![]() |
হিমালয় পর্বতের উৎপত্তি: মহীখাত তত্ত্ব ব্যাখ্যা | নবম শ্রেণীর ভূগোল – চতুর্থ অধ্যায় |
MCQ প্রশ্নোত্তর | ভূমিরূপ গঠনের প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর নানান ভূমিরূপ
নবম শ্রেণীর ভূগোল – চতুর্থ অধ্যায়
WB Class 9 Geography | Bhumirup Gothonkari Prokriya o Prithibir Bhinno Bhumirup MCQ Question & Answer
(প্রতিটি প্রশ্নের মান ১)
১. ‘টেবিলল্যান্ড’ বা সমতল মালভূমি বলা হয়—
(A) পর্বতকে
(B) মালভূমিকে
(C) পাহাড়কে
(D) সমভূমিকে
👉 উত্তর: (B) মালভূমিকে
২. শিলাস্তরের মধ্যে ভাঁজ পড়লে তৈরি হয়—
(A) ভঙ্গিল পর্বত
(B) স্তূপ পর্বত
(C) আগ্নেয় পর্বত
(D) সঞ্চয়জাত পর্বত
👉 উত্তর: (A) ভঙ্গিল পর্বত
৩. বিশ্বের সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি হলো—
(A) ফুজিয়ামা
(B) কটোপাক্সি
(C) ওজোস ডেল সালাডো
(D) মাউন্ট হেলমস
👉 উত্তর: (C) ওজোস ডেল সালাডো
৪. মহাদেশীয় ভূখণ্ডের গড় ঘনত্ব প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে—
(A) 270 গ্রাম
(B) 290 গ্রাম
(C) 260 গ্রাম
(D) 310 গ্রাম
👉 উত্তর: (A) 270 গ্রাম
৫. ঝাড়খণ্ডের রাজমহল হলো একটি—
(A) স্তূপ পর্বত
(B) ক্ষয়জাত পর্বত
(C) ভঙ্গিল পর্বত
(D) আগ্নেয় পর্বত
👉 উত্তর: (B) ক্ষয়জাত পর্বত
৬. পাকিস্তানের ‘সল্টরেঞ্জ’ হলো একটি—
(A) ভঙ্গিল পর্বত
(B) আগ্নেয় পর্বত
(C) স্তূপ পর্বত
(D) ক্ষয়জাত পর্বত
👉 উত্তর: (C) স্তূপ পর্বত
৭. ‘টেল’ নামে পরিচিত ভূমিরূপ তৈরি হয়—
(A) নদীর সঞ্চয়কার্য দ্বারা
(B) হিমবাহের কাদা ও নুড়িপাথরের সঞ্চয়ে
(C) উপকূলের বালি জমে
(D) বায়ুর ক্ষয়কার্যে
👉 উত্তর: (B) হিমবাহের কাদা ও নুড়িপাথরের সঞ্চয়ে
৮. ভারতের একটি উচ্চ মালভূমি হলো—
(A) লাদাখ
(B) ছোটোনাগপুর
(C) মালব
(D) দাক্ষিণাত্য
👉 উত্তর: (A) লাদাখ
৯. বিদার অঞ্চলে অগ্ন্যুদ্গমের ফলে সৃষ্টি ভূমিরূপ হলো—
(A) স্তূপ পর্বত
(B) লাভা মালভূমি
(C) পর্বতবেষ্টিত মালভূমি
(D) আগ্নেয়গিরি
👉 উত্তর: (B) লাভা মালভূমি
১০. সঠিক জোড় নির্বাচন করো—
(A) ভঙ্গিল পর্বত – ব্যারেন
(B) স্তূপ পর্বত – হিমালয়
(C) আগ্নেয় পর্বত – সাতপুরা
(D) ক্ষয়জাত পর্বত – আরাবল্লী
👉 উত্তর: (D) ক্ষয়জাত পর্বত – আরাবল্লী
১১. ভূ-আলোড়ন যদি ভূপৃষ্ঠে আড়াআড়িভাবে কাজ করে তবে তৈরি হয়—
(A) স্তূপ পর্বত
(B) ভঙ্গিল পর্বত
(C) গ্রস্ত উপত্যকা
(D) মহাদেশ
👉 উত্তর: (B) ভঙ্গিল পর্বত
১২. আলফ্রেড ওয়েগনার তাঁর ‘মহীসঞ্চরণ তত্ত্ব’ প্রকাশ করেছিলেন—
(A) 1914 সালে
(B) 1896 সালে
(C) 1922 সালে
(D) 1912 সালে
👉 উত্তর: (D) 1912 সালে
১৩. জার্মানির ‘ব্ল্যাক ফরেস্ট’ আসলে একটি—
(A) বনভূমি
(B) স্তূপ পর্বত
(C) কৃষ্ণ মৃত্তিকা অঞ্চল
(D) বৃক্ষহীন প্রান্তর
👉 উত্তর: (B) স্তূপ পর্বত
১৪. কোন নদী গ্রস্ত উপত্যকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে?
