সামান্য চাপা এবং পূর্ব ও পশ্চিম দিক সামান্য ফোলা, এই রুপ গোলাকার বস্তু কে অভিগত গোলক বলে।

  1. 5. সৌরজগৎ কী?

Ans: সূর্যের চারদিকে বিভিন্ন গ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, উপগ্রহ সূর্যের আকর্ষণে নিজে নিজ কক্ষপথে নির্দিষ্ট বেগে ঘুরে চলেছে এই সমগ্র সৌর পরিবারকেই সৌরজগৎ বলে।

  1. 6. G.P.S. কী? এটির সাহায্যে কী কাজ করা হয়? 

Ans: কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমা, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা এবং সময় অর্থাৎ কোন স্থানের অবস্থান নির্ণয়ে ব্যবহৃত প্রযুক্তিকে GPS বলা হয়। এর সাহায্যে পৃথিবীর কোনো স্থানের দ্রাঘিমা, উচ্চতা, অক্ষাংশ প্রভৃতি সম্পর্কে জানা যায়।

  1. 7. জিওড বলতে কী বোঝো?

Ans: গ্রিক শব্দ Geoeides থেকে আসা জিওড শব্দের অর্থ হলো পৃথিবীর মতো। পৃথিবীর আকৃতির সঙ্গে অন্য কোন বস্তুর আকৃতির কোন মিল না থাকায় পৃথিবী তার নিজের আকৃতির সঙ্গেই একমাত্র তুলনীয়। তাই একে জিওড বলে।

  1. 8. কুপার বেল্ট কি?

Ans: আমাদের সৌরজগতের একটি গ্রহ নেপচুন এর কক্ষপথ থেকে প্রায় 300 কোটি কিলোমিটার দূরে এই কুপার বেল্টের অস্তিত্ব আছে। এই কুপার বেল্টের মহাজগতিক বস্তুকণা দিয়েই আমাদের সৌরজগতের উৎপত্তি হয়েছে।

  1. 9. দিগন্ত রেখা বলতে কী বোঝো?

Ans: সমুদ্রের ধারে বা কোনো ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে চারিদিকে তাকালে মনে হয় আকাশ ও ভূমি যেন একটি বৃত্ত রেখায় মিশেছে। এ বৃত্ত রেখাকে দিগন্ত রেখা বলে।

  1. 10.বামন গ্রহ কাকে বলে?

Ans: মহাকাশে এমন কিছু গ্রহ আছে, যারা নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্য বা কোন নক্ষত্রের চারপাশে প্রদক্ষিণ করলেও তাদের কক্ষপথে সন্নিহিত অঞ্চল থেকে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রাকার মহাজাগতিক বস্তু কে সরিয়ে দিতে অক্ষম, তাদের বামন গ্রহ বলা হয়। এই বামন গ্রহের একটি আদর্শ উদাহরণ হল সৌর জগতের সর্বশেষ গ্রহ প্লুটো।

বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী | গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) নবম শ্রেণীর ভূগোল বড় প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Geography Grohorupe Prithibi Question and Answer : 

1. পৃথিবীর সঠিক আকারের প্রমাণগুলি কি কি ?

Ans: [A] অভিজ্ঞতালব্ধ প্রমাণ :

 (1) পন্ডিতদের মতামত : আজ থেকে প্রায় 2600 বছর আগে, গ্রীক দার্শনিক পিথাগোরাস গাণিতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন যে, পৃথিবীর আকার একটি গোলকের মতো গোলাকার । বরাহমিহির, আর্যভট্ট, কোপারনিকাসের মতো বিখ্যাত পণ্ডিতগণ-এর সাথে একমত হয়েছিলেন ।

বিজ্ঞানী অ্যারিস্টটল চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের উপর পড়া পৃথিবীর ছায়ার প্রান্তভাগ দেখতে পেয়েছিলেন এবং এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে পৃথিবীর আকৃতি আসলে প্রকৃত গোলকের মতো ।

