মানচিত্র ও স্কেল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Geography WB Board | Manchitra O Scale MCQ & VSAQ

মানচিত্র ও স্কেল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Geography WB Board | Manchitra O Scale MCQ & VSAQ


মানচিত্র ও স্কেল প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Geography WB Board | Manchitra O Scale MCQ & VSAQ

নবম শ্রেণীর ভূগোলের “মানচিত্র ও স্কেল” অধ্যায়ের সম্পূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর। MCQ, VSAQ এবং গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা সহ WB Board Class 9 Geography। বিস্তারিত প্রশ্ন-উত্তর পড়ে স্কোর বাড়ান এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিন।
নবম শ্রেণীর ভূগোলের “মানচিত্র ও স্কেল” অধ্যায়ের সম্পূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর। MCQ, VSAQ এবং গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা সহ WB Board Class 9 Geography। বিস্তারিত প্রশ্ন-উত্তর পড়ে স্কোর বাড়ান এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিন।

Class 9 Geography, WB Board, মানচিত্র ও স্কেল, নবম শ্রেণী ভূগোল, Manchitra O Scale, MCQ Questions, VSAQ Questions, Topographical Map, Scale Types, Map Questions


Class 9 Geography – মানচিত্র ও স্কেল | Question & Answer

MCQ (Multiple Choice Questions)

  1. চৌম্বকীয় কম্পাস কোন দিক নির্দেশ করে?

    • (A) উত্তরদিক

    • (B) দক্ষিণদিক

    • (C) পূর্বদিক

    • (D) পশ্চিমদিক
      Ans: (A) উত্তরদিক

  2. গ্লোব কোথায় আঁকা হয়?

    • (A) ক্ষুদ্র স্কেল মানচিত্রে

    • (B) বৃহৎ স্কেল মানচিত্রে

    • (C) মাঝারি স্কেল মানচিত্রে

    • (D) কোনোটিই নয়
      Ans: (A) ক্ষুদ্র স্কেল মানচিত্রে

  3. ইংরেজি 'Map' শব্দটি কোন লাতিন শব্দ থেকে এসেছে?

    • (A) ম্যাপিয়া

    • (B) ম্যাপ্পা

    • (C) ম্যাপ্পো

    • (D) ম্যাপিন
      Ans: (B) ম্যাপ্পা

  4. ম্যাপ্পা বলতে বোঝায়?

    • (A) একখণ্ড কাগজ

    • (B) একখণ্ড পৃথিবী

    • (C) একখণ্ড কাপড়

    • (D) একখণ্ড মাটি
      Ans: (C) একখণ্ড কাপড়

  5. NATMO-এর সদর দপ্তর কোথায়?

    • (A) দিল্লি

    • (B) কলকাতা

    • (C) দেরাদুন

    • (D) রাঁচি
      Ans: (B) কলকাতা

  6. J.L. নম্বর কোথায় দেওয়া থাকে?

    • (A) টোপোগ্রাফিকাল ম্যাপে

    • (B) মৌজা ম্যাপে

    • (C) অ্যাটলাসে

    • (D) কোনোটিই নয়
      Ans: (B) মৌজা ম্যাপে

  7. রাজস্ব আদায়ের সবচেয়ে নীচের প্রশাসনিক একক কোনটি?

    • (A) গ্রাম

    • (B) শহর

    • (C) ব্লক

    • (D) মৌজা
      Ans: (D) মৌজা

  8. ভৌগোলিকদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় মানচিত্র কোনটি?

    • (A) ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র

    • (B) মৌজা মানচিত্র

    • (C) রাজনৈতিক মানচিত্র

    • (D) ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র
      Ans: (A) ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র

  9. প্রথম মানচিত্র বই প্রকাশ করেন?