(A) সিন নদী
(B) রাইন নদী
(C) ভোলা নদী
(D) গোদাবরী নদী
👉 উত্তর: (B) রাইন নদী
১৫. ভারতে অবস্থিত একটি ক্ষয়জাত মালভূমির উদাহরণ হলো—
(A) দাক্ষিণাত্য মালভূমি
(B) ছোটোনাগপুর মালভূমি
(C) তিব্বত মালভূমি
(D) মালব মালভূমি
👉 উত্তর: (B) ছোটোনাগপুর মালভূমি
অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (VSAQ)
ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর নানান ভূমিরূপ
নবম শ্রেণী ভূগোল – অধ্যায় ৪
(প্রতিটি প্রশ্নের মান: ১)
১. মহাকাল ও মহাদেব কোন ধরনের পর্বত?
👉 ক্ষয়জাত পর্বত।
২. পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ কোনটি?
👉 গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপ।
৩. একটি ভূগাঠনিক সমভূমির উদাহরণ দাও।
👉 তুরান নিম্নভূমি।
৪. তিব্বতি পাত ও ভারতীয় পাতের মিলনরেখা কী নামে পরিচিত?
👉 সিন্ধু সিউনরেখা।
৫. ভারতের একটি স্তূপ পর্বতের নাম লিখো।
👉 সাতপুরা পর্বত।
৬. সমপ্রায় সমভূমির অবশিষ্ট অংশকে কী বলা হয়?
👉 মোনাডনক।
৭. ভারতের একটি গ্রস্ত উপত্যকার উদাহরণ দাও।
👉 নর্মদা নদীর উপত্যকা।
৮. চ্যুতি বলতে কী বোঝায়?
👉 ভূত্বকে ফাটলের ফলে শিলাস্তরের স্থানান্তর হলে তাকে চ্যুতি বলে।
৯. মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা কোথায় অবস্থিত?
👉 আটলান্টিক মহাসাগরে।
১০. এশিয়ার দুটি পর্বতগ্রন্থির নাম লেখো।
👉 পামির গ্রন্থি ও আর্মেনীয় গ্রন্থি।
১১. গ্রাবেন কোথায় সৃষ্টি হয়?
👉 দুটি চ্যুতির মাঝের অবনত স্থানে।
১২. একটি প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বতের নাম বলো।
👉 উত্তর আমেরিকার ক্যালেডোনিয়ান পর্বত।
১৩. ভারতের দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ কোনটি?
👉 কাঞ্চনজঙ্ঘা।
১৪. একটি পর্বতবেষ্টিত মালভূমির নাম লিখো।
👉 তিব্বত মালভূমি।
১৫. হিমালয় পর্বত কোন অগভীর সমুদ্র থেকে গঠিত?
👉 টেথিস সাগর থেকে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (SAQ)
ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর নানান ভূমিরূপ
নবম শ্রেণী ভূগোল – অধ্যায় ৪
(প্রতিটি প্রশ্নের মান: ২)
১. পর্বতের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
👉 পর্বতের উচ্চতা সাধারণত ৯০০ মিটার বা তার বেশি হয়।
👉 ঢাল খাড়া থাকে এবং শৃঙ্গ বরফে আবৃত থাকতে পারে।
২. আগ্নেয় পর্বতের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
👉 ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা লাভা আকারে বেরিয়ে এসে জমে আগ্নেয় পর্বত তৈরি হয়।
👉 এদের উৎপত্তি অন্তর্জাত শক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত।
৩. ভূগাঠনিক সমভূমি কয় প্রকার?
👉 দুটি প্রকার – ক) উন্নত সমভূমি, খ) অবনত সমভূমি।
৪. পাত বলতে কী বোঝো?
👉 পৃথিবীর গুরুমণ্ডলে ভাসমান কঠিন শিলাস্তরের বড় খণ্ডকে পাত বলে।
৫. পর্যায়ন কাকে বলে?