 (2) নাবিকদের পৃথিবী পরিভ্রমন : ১৫১৯ সালে পোর্তুগিজ নাবিক ফার্দিনান্দ  ম্যাগেলান এবং ১৫৭৭ সালে ইংরেজ নাবিক ফ্রান্সিস ড্রেক দিক পরিবর্তন না করে, ক্রমাগত জাহাজ চালিয়ে তাঁরা যেখান থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন সেখানেই পুনরায় ফিরে আসেন । পৃথিবি গোলাকার বলেই এটি সম্ভব হয়েছিল ।

 (3) সর্বত্র একই সময়ে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় হয় না : পৃথিবী গোলাকার হওয়ায় সূর্যাস্ত প্রথমে পূর্বের দেশগুলিতে এবং পরে পশ্চিমের দেশগুলিতে ঘটে ।

 (4) দিগন্তরেখার বিস্তৃতি : একটি বড় খোলা বিস্তৃতির দিকে তাকালে মনে হয় যেন আকাশ ও পৃথিবী একটি বৃত্তাকার রেখায় মিশে গেছে । বৃত্তাকার রেখাটি হলো দিগন্তরেখা । ভূপৃষ্ঠের স্তর যত উঁচু হবে দিগন্তরেখা ততই বাড়বে । পৃথিবী গোলাকার হওয়ার কারণেই দিগন্তের পরিধি বাড়তে থাকে ।

 (5) গোলাকার সমদ্রপৃষ্ঠে জাহাজের অবস্থান : যখন একটি জাহাজ দূরবর্তী সমুদ্র থেকে তীরে আসে, তখন এর মাস্তুল এবং নিম্ন অংশটি প্রথম দৃশ্যমান হয় । পৃথিবী গোলাকার তাই সমুদ্রপৃষ্ঠও গোলাকার । ফলে জাহাজের উপরের অর্ধেক অংশ আগে দেখা যায় । যখন একটি জাহাজ সমুদ্র সৈকত থেকে দূরে সমুদ্রের দিকে চলে যায়, তখন জাহাজের নীচের অর্ধেকটি এবং ধীরে ধীরে সব শেষে মাস্তুলঅদৃশ্য হয়ে যায় ।

 (6) ধ্রুবতারা ও হ্যাডলির অক্ট্যান্ট নক্ষত্রের অবস্থান : উত্তর গোলার্ধে, ধ্রুবতারা সুমেরুর ঠিক উপরে রয়েছে । পৃথিবী যদি সমতল হতো, তাহলে তার পৃষ্ঠের যেকোনো স্থান থেকে ধ্রুবতারাকে একই উন্নতি কোণে দেখা যেত । কিন্তু পৃথিবী গোলাকার, তাই ধ্রুবতারাকে বিষুবরেখায় 0° কোণে এবং উত্তর মেরুতে 90° কোণে দেখা যায় ।

 (7) দূরবীক্ষণ যন্ত্রের পর্যবেক্ষণ : সৌরজগতের সমস্ত গ্রহের আকৃতি গোলাকার অর্থাৎ পৃথিবীও সৌরজগতের একটি গ্রহ হওয়ায় পৃথিবীর আকৃতিও গোলাকার ।

 [B] পৃথিবীর আকৃতির প্রত্যক্ষ প্রমাণ :

 (1) বেডফোর্ড লেভেল পরীক্ষা : ১৮৭0 সালে, বিজ্ঞানী অ্যালফ্রেড রাসেল ওয়ালেস, একই সরল রেখায় এক কিলোমিটার দূরত্ব জুড়ে একটি ভেলার সহায়তায় ইংল্যান্ডের বেডফোর্ড খালে, একই উচ্চতার তিনটি খুঁটি ভাসিয়েছিলেন । পরে দূরবীক্ষণ – এর সাহায্যে দেখা যায় মাঝের খুঁটির মাথা অন্য দুই খুঁটির মাথার চেয়ে সামান্য উঁচু । পৃথিবী গোলাকৃতির হওয়ায় মাঝের খুঁটির মাথা অনেক উঁচু দেখা যায় । পৃথিবী সমতল হলে তিনটি স্তম্ভের মাথা একই তলে থাকতো ।