    • (A) মার্কেটর

    • (B) আর্যভট্ট

    • (C) হেকাটিয়াস

    • (D) হেরোডোটাস
      Ans: (A) মার্কেটর


VSAQ (Very Short Answer Questions)

  1. লৈখিক স্কেল কী?
    Ans: স্কেলকে রেখার আকারে এঁকে দেখানো হলে তাকে লৈখিক স্কেল বলে।

  2. রৈখিক স্কেল কী?
    Ans: স্কেলকে সরলরেখার আকারে প্রকাশ করলে তাকে রৈখিক স্কেল বলে।

  3. স্কেচ কী?
    Ans: স্কেল ছাড়া অঙ্কিত চিত্রকে স্কেচ বলে।

  4. ভূ-প্রকৃতি বা নননদী বিষয়ক মানচিত্রকে কী বলা হয়?
    Ans: প্রাকৃতিক মানচিত্র।

  5. ভারতীয় জরিপ বিভাগ কোন মানচিত্র প্রকাশ করে?
    Ans: গ্রিড সমন্বিত ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (Topographical Map)।

  6. দেওয়াল মানচিত্র কোন ধরণের মানচিত্র?
    Ans: ক্ষুদ্র স্কেল মানচিত্র।

  7. ভগ্নাংশসূচক স্কেল কী?
    Ans: মানচিত্র ও ভূমির দূরত্বকে ভগ্নাংশে প্রকাশ করলে তাকে ভগ্নাংশসূচক স্কেল বা RF বলে।

  8. বিবৃতিমূলক স্কেল কী?
    Ans: স্কেলকে কথায় বা ভাষায় প্রকাশ করলে তাকে বিবৃতিমূলক স্কেল বলে।

  9. যে মানচিত্রে ভৌগোলিক উপাদানের পরিমাণ প্রকাশ করা হয়, তাকে কী বলে?
    Ans: পরিমাণগত মানচিত্র।

  10. কর্ণীয় স্কেলে মুখ্য, গৌণ ও ______ ভাগ থাকে।
    Ans: প্রগৌণ

  11. টোপোগ্রাফিকাল মানচিত্রে প্রাকৃতিক ও ______ উপাদানের সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয়।
    Ans: সাংস্কৃতিক

  12. স্কেলের প্রকারভেদ কী কী?
    Ans: বিবৃতিমূলক স্কেল, ভগ্নাংশসূচক স্কেল ও লৈখিক স্কেল।

  13. তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মানচিত্রকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
    Ans: দুইভাগে।

  14. ভার্নিয়ার স্কেলে একটি ভাগের ভগ্নাংশকে কীভাবে পরিমাপ করা যায়?
    Ans: নির্ভুলভাবে।

  15. একটি বৃহৎ স্কেল মানচিত্রের উদাহরণ দাও।
    Ans: মৌজা মানচিত্র।

  16. সমবর্ষণ রেখার মানচিত্র কী ধরণের?
    Ans: পরিমাণবাচক মানচিত্র।

  17. সমপ্রেষ রেখা সমন্বিত মানচিত্র কী ধরণের?
    Ans: তথ্যভিত্তিক মানচিত্র।

  18. আবহাওয়া মানচিত্র কী ধরণের?
    Ans: বিষয়মূলক মানচিত্র।

  19. সর্বপ্রথম পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন করেন কে?
    Ans: অ্যানাক্সিম্যাণ্ডার (Anaximander)।

  20. পৃথিবীর প্রথম প্রকাশিত মানচিত্র কোনটি?
    Ans: গেরারডাস মার্কেটর (Gerardas Mercator)।


সংক্ষিপ্ত | মানচিত্র ও স্কেল (নবম অধ্যায়) | WB Class 9 Geography SAQ

প্রশ্ন ১: স্কেল কাকে বলে?

উত্তর:
মানচিত্রে দুটি স্থান বা দূরত্ব এবং ভূমির ঐ দুটি স্থানের দূরত্বের মধ্যে অনুপাতকে যখন মানচিত্রে দেখানো হয়, তখন তাকে স্কেল বলা হয়। স্কেল মানচিত্রে প্রদত্ত দূরত্বকে বাস্তব জগতের দূরত্বের সাথে তুলনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এটি মানচিত্রে সঠিকভাবে অবস্থান, দূরত্ব এবং আকার বোঝার জন্য অপরিহার্য।


প্রশ্ন ২: ম্যাপ (Map) শব্দটির উৎস কী এবং এর অর্থ কী?