👉 ক্ষয়, পরিবহন ও সঞ্চয়ের ফলে ভূপৃষ্ঠ ধীরে ধীরে প্রায় সমতল হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে পর্যায়ন বলে।
৬. ভাঁজ কী?
👉 ভূআলোড়নের পার্শ্বচাপে শিলাস্তরে তরঙ্গাকার বাঁক তৈরি হলে তাকে ভাঁজ বলে।
৭. অন্তর্জাত ও বহির্জাত প্রক্রিয়ার মধ্যে সম্পর্ক কী?
👉 উভয় প্রক্রিয়ার মিলিত প্রভাবে পৃথিবীর ভূমিরূপ ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়।
৮. লোয়েস সমভূমি কীভাবে সৃষ্টি হয়?
👉 বায়ু মরুভূমির বালি বহন করে জমালে লোয়েস সমভূমি তৈরি হয়।
৯. লাভা মালভূমি বলতে কী বোঝো?
👉 অগ্ন্যুৎপাতের লাভা ছড়িয়ে গিয়ে জমে মালভূমি তৈরি হলে তাকে লাভা মালভূমি বলে।
১০. পামির মালভূমিকে ‘পৃথিবীর ছাদ’ বলা হয় কেন?
👉 কারণ এটি পৃথিবীর উচ্চতম মালভূমি (গড় উচ্চতা প্রায় ৪৮৭৩ মিটার)।
১১. বহির্জাত প্রক্রিয়া কী?
👉 নদী, হাওয়া, হিমবাহ ইত্যাদি দ্বারা ভূপৃষ্ঠে সংঘটিত প্রাকৃতিক ক্রিয়াকে বহির্জাত প্রক্রিয়া বলে।
১২. অন্তর্জাত প্রক্রিয়া কী?
👉 ভূগর্ভস্থ শক্তি যেমন ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত বা ভূআলোড়নের ফলে সংঘটিত প্রক্রিয়াকে অন্তর্জাত প্রক্রিয়া বলে।
১৩. সমপ্রায় ভূমি বলতে কী বোঝায়?
👉 দীর্ঘ ক্ষয়ে প্রাচীন মালভূমি ও উঁচু ভূমি ধীরে ধীরে প্রায় সমতলভূমিতে রূপ নিলে তাকে সমপ্রায় ভূমি বলে।
১৪. পর্বতবেষ্টিত মালভূমি কী?
👉 চারদিকে পর্বত ঘেরা মালভূমিকে পর্বতবেষ্টিত মালভূমি বলে। যেমন – তিব্বত মালভূমি।
১৫. ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি বলতে কী বোঝায়?
👉 ক্ষয়কার্যের ফলে বড় মালভূমি ভেঙে বিচ্ছিন্ন খণ্ডে পরিণত হলে তাকে ব্যবচ্ছিন্ন মালভূমি বলে। যেমন – ছোটোনাগপুর মালভূমি।
প্রশ্ন: 1. নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চল ভূমিকম্পপ্রবণ’ – ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর:
নবীন ভঙ্গিল পর্বত সাধারণত অভিসারী পাতসীমায় দুই মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়। ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসে টারসিয়ারি যুগের শেষভাগে (প্রায় ৪ থেকে ৭ কোটি বছর আগে) যে পর্বতশ্রেণিগুলির উদ্ভব হয়েছে, সেগুলিকেই নবীন ভঙ্গিল পর্বত বলা হয়। এই পর্বতমালার ভৌম কাঠামো এখনো সম্পূর্ণ স্থিতিশীল হয়নি, অর্থাৎ গঠন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যেহেতু এগুলি সক্রিয় ভূমিকম্পীয় অঞ্চলে অবস্থিত, তাই সেখানে ভূত্বকের ভাঙাচোরা, সঞ্চিত চাপের মুক্তি ও ঘন ঘন ভূকম্পন ঘটে। ফলে এই পর্বতশ্রেণিগুলি ভূমিকম্পপ্রবণ। উদাহরণ হিসেবে হিমালয়, আল্পস ও রকি পর্বতমালা উল্লেখযোগ্য।
প্রশ্ন: 2. অভিসারী পাত সীমানায় ভূমিকম্প হয় কেন?