(2) নভশ্চরদের  প্রত্যক্ষ দর্শন : মহাকাশ থেকে পৃথিবীর পর্যবেক্ষণ হলো সুনির্দিষ্ট এবং সাম্প্রতিকতম প্রমাণ । ১৯৬১ সালে ইউরি গ্যাগারিনের থেকে শুরু করে, প্রথম চন্দ্র বিজয়ী নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন অলড্রিন, 1984 সালে ভারতীয় মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা এবং অতি সম্প্রতি 2012 সালে ভারতীয় ঐতিহ্যের বাহক আমেরিকান বিজ্ঞানী সুনিতা উইলিয়াম প্রমুখ মহাকাশচারীগন পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির সাক্ষী । পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির ধারণা তাদের তোলা ছবি থেকে স্পষ্ট হয়েছে এবং এটি প্রতিষ্ঠিতও হয়েছে ।

2. পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ কেন ঘটেছে?

Ans: এই বিরাট মহাবিশ্বে আমাদের জ্ঞ্যতব্যে একমাত্র পৃথিবীতেই প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কেন পৃথিবীতেই এমনটা ঘটলো! তা জানতে হলে আমাদের বুঝে নিতে পৃথিবীর গঠন, সূর্য থেকে দূরত্ব আরো অনেক কিছু।

এই পৃথিবী অনেক কিছুরই সমাহার। রয়েছে বায়ুমণ্ডল, শিলামন্ডল ও বারিমন্ডল এই তিনটি মণ্ডলকে ধারণ করে সৃষ্টি হয়েছে প্রাণ।

বায়ুমন্ডল :

এই পৃথিবীকে বেষ্টন করে রয়েছে বায়ুমণ্ডল। প্রায় পৃথিবীপৃষ্ট থেকে 10000 কিমি পর্যন্ত উচ্চতা জুড়ে বায়ুমন্ডল অবস্থান করে। জীবমণ্ডলের বেঁচে থাকার জন্য সবকটিরই ভূমিকা রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে প্রাথমিক স্তরের (ট্রপোস্ফিয়ার) গুরুত্ব সর্বাধিক।

প্রাণের সৃষ্টির মূল উপাদান নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড ইত্যাদির উপস্থিতি প্রাণের বিকাশে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছে।

আবার এর ঠিক উপরের স্তরেই রয়েছে ওজোন গ্যাসের চাদর। যা সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক UV রশ্মিকে পৃথিবীপৃষ্টে এসে পৌছতে বাধা প্রদান করে। যা প্রাণের বিকাশে বিশেষভাবে সহায়ক।

এরপরেই যার কথা বলতে হয় তা হল গ্রীন হাউস গ্যাসের চাদর। এই বিশ্বে ভূপৃষ্ট সংলগ্ন অঞ্চলে ভারসাম্য মাত্রায় গ্রীনহাউস গ্যাসের উপস্থিতি সূর্য থেকে আগত তাপশক্তিকে সম্পূর্ণরূপে বিকীর্ণ হতে বাধা দেয়। যা পৃথিবীকে শীতল হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

বারিমন্ডল :

জলের অপর নাম জীবন। জল ছাড়া প্রাণধারণ অসম্ভব। তাই বিশ্বে প্রাণের অস্তিত্বের পিছনে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বারিমন্ডলের উপস্থিতি।

শিলামন্ডল :

গোটা জীবজগতের এক বিরাট অংশকে ধারণ করে আছে যা তাই শিলামন্ডল। তার সঠিক মাত্রায় উপস্থিতি জীবজগতের বেঁচে থাকার অন্যতম রসদ।

ভারসাম্য উষ্ণতা :