উত্তর:
ইংরেজি শব্দ ‘Map’ ল্যাটিন শব্দ ‘Mappa’ থেকে উদ্ভূত। এই শব্দের অর্থ হলো টেবিল কাপড় বা চৌকো কাপড়ের টুকরো। প্রাচীন যুগে মানচিত্র সাধারণত কাপড় বা চামড়ার টুকরোর উপর অঙ্কিত হতো, যেখান থেকে নামটি এসেছে।


প্রশ্ন ৩: ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র কাকে বলে?

উত্তর:
যে মানচিত্র নির্দিষ্ট স্কেলে, নির্দিষ্ট অভিক্ষেপে এবং নির্দিষ্ট পরিসরে বিস্তৃত ভূমির বিভিন্ন অঞ্চলকে প্রদর্শন করে, সেখানে প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক উপাদানসমূহ প্রচলিত প্রতীক বা চিহ্নের মাধ্যমে বিশদভাবে চিত্রায়িত করা হয়, তাকে ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (Topographical Map) বলা হয়।

ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্রের মূল উদ্দেশ্য হলো মানচিত্রের মাধ্যমে জায়গার প্রকৃতি, পাহাড়, নদী, রাস্তাঘাট এবং মানুষের ক্রিয়াকলাপের অবস্থান স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করা। এটি ভূগোলবিদ ও প্রকৌশলীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


প্রশ্ন ৪: দিগংশ কী?

উত্তর:
ভূগোলিক দিক নির্দেশনার ক্ষেত্রে, যদি উত্তর রেখা থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকের কোণ অনুযায়ী কোনো রেখা হেলে থাকে, তাহলে ঐ রেখার কোণকে বলা হয় দিগংশ (Bearing)

দিগংশ ব্যবহার করে মানচিত্রে দুটি বিন্দুর মধ্যে সঠিক দিক ও অবস্থান নির্ধারণ করা যায়। এটি বিশেষ করে নৌপথ, বিমানপথ এবং ভূগোলের স্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ।


প্রশ্ন ৫: মানচিত্রের শ্রেণিবিভাগগুলি কী কী?

উত্তর:
মানচিত্রকে স্কেলের ভিত্তিতে দুই প্রকারে ভাগ করা হয়:

  1. বৃহৎ স্কেলের মানচিত্র (Large Scale Map)

  2. ক্ষুদ্র স্কেলের মানচিত্র (Small Scale Map)

বৃহৎ স্কেলের মানচিত্রের আরও তিনটি ভাগ রয়েছে:

  • ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (Topographical Map): প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান সহ বিস্তৃত অঞ্চল চিত্রায়িত করা হয়।

  • প্ল্যান (Plan): নগর বা স্থানের ছোট অংশের বিশদ মানচিত্র।

  • মৌজা মানচিত্র (Cadastral Map): রাজস্ব এবং সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রশাসনিক মানচিত্র।


প্রশ্ন ৬: এটলাস মানচিত্র কী?

উত্তর:
১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে মারকেটর এবং হন্ড যৌথভাবে বিভিন্ন মানচিত্র সংগ্রহ করে পুস্তকের আকারে প্রকাশ করেন।

এই পুস্তকের প্রচ্ছদে দেখা যায়, গ্রিক পুরাণের দৈত্য অ্যাটলাসের কাঁধে পৃথিবী ধারণ করা ছবিটি।

এই কারণে, পরবর্তীকালে পুস্তকের আকারে প্রকাশিত মানচিত্রকে ‘অ্যাটলাস মানচিত্র’ বলা হয়। এটলাস মানচিত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের মানচিত্র, মহাদেশ ও গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক উপাদান একত্রে দেখা যায়।


সংক্ষিপ্ত ব্যাখামূলক | মানচিত্র ও স্কেল (নবম অধ্যায়) | WB Class 9 Geography SAQ


প্রশ্ন ১: মানচিত্র (Map) কাকে বলে?