উত্তর:
যখন ভূত্বকের দুটি পাত বিপরীত দিকে অগ্রসর হয়ে একে অপরের দিকে ধাবিত হয়, তখন সেই স্থানকে অভিসারী পাত সীমানা বলা হয়। এই পরিস্থিতিতে অপেক্ষাকৃত ভারী মহাসাগরীয় পাত হালকা মহাদেশীয় পাতের নিচে সরে গিয়ে সাবডাকশন অঞ্চলের সৃষ্টি করে। এর ফলে গভীর সমুদ্রগাত্রে খাত তৈরি হয়। নিমজ্জিত পাতের অংশ অ্যাসথেনোস্ফিয়ারের তাপে গলে গিয়ে গলিত পদার্থ আকারে ভূত্বকের উপরিভাগে উঠে আসে, ফলে আগ্নেয় দ্বীপমালা ও আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি ঘটে। কিন্তু এই পাতচলনের ফলে ভূত্বকের স্তর অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে এবং সঞ্চিত চাপ আকস্মিক মুক্তি পাওয়ায় প্রায়ই এই অঞ্চলে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।
প্রশ্ন: 3. পাত-গাঠনিক তত্ত্ব অনুসারে ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি আলোচনা কর।
উত্তর:
পাত-গাঠনিক বা প্লেট টেকটোনিক তত্ত্ব অনুযায়ী, পৃথিবীর ভূত্বক একাধিক শক্ত ভূ-পাত দ্বারা গঠিত, যেগুলি নীচের গলিত অ্যাসথেনোস্ফিয়ারের উপর ক্রমাগত ভাসমান ও গতিশীল অবস্থায় থাকে। যখন দুটি মহাদেশীয় পাত অভিসারী সীমানায় একে অপরের দিকে অগ্রসর হয়, তখন সংযোগস্থলে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়। এই প্রবল চাপের প্রভাবে পাতের সংযোগস্থলে জমে থাকা পলিস্তরগুলির ভাঁজ পড়তে শুরু করে। ক্রমাগত চাপের ফলে এই ভাঁজগুলো আরও উঁচু হয়ে বিশাল আকার ধারণ করে। সময়ের সাথে সাথে সেই ভাঁজগুলো একত্রিত হয়ে দীর্ঘায়িত ও উঁচু পর্বতশ্রেণীতে রূপ নেয়, যাকে ভঙ্গিল পর্বত বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ হিমালয়, আল্পস ও রকি পর্বতশ্রেণী।
প্রশ্ন: 4. পাত (Plate) কী?
উত্তর:
পৃথিবীর শিলামণ্ডলের কঠিন ও দৃঢ় অংশগুলি ভূগর্ভস্থ অ্যাসথেনোস্ফিয়ারের উপর ভেসে থেকে ক্রমাগত নড়াচড়া করে। এই শক্ত খণ্ডগুলিকেই পাত বা প্লেট বলা হয়। ভূ-পদার্থবিদ কানাডার জে. টি. উইলসন প্রথমবার ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে ‘Plate’ শব্দটি ব্যবহার করেন। বর্তমানে ভূত্বক মোটামুটি ৭টি প্রধান পাত, ৪টি মধ্যম আকারের পাত এবং ২০টিরও বেশি ক্ষুদ্র পাত দ্বারা বিভক্ত।
উদাহরণ: ইউরেশীয় পাত, প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত ইত্যাদি।
প্রশ্ন: অপসারী বা প্রতিসারী পাতসীমানা কাকে বলে?
উত্তর:
পৃথিবীর শিলামণ্ডলের দুটি পাত যখন একে অপরের থেকে ধীরে ধীরে সরে যেতে থাকে, তখন যে সীমারেখা তৈরি হয় তাকে অপসারী বা প্রতিসারী পাতসীমানা বলা হয়। এই সীমানায় পাত সরে যাওয়ার ফলে নিচ থেকে গলিত ম্যাগমা উপরে উঠে আসে এবং ঠান্ডা হয়ে জমে নতুন ভূমিরূপ তৈরি করে। তাই একে আবার গঠনমূলক বা সৃজনশীল পাতসীমানাও বলা হয়।
প্রশ্ন: 6. অভিসারী পাতসীমানা কাকে বলে?
উত্তর:
যখন দুটি ভূত্বকীয় পাত একে অপরের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হয় এবং মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন যে সীমারেখা গঠিত হয় তাকে অভিসারী পাতসীমানা বলা হয়। এই সীমানায় সাধারণত ভারী মহাসাগরীয় পাত হালকা মহাদেশীয় পাতের নিচে নিমজ্জিত হয়ে যায়, ফলে ভূত্বকের কিছু অংশ ধ্বংস হয়। তাই একে ধ্বংসাত্মক পাতসীমানাও বলা হয়।
উদাহরণ: উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকান পাত এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের সংযোগস্থল।
প্রশ্ন: 7. চ্যুতি কাকে বলে?