এই মন্ডলগুলি ছাড়াও পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ পৃথিবীর ভারসাম্য তাপমাত্রা। সূর্য থেকে পৃথিবী এমন এক দূরত্বে অবস্থান করছে, যেখানে না মাত্রাতিরিক্ত শীতলতা, না মাত্রাতিরিক্ত উষ্ণতা রয়েছে। ফলতঃ এই ভারসাম্য তাপমাত্রা প্রাণ ধারণের পক্ষে আদর্শ।

3. পৃথিবীর আকৃতির ধারনাসমূহ আলোচনা করো?

Ans:  পৃথিবীর সমতল বা চ্যাপ্টা আকৃতি :

লোকেরা বিশ্বাস করত যে পৃথিবী সমতল এবং এর একটি প্রান্ত রয়েছে । সুতরাং, সীমার বাইরে নাবিকরা সমুদ্রে ভ্রমণ করতে ভয় পেয়েছিলেন কারণ তারা পৃথিবী থেকে মহাকাশে পড়ে যাওয়ার ভয় পেতেন ।

পৃথিবীর গোলাকার আকৃতি :

350 খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রীক পণ্ডিত এবং বিজ্ঞানী অ্যারিস্টটল চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের উপর পৃথিবীর গোলাকার ছায়া পর্যবেক্ষণ করেন ।  এই পর্যবেক্ষন থেকে  পৃথিবীর গোলাকার আকৃতির ধারণা প্রকাশ করা হয় ।

চীনাদের ধারনা :

প্রাচীনকালে, চীনের লোকেরা বিশ্বাস করত যে, চীন ভূখণ্ডই হলো সমগ্র পৃথিবী ।

গ্রিকদের মতে, পৃথিবী একটি অস্থির সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত একটি বিশাল দ্বীপের মতো । আবার সিরিয়া উপকূলের ফিনিশীয় নাবিকদের মতে, পৃথিবীর আকার সমতল হওয়া অসম্ভব ।

কারণ দেশের সীমান্তের পাহাড়, সমুদ্র থেকে উঠে আসা পাহাড়ের চূড়া প্রভৃতি দৃশ্যমান ছিল । এ থেকে তাদের ধারণা জন্মায় যে, পৃথিবী মোটামুটি একটি অর্ধ-আপেল বা জলের অববাহিকায় রাখা একটি কমলালেবুর মতো ।

ভৌগোলিক আবিষ্কারের যুগে পঞ্চদশ শতাব্দীতে, ভূ-পর্যটনকারী নাবিকদের পৃথিবী প্রদক্ষিণ করার অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায় যে, পৃথিবীর আকার মোটামুটি গোলাকার । পরবর্তীকালে, উল্লেখযোগ্য প্রাচীন পণ্ডিতরা প্রস্তাব করেছিলেন যে, পৃথিবীর আকৃতি গোল বা গোলকের মতোই গোল ।



  • West Bengal Class 9th Geography Suggestion 2025 WBBSE | Class 9 Geography Suggestion 2025 | পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ২০২৫

    নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ২০২৫ – Class 9 Geography Suggestion 2025 :

    • নবম শ্রেণীর ভূগোল – গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) Click Here
    • নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
    • নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
    • নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) Click Here
    • নবম শ্রেণীর ভূগোল – আবহবিকার (পঞ্চম অধ্যায়) Click Here
    • নবম শ্রেণীর ভূগোল – দুর্যোগ ও বিপর্যয় (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here
    • নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভারতের সম্পদ (সপ্তম অধ্যায়) Click Here
    • নবম শ্রেণীর ভূগোল – পশ্চিমবঙ্গ (অষ্টম অধ্যায়) Click Here
    • নবম শ্রেণীর ভূগোল – মানচিত্র ও স্কেল (নবম অধ্যায়) Click Here

Post a Comment

We’d love to hear your thoughts! Share your comment below.

Previous Post Next Post