উত্তর:
ইংরেজি শব্দ ‘Map’ ল্যাটিন শব্দ ‘Mappa’ থেকে উদ্ভূত। ‘Mappa’ অর্থ হলো কাপড়, কারণ প্রাচীনকালে মানচিত্র সাধারণত কাপড়, চামড়া বা তুলট কাগজের উপর অঙ্কিত হতো।

যে কোনো স্থানের সমগ্র পৃথিবী অথবা এর কোনো অংশকে সঠিক দিক অনুসারে নির্দিষ্ট স্কেলে সমতল কাগজের ওপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা দ্বারা তৈরি ছকের মধ্যে উপস্থাপন করা হয়, তাকে মানচিত্র বলা হয়।

সাধারণভাবে বলা যায়:
মানচিত্র = মান + চিত্র, অর্থাৎ নির্দিষ্ট স্কেলে অঙ্কিত চিত্র


প্রশ্ন ২: মানচিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?

উত্তর:

  1. নির্দিষ্ট স্কেলে অঙ্কন: মানচিত্র একটি নির্দিষ্ট স্কেলে অঙ্কিত হয়, যাতে বাস্তব দূরত্ব এবং আকারের সঠিক তুলনা করা যায়।

  2. দিক নির্দেশনা: সাধারণত মানচিত্রের উপরের দিকে উত্তর দিক ধরা হয়।

  3. বিভিন্ন রং ও চিহ্ন: মানচিত্রে বিভিন্ন বিষয় বা উপাদান বিভিন্ন রং, চিহ্ন ও সংকেতের মাধ্যমে দেখানো হয়।

  4. অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার প্রয়োজনীয়তা: সঠিক অবস্থান ও স্থান নির্ধারণের জন্য অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা অপরিহার্য।


প্রশ্ন ৩: লৈখিক স্কেল (Graphical Scale) বলতে কী বোঝায়?

উত্তর:
সংজ্ঞা: মানচিত্রে কোনো স্কেলকে চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করলে তাকে লৈখিক স্কেল বলা হয়।

বৈশিষ্ট্য:

  • সাধারণত সরলরেখার ওপর স্কেল প্রকাশ করা হয়।

  • মানচিত্র বড় বা ছোট করলে স্কেলও একই অনুপাতে বড় বা ছোট হয়, তাই এটি ব্যবহার সহজ।

  • নকশাকারী এবং ব্যবহারকারীর জন্য সুবিধাজনক।


প্রশ্ন ৪: বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র (Thematic Map) কী?

উত্তর:
যে মানচিত্র কোনো একক বিষয়ের ওপর তৈরি হয়, যেমন:

  • প্রাকৃতিক: ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, মাটি

  • অর্থনৈতিক: কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, পরিবহণ

  • সাংস্কৃতিক: জনসংখ্যা, ধর্ম, শিক্ষা

এই মানচিত্রকে বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র বা থিমেটিক মানচিত্র বলা হয়।

উদাহরণ:
নদী মানচিত্র, আবহাওয়া মানচিত্র, জনসংখ্যা মানচিত্র।


প্রশ্ন ৫: কাটোগ্রাফি (Cartography) কী?

উত্তর:
কার্টোগ্রাফি হলো মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা

এই শাস্ত্রের মাধ্যমে:

  • বিভিন্ন পরিসংখ্যান বা তথ্যকে

  • ভূপৃষ্ঠের কোনো বিষয়কে
    চিত্ররূপে উপস্থাপন করা যায়।

কার্টোগ্রাফি ভূগোলবিদ এবং প্রকৌশলীদের জন্য অপরিহার্য, কারণ এটি তথ্যকে দৃশ্যমান ও সহজে বোঝার মতো আকারে প্রকাশ করে।


প্রশ্ন ৬: সমমানরেখা মানচিত্র (Isopleth Map) কী?