উত্তর:
যখন শক্ত শিলাস্তরে প্রবল ভূ-আলোড়ন বা চাপের কারণে ফাটল সৃষ্টি হয় এবং ফাটলের একপাশের শিলা অন্যপাশের তুলনায় উলম্ব, অনুভূমিক বা তির্যকভাবে ওঠানামা করে, তখন সেই ভূপৃষ্ঠের সরণকে চ্যুতি বলা হয়।
প্রশ্ন 8:পামির মালভূমিকে ‘পৃথিবীর ছাদ’ বলা হয় কেন?
উত্তর:
পামির মালভূমির উপরিভাগ তুলনামূলকভাবে কিছুটা সমতল এবং চারপাশে খাড়া ঢালযুক্ত। সাধারণ সমভূমির উচ্চতা প্রায় ৩০০ মিটার হলেও পামিরের গড় উচ্চতা প্রায় ৪,৮৭৩ মিটার, যা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ। এত উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ায় এটিকে পৃথিবীর ছাদ বলা হয়।
প্রশ্ন 9:ডেকাট্রাপ (Decantrap) কী?
উত্তর:
‘ডেকান’ শব্দের অর্থ হলো দাক্ষিণাত্য এবং সুইডিশ শব্দ ‘Trap’ মানে সিঁড়ির ধাপ। ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি বহু যুগে বিভিন্ন সময়ে আগ্নেয়লাভা জমে গঠিত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে অসম ক্ষয়কার্যের কারণে এই ভূমি ধাপে ধাপে স্তরবিন্যস্ত দেখায়। তাই দাক্ষিণাত্য মালভূমিকে ডেকাট্রাপ বলা হয়।
প্রশ্ন: 10 , লাভা মালভূমি কাকে বলে?
উত্তর:
যে মালভূমি গঠিত হয় ভূত্বকের ফাটল বা ছিদ্র দিয়ে বের হওয়া গলিত ম্যাগমা ধীরে ধীরে আগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে ওঠার পর লাভারূপে শীতল হয়ে কঠিন হয়ে গেলে, তাকে লাভা মালভূমি বলা হয়।
উদাহরণ: ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি।
প্রশ্ন: 11 : পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমি অঞ্চলে বসবাস করেন’ – ভৌগলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর:
পৃথিবীর অনেক সমভূমি নদীর পলি ও তৃণভূমির জমি দ্বারা গঠিত, যা অত্যন্ত উর্বর এবং কৃষিকাজের জন্য উপযুক্ত। সমভূমির ভূ-আকৃতি সমতল হওয়ায় যেকোনো ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা সহজে নির্মাণ করা সম্ভব, ফলে যোগাযোগ ও যাতায়াত দ্রুত হয়।
এছাড়া, সমভূমি অঞ্চলে কৃষি ও খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য থাকায় উন্নত অবকাঠামো তৈরি হয় এবং শিল্পায়ন সহজ হয়। এই কারণে, খাদ্য, জীবনধারা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত হওয়ার সুবিধার কারণে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ সমভূমি এলাকায় বসবাস করে।
প্রশ্ন: 12 : প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা কিভাবে তৈরি হয়েছে?
উত্তর:
প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে অবস্থিত মহাদেশগুলির প্রান্তে অসংখ্য আগ্নেয়গিরি ও আগ্নেয় দ্বীপমালাকে একত্রে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা বলা হয়। এটি মূলত প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের সীমান্তে গঠিত, যা পশ্চিমে ইউরেশীয় পাত এবং পূর্বে আমেরিকান পাতের সংযোগস্থলে বিস্তৃত।
এই অভিসারী পাতসীমানায় ভারী প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাথর হালকা মহাদেশীয় পাতের নিচে নিমজ্জিত হয়। নিমজ্জিত অংশটি গুরুমণ্ডলের তাপের সংস্পর্শে গলে ম্যাগমায় পরিণত হয়। গলিত ম্যাগমা উপরের স্তরে উঠে আগ্নেয়গিরি ও আগ্নেয় দ্বীপপুঞ্জ তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ার পুনরাবৃত্তি ও বিস্তার ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে বলয়ের মতো অগ্ন্যুৎপাতের শৃঙ্খল গঠিত হয়েছে।
[প্রতিটি প্রশ্নের প্রশ্নমান 5]
প্রশ্ন: 1: গ্রস্ত উপত্যকা কাকে বলে?
উত্তর:
গ্রস্ত উপত্যকা হল এমন একটি অবনত ভূমি যা দুটি সমান্তরাল চ্যুতির (ফাটল) মধ্যে নীচের দিকে ধাক্কা খেয়ে তৈরি হয়।
উৎপত্তির কারণ:
প্রবল ভূ-আলোড়ন ও টান-পীড়নের ফলে শিলাস্তরে ফাটল বা চ্যুতি সৃষ্টি হয়। যদি দুটি সমান্তরাল ফাটলের মধ্যবর্তী অংশ ভূত্বকের আন্দোলনের কারণে নীচে অবনত হয়, তাহলে সেই অঞ্চলে গ্রস্ত উপত্যকা গঠিত হয়। চ্যুতির পাশে থাকা অংশগুলো প্রায়শই উঁচু হয়ে স্থূপ পর্বতের আকার ধারণ করে।
উদাহরণ: রাইন নদীর উপত্যকা।
শ্ন: 2: ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্য লিখো।
উত্তর:
১. উৎপত্তি:
ভঙ্গিল পর্বত প্রধানত পৃথিবীর গিরিজনিত ভূ-আলোড়নের কারণে সৃষ্টি হয়। অনুভূমিক পার্শ্বচাপের ফলে শিলাস্তরে ভাঁজ পড়ে পর্বতগুলো গঠিত হয়।
২. শিলার গঠন:
ভঙ্গিল পর্বতের মূলত পাললিক শিলা থাকে। তবে অনেক সময় ম্যাগমার অনুপ্রবেশ বা প্রবল চাপের কারণে কিছু অংশে আগ্নেয়শিলা ও রূপান্তরিত শিলাও দেখা যায়।
৩. ভাজ বা ফোল্ড:
প্রবল পার্শ্বচাপের কারণে বিভিন্ন ধরনের ভাজ যেমন তিসম ভাজ, অপ্রতিসম ভাজ ও ন্যাপ ইত্যাদি ভঙ্গিল পর্বতে দেখা যায়।
৪. উচ্চতা ও শৃঙ্গ:
ভঙ্গিল পর্বতের উচ্চতা অন্যান্য পর্বতের তুলনায় বেশি এবং এতে অসংখ্য সুউচ্চ শৃঙ্গ লক্ষ্য করা যায়।
৫. বিস্তৃতি:
এই পর্বতশ্রেণি দীর্ঘ দৈর্ঘ্যে বিস্তৃত থাকে এবং প্রস্থের তুলনায় দৈর্ঘ্য অনেক বেশি।
৬. জীবাশ্ম উপস্থিতি:
পাললিক শিলা দ্বারা গঠিত হওয়ায় ভঙ্গিল পর্বতে প্রাচীন জীবাশ্ম পাওয়া যায়।
৭. সময়কাল অনুযায়ী বিভাগ:
ভঙ্গিল পর্বতকে বয়স অনুযায়ী ভাগ করা যায়—
- প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত (যেমন: আরাবল্লি)
- নবীন ভঙ্গিল পর্বত (যেমন: হিমালয়)
৮. ভূমিকম্পপ্রবণতা:
নবীন ভঙ্গিল পর্বত সাধারণত ভূমিকম্পপ্রবণ, কারণ এদের গঠন প্রক্রিয়া এখনও চলমান।
প্রশ্ন: 3, আগ্নেয় পর্বতের বৈশিষ্ট্য লিখো।
উত্তর:
১. উৎপত্তি:
আগ্নেয় পর্বত মূলত ভূ-অভ্যন্তরের গলিত ম্যাগমা উপরের স্তরে উঠার মাধ্যমে তৈরি হয়। এটি হতে পারে পাতের সঞ্চালন, ভূ-আলোড়ন বা ভূত্বকে ফাটল সৃষ্টির কারণে।
২. অবস্থান:
এ ধরনের পর্বত সাধারণত ভূপৃষ্ঠের দুর্বল অংশে বা পাতসীমানা বরাবর গড়ে ওঠে।
৩. গাঠনিক উপাদান:
আগ্নেয় পর্বত প্রায়শই আগ্নেয়শিলা, ভস্ম (অশুদ্ধ লাভা), সিন্ডার ইত্যাদি পদার্থ দ্বারা গঠিত হয়।
৪. আকৃতি:
সাধারণত এগুলির আকৃতি শঙ্কু বা মােচাকৃতির হয়। তবে কখনো কখনো গম্বুজাকৃতিও দেখা যায়।
৫. জ্বালামুখ:
প্রায় সব আগ্নেয় পর্বতে এক বা একাধিক ম্যাগমার নির্গমন পথ বা জ্বালামুখ থাকে।
৬. উচ্চতা:
সাধারণত উচ্চতা মধ্যম হলেও, সক্রিয় আগ্নেয় পর্বতের উচ্চতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে।
৭. ঢাল:
পর্বতের চারপাশের ঢাল সাধারণত খাড়া বা তীব্র।
৮. ভূমিকম্পপ্রবণতা:
আগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয় পার্বত্য অঞ্চলে প্রায়শই ভূমিকম্প লক্ষ্য করা যায়।
প্রশ্ন: 4, ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা’ বলতে কী বোঝা হয়?