উত্তর:

  • Isopleth: ‘Iso’ অর্থ সমান, ‘pleth’ অর্থ মাপ

  • যে মানচিত্রে কোনো ভৌগোলিক বিষয়ের সমমানযুক্ত স্থান রেখার মাধ্যমে পরস্পর যুক্ত করে দেখানো হয়, তাকে সমমানরেখা মানচিত্র বলা হয়।

উদাহরণ:

  • সমচাপরেখা

  • সমোন্নতিরেখা

  • সমোয়রেখা

  • সমবর্ষণরেখা

এটি পরিমাণগত মানচিত্রের উদাহরণ।


প্রশ্ন ৭: কোরোপ্লেথ ম্যাপ (Choropleth Map) কী?

উত্তর:

  • Choropleth: ‘Choro’ অর্থ স্থান, ‘pleth’ অর্থ মাপ

  • যে মানচিত্রে প্রশাসনিক অঞ্চল বা কোনো ভৌগোলিক উপাদানের ঘনত্ব/পরিমাণ রঙ বা ছায়াপাতের মাধ্যমে দেখানো হয়, তাকে কোরোপ্লেথ মানচিত্র বলা হয়।

উদাহরণ: জনসংখ্যার ঘনত্ব মানচিত্র।


প্রশ্ন ৮: কার্টোগ্রাম (Cartogram) কী?

উত্তর:

  • Cartogram শব্দটি এসেছে ‘Karte’ (মানচিত্র) + ‘Diagramma’ (নকশা) থেকে।

  • এটি মানচিত্রে ভৌগোলিক তথ্যকে সরলীকৃত চিত্রে প্রদর্শনের পদ্ধতি।

প্রয়োগ:

  • রঙ, বিন্দু, রেখা বা বৃত্ত ব্যবহার করে তথ্য প্রদর্শন করা।

  • এটি মাপচিত্র বা Cartogram নামে পরিচিত।


প্রশ্ন ৯: বর্তমানে মানচিত্র বইকে ‘Atlas’ নামকরণ করা হয় কেন?

উত্তর:

  • ষোড়শ শতাব্দীতে (1578 খ্রিস্টাব্দে) হল্যান্ডের ভূগোলবিদ মারকেটর প্রথম মানচিত্র বই প্রকাশ করেন।

  • বইয়ের নাম রাখা হয় Greek পুরাণের দেবতা ‘Atlas’ এর নামে।

  • সেই সময় থেকে সর্বসাধারণ মানচিত্র বইকে ‘Atlas’ নামে চেনা হয়।


প্রশ্ন ১০: উপগ্রহ চিত্র (Satellite Image) কী?

উত্তর:
উপগ্রহ চিত্র হলো কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে সংগৃহীত পৃথিবীর অংশের আলোকচিত্র।

  • মহাকাশে উৎক্ষিপ্ত উপগ্রহ পৃথিবীর আলোকচিত্র সংগ্রহ করে এবং পর্যবেক্ষকের কাছে পাঠায়।

  • এটি মানচিত্র তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে।


প্রশ্ন ১১: মানচিত্র অভিক্ষেপ (Map Projection) কী?

উত্তর:
যে নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার জালিকাকে দ্বিমাত্রিক তলে (কাগজে) স্থানান্তর করা হয়, তাকে মানচিত্র অভিক্ষেপ বলা হয়।

  • এটি নিশ্চিত করে যে পৃথিবীর কোনো অংশের মানচিত্র সঠিক স্কেল ও দিক অনুসারে প্রদর্শিত হচ্ছে।


প্রশ্ন ১২: ভূমি ব্যবহার মানচিত্র (Land Use Map) কী?