অথবা, প্রশান্ত মহাসাগরের উভয়পাশে আগ্নেয়গিরি কেন অবস্থান করছে?
উত্তর:
‘মেখলা’ শব্দের অর্থ হলো কোমরবন্ধনী। পৃথিবীর প্রায় ৭০% সক্রিয় আগ্নেয়গিরি প্রশান্ত মহাসাগরকে একটি বলয় বা কোমরবন্ধনীর মতো ঘিরে অবস্থান করছে। তাই এটিকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা বলা হয়।
বিস্তার:
এই আগ্নেয় বলয়টি দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্ত হর্ন থেকে আন্দিজ ও রকি পর্বতমালা হয়ে আলাস্কার মধ্য দিয়ে বেয়ে পশ্চিম উপকূলে কামচাটকা, শাখালিন, জাপান, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ, ইন্দোনেশিয়া এবং দক্ষিণে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত।
উৎপত্তির কারণ:
প্রধানত অভিসারী পাতসীমানার কারণে এই বলয় তৈরি হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলে আমেরিকা পাত এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষ, এবং পশ্চিম উপকূলে এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া পাতের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষের কারণে আগ্নেয়গিরিগুলি গড়ে উঠেছে।
উল্লেখযোগ্য আগ্নেয়গিরি:
- পূর্ব উপকূল: আকোনকাগুয়া, কটোপ্যাক্সি, পিলি, ওরিজাবা
- পশ্চিম উপকূল: ফুজিয়ামা, বাটুর, ক্রাকাতায়া, কিলাউইয়া, ইরেবাস
প্রশ্ন: 5, স্তূপ পর্বতের বৈশিষ্ট্য লিখো।
উত্তর:
১. উৎপত্তি:
যখন দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ উপরের দিকে উত্থিত হয় বা চ্যুতির পার্শ্ববর্তী অংশ নীচে বসে যায়, তখন স্তূপ পর্বত গড়ে ওঠে।
২. বলের প্রভাব:
স্তূপ পর্বত গঠনে অনুভূমিক ও উল্লম্ব বল উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. শীর্ষভাগ:
এ ধরনের পর্বতের শীর্ষভাগ সাধারণত চ্যাপটা বা সমতল প্রকৃতির হয়।
৪. উচ্চতা:
স্তূপ পর্বতের উচ্চতা সাধারণত মাঝারি ধরনের হয়।
৫. ঢাল:
প্রায় সব স্তূপ পর্বতের চারপাশে খাড়া ঢাল লক্ষ্য করা যায়।
৬. বিস্তৃতি ও উপত্যকা:
স্তূপ পর্বত সাধারণত দীর্ঘ অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত নয়। এর পাশে সৃষ্ট উপত্যকা বিভিন্ন রূপ ধারণ করে—
- গ্রস্ত উপত্যকা: দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গেলে।
- গ্রাবেন: দুটি স্তূপ পর্বতের মাঝখানে গঠিত উপত্যকা, যা গ্রস্ত উপত্যকার তুলনায় কম গভীর।
উদাহরণ: ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা, জার্মানির গ্রাবেন।
প্রশ্ন: 6, মহীখাত তত্ত্ব অনুসারে হিমালয় পর্বতের উৎপত্তি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:
মহীখাত তত্ত্ব অনুসারে প্রবর্তক হলেন বিজ্ঞানী কোবার। তত্ত্ব অনুযায়ী, বর্তমানে হিমালয়ের অবস্থান যেখানে, বহু কোটি বছর আগে সেখানে একটি অগভীর সাগর বা মহীখাত (Geosyncline) অবস্থান করত, যা টেথিস সাগর নামে পরিচিত।