উত্তর:
যে মানচিত্রে বৃহৎ স্কেলে নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভূমি বা জমি কোন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে তা আলাদা রং বা সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে দেখানো হয়, তাকে ভূমি ব্যবহার মানচিত্র বলা হয়।


রচনাধর্মী | ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (টোপোগ্রাফিকাল মানচিত্র) | Class 9 Geography WB Board

প্রশ্ন: 1. ভূ-বৈচিত্র্যসূচক বা টোপোগ্রাফিকাল মানচিত্র কাকে বলে? এই মানচিত্রের বৈশিষ্ট্য লেখো। এই মানচিত্র পাঠের উদ্দেশ্য বা প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করো।


উত্তর:

সংজ্ঞা:

ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র বা Topographical Map হল এমন একটি মানচিত্র যা কোনো নির্দিষ্ট স্থানের স্থানের সঠিক অবস্থান, আয়তন এবং প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদান বিস্তারিতভাবে প্রদর্শন করে।

  • শব্দের উৎপত্তি: গ্রিক শব্দ ‘Topos’ অর্থ স্থান, এবং ‘Grapho’ অর্থ আঁকা

  • এই দুই শব্দের মিলনে তৈরি হয়েছে Topographical, যা নির্দেশ করে যে মানচিত্রটি নির্দিষ্ট স্থানের ভূ-প্রকৃতি ও মানবিক কার্যক্রমের সমন্বয় চিত্রায়িত করে।

প্রাকৃতিক উপাদান:

  • ভূ-প্রকৃতি (পাহাড়, সমতল, উপত্যকা)

  • নদ-নদী, জলনির্গম প্রণালী

  • স্বাভাবিক উদ্ভিদ বা বনাঞ্চল

সাংস্কৃতিক/মানব-উৎপন্ন উপাদান:

  • যোগাযোগ ব্যবস্থা (রাস্তা, রেলপথ)

  • জনবসতি (গ্রাম, শহর)

  • ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান (মন্দির, মসজিদ, বাজার)


বৈশিষ্ট্য:

  1. স্কেল (Scale):

    • মানচিত্রটি নির্দিষ্ট সুনির্দিষ্ট স্কেল অনুসারে আঁকা হয়।

    • সাধারণ উদাহরণ: 1:50,000, 1:250,000 ইত্যাদি।

  2. বিস্তার (Extent):

    • মানচিত্রে নির্দিষ্ট অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ অনুসারে অঞ্চল দেখানো হয়।

  3. প্রতীক ও রঙ (Conventional Signs & Colors):

    • প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানগুলোকে নির্দিষ্ট প্রতীক এবং রঙের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয়।

    • উদাহরণ: পাহাড়ের জন্য ঢালু রেখা, নদীর জন্য নীল রঙের রেখা।

  4. সূচক সংখ্যা (Index Number):

    • প্রতিটি টোপোগ্রাফিকাল মানচিত্রের একটি নির্দিষ্ট সূচক সংখ্যা থাকে।

    • যেমন: 720, 73/476 ইত্যাদি।

  5. উপাদান (Elements):

    • প্রাকৃতিক: ভূ-প্রকৃতি, নদ-নদী, বনাঞ্চল, পাহাড়, সমতল

    • সাংস্কৃতিক: রাস্তা, রেলপথ, গ্রাম, শহর, বাজার, মন্দির ইত্যাদি

  6. প্রকাশনা:

    • ভারতবর্ষে Survey of India এই মানচিত্র প্রস্তুত ও প্রকাশ করে।


প্রয়োজনীয়তা / উদ্দেশ্য:

  1. ভূগোল ও পরিবেশ বিশ্লেষণ:

    • প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানের সম্পর্ক বুঝতে সাহায্য করে।

  2. পরিকল্পনা ও প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার:

    • রাজস্ব, নগরায়ন, পরিবহন ব্যবস্থা এবং অবকাঠামোগত কাজের জন্য অপরিহার্য।

  3. নৌ ও বিমানপথ, যাত্রা ও পর্যবেক্ষণ:

    • সঠিক স্থানের অবস্থান ও পথনির্দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  4. শিক্ষা ও গবেষণায় সহায়ক:

    • ভূগোলবিদ, পরিবেশবিদ ও শিক্ষার্থীদের জন্য ভূ-প্রকৃতি এবং মানব ক্রিয়াকলাপের সমন্বয় বোঝার সুযোগ দেয়।


সংক্ষেপে বলা যায়:
ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র হলো প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানের বিশদ চিত্রায়ন, যা সঠিক স্কেল ও প্রতীক ব্যবহার করে তৈরি হয় এবং শিক্ষা, পরিকল্পনা ও প্রশাসনিক কাজে অপরিহার্য।


2. মানচিত্রের গুরুত্ব ও ব্যবহার | Class 9 Geography WB Board

উত্তর:

মানচিত্র হলো এমন একটি মাধ্যম, যার মাধ্যমে আমরা পৃথিবী বা কোনো দেশের প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারি। এর গুরুত্ব প্রাচীনকালের সমুদ্রযাত্রা ও নতুন দেশ আবিষ্কার থেকে শুরু করে বর্তমান যুগের ভৌগোলিক বিশ্লেষণ, পরিকল্পনা ও দেশের উন্নয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত।


১. অবস্থান নির্ণয়ে সাহায্য

মানচিত্রের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবস্থান সম্পর্কে সহজে ধারণা পেতে পারি।

  • উদাহরণস্বরূপ, ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্র থেকে আমরা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অবস্থান সহজে নির্ধারণ করতে পারি।

  • সমুদ্রপথ বা বায়ুপথে যাত্রার সময় দিক নির্দেশনা ও অবস্থান নির্ধারণে মানচিত্র ব্যবহার অপরিহার্য।


২. দূরত্ব নির্ণয়

প্রতিটি মানচিত্র নির্দিষ্ট স্কেলে অঙ্কিত হয়।

  • এই স্কেলের মাধ্যমে মানচিত্রে প্রদত্ত দূরত্ব থেকে বাস্তব ভূ-দূরত্ব নির্ধারণ করা যায়।

  • ফলে যেকোনো দুটি স্থানের মধ্যে সঠিক দূরত্ব বা যাত্রার সময় প্রায় নির্ধারণ করা সম্ভব।


৩. প্রাকৃতিক উপাদানের বিশ্লেষণ

মানচিত্রের মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি, মৃত্তিকা, স্বাভাবিক উদ্ভিদ, নদ-নদী প্রভৃতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে পারি।

  • এই তথ্যের সাহায্যে আমরা ভৌগোলিক উপাদান শনাক্তকরণ, বিশ্লেষণ ও পরিকল্পনা করতে পারি।


৪. আর্থসামাজিক দিক প্রদর্শন

বিষয়ভিত্তিক মানচিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষি, শিল্প, জনসংখ্যা, অর্থনীতি এবং সামাজিক রীতিনীতি চিত্রায়িত করা যায়।

  • ফলে মানচিত্র ভৌগোলিক ও সামাজিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


৫. জরিপে সুবিধা

মানচিত্র গ্লোবের তুলনায় হালকা ও বহনযোগ্য, তাই ভৌগোলিক জরিপ ও মাঠ পর্যবেক্ষণে এটি ব্যবহার করা সহজ।

  • বিভিন্ন জরিপ ও পরিকল্পনায় মানচিত্র দ্রুত তথ্য ও স্থানীয় তথ্য সংগ্রহে সহায়ক।


৬. শিক্ষাক্ষেত্রে সহায়ক

মানচিত্রের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্ব ও দেশের প্রাকৃতিক ও মানবিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা পায়।

  • এটি শিক্ষাক্ষেত্রে ধারাবাহিক জ্ঞান বৃদ্ধি ও বিশ্লেষণক্ষমতা উন্নয়নে কার্যকর।


৭. অন্যান্য ব্যবহার

মানচিত্র শুধু শিক্ষা ও গবেষণাতেই নয়, বরং পর্যটন, প্রতিরক্ষা, প্রশাসনিক ও সামরিক কাজেও ব্যবহার করা হয়।

  • পর্যটকরা নির্দিষ্ট স্থানের দিক ও আকর্ষণীয় স্থান শনাক্ত করতে মানচিত্র ব্যবহার করে।

  • প্রতিরক্ষা বা প্রশাসনিক কাজে অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার সঠিক মূল্যায়নে মানচিত্র অপরিহার্য।


সংক্ষেপে বলা যায়:
মানচিত্র একটি সর্বব্যাপী শিক্ষামূলক ও বিশ্লেষণধর্মী উপকরণ, যা আমাদের অবস্থান, দূরত্ব, প্রাকৃতিক ও মানবিক উপাদান, আর্থসামাজিক তথ্য এবং পরিকল্পনা ও জরিপে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।


ঠিক আছে! আমি তোমার দেওয়া “ভগ্নাংশসূচক স্কেল বা RF স্কেল” সংক্রান্ত উত্তরটিকে রচনাধর্মী ও বিশ্লেষণধর্মীভাবে, বড়, বিস্তারিত এবং 100% ইউনিকভাবে সাজাচ্ছি।


ভগ্নাংশসূচক স্কেল (Representative Fraction – RF Scale) | Class 9 Geography WB Board

প্রশ্ন: 3 ভগ্নাংশসূচক স্কেল বা RF স্কেল কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্য কী কী?


উত্তর:

সংজ্ঞা:

যখন মানচিত্রের দূরত্ব এবং বাস্তব ভূমির দূরত্বের অনুপাতকে ভগ্নাংশের আকারে প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে ভগ্নাংশসূচক স্কেল বা Representative Fraction (RF) বলা হয়।

  • RF স্কেলের মাধ্যমে আমরা মানচিত্রে প্রদত্ত দূরত্বকে বাস্তব পৃথিবীর দূরত্বের সাথে সহজে তুলনা করতে পারি।

  • এটি নির্দিষ্ট ও এককহীন সংখ্যা আকারে প্রকাশিত হয়, যা যেকোনো একক ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনক।


বৈশিষ্ট্য:

  1. এককহীন স্কেল:

    • RF স্কেলে কোনো নির্দিষ্ট একক (Unit) প্রদত্ত থাকে না

    • মানচিত্রের দূরত্ব ও বাস্তব দূরত্বের একক একই ধরা হয়।

  2. সর্বদা ১ দিয়ে শুরু:

    • ভগ্নাংশসূচক স্কেলের সবসময় লব = 1 হয়।

    • অর্থাৎ, প্রথম সংখ্যা সর্বদা 1 থাকে।

  3. সরাসরি তুলনা সম্ভব:

    • RF স্কেলের সাহায্যে মানচিত্রের যেকোনো দূরত্ব সরাসরি ভূমির দূরত্বের সাথে তুলনা করা যায়।


উদাহরণ:

1 : 50,000

  • অর্থ: মানচিত্রে 1 সেমি দূরত্ব ভূমিতে 50,000 সেমি (অর্থাৎ 500 মিটার) দূরত্বের সমান।

  • ফলে, সহজভাবে আমরা মানচিত্রের দূরত্ব থেকে বাস্তব দূরত্ব নির্ধারণ করতে পারি।


উপসংহার:

ভগ্নাংশসূচক স্কেল (RF Scale) হলো সর্বাধিক ব্যবহৃত স্কেল যা সরাসরি অনুপাত ও তুলনায় সুবিধাজনক। এটি শিক্ষার্থী, জরিপকারী এবং ভূগোলবিদদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


ঠিক আছে! আমি তোমার দেওয়া “কর্ণিক স্কেল বা ডায়াগোনাল স্কেল” সংক্রান্ত উত্তরটিকে রচনাধর্মী ও বিশ্লেষণধর্মীভাবে, বড়, বিস্তারিত এবং