টেথিস সাগরের উত্তর ও দক্ষিণে দুটি প্রাচীন ভূমি ছিল—উত্তরে আঙ্গারাল্যান্ড এবং দক্ষিণে গন্ডোয়ানাল্যান্ড। এই উঁচু ভূখণ্ড থেকে নদী ও নদনদী হাজার হাজার বছরের মধ্যে পলি ও কাদা বয়ে নিয়ে এসে টেথিস সাগরকে ক্রমশ ভরাট করে।
ভূতাত্ত্বিক সময় অনুযায়ী, টারসিয়ারি যুগে (প্রায় ৭–১২ কোটি বছর আগে) ভূখণ্ড দুটি একে অপরের দিকে চলে আসার ফলে সাগরের তলদেশের পাললিক শিলাস্তরে প্রবল পার্শ্বচাপ সৃষ্টি হয়। এই চাপের কারণে শিলাস্তরে ভাঁজ পড়ে এবং ক্রমশ উঁচু হয়ে হিমালয় পর্বতমালা গড়ে ওঠে।
হিমালয়ের শিলাস্তরে পাওয়া জলজ জীবাশ্মের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণও এই তত্ত্বকে সমর্থন করে, যা প্রমাণ দেয় যে হিমালয় পর্বতের উৎপত্তি মূলত মহীখাতের ভরাট ও চাপিত ভাঁজের ফলে হয়েছে।
প্রশ্ন: 7 , মানবজীবনে মালভূমির প্রভাব বা গুরুত্ব আলোচনা কর।
উত্তর:
১. খনিজ সম্পদের উৎস:
মালভূমি অঞ্চলগুলি প্রাকৃতিকভাবে খনিজ সমৃদ্ধ। এখানে কয়লা, লোহা, ম্যাঙ্গানিজ, তামা, অভ্র, নিকেল, চুনাপাথর ইত্যাদি মূল্যবান খনিজ পাওয়া যায়। খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য ভারতের ছোটোনাগপুর মালভূমিকে ‘খনিজ ভাণ্ডার’ হিসেবে পরিচিত করেছে।
২. শিল্প প্রতিষ্ঠা:
খানা বা কৃষিজাত কাঁচামাল সহজলভ্য হওয়ায় এই অঞ্চলে লৌহ-ইস্পাত শিল্প, কার্পাস বয়ন শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পকেন্দ্র গড়ে উঠেছে।
৩. কৃষিকাজ:
মালভূমির বন্ধুর ভূপ্রকৃতি ও নদী উপত্যকা কিছুটা উর্বর ভূমি প্রদান করে। এখানে তুলা, ধান, পেঁয়াজ, আখ ইত্যাদি ফসল চাষ করা যায়। খাড়া ঢালের মালভূমিতে চা, কফি, রবার চাষও সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমিতে তুলা চাষ ব্যাপকভাবে হয়।
৪. জলবিদ্যুৎ উৎপাদন:
মালভূমি অঞ্চলের নদীগুলি প্রায়শই খরস্রোতা হওয়ায় সহজেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। দক্ষিণ ভারতের অধিকাংশ নদী থেকে জলবিদ্যুৎ নেওয়া হয়।
৫. বনজ সম্পদ:
মালভূমি অঞ্চলের প্রাকৃতিক বনভূমি থেকে প্রচুর মূল্যবান বনজ সম্পদ পাওয়া যায়।
৬. পর্যটন সম্ভাবনা:
মালভূমির মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটন শিল্পকে বিকাশে সাহায্য করে।
West Bengal Class 9th Geography Suggestion 2025 WBBSE | Class 9 Geography Suggestion 2025 | পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ২০২৫
নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ২০২৫ – Class 9 Geography Suggestion 2025 :
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – আবহবিকার (পঞ্চম অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – দুর্যোগ ও বিপর্যয় (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভারতের সম্পদ (সপ্তম অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – পশ্চিমবঙ্গ (অষ্টম অধ্যায়) Click Here
- নবম শ্রেণীর ভূগোল – মানচিত্র ও স্কেল (নবম অধ্যায়) Click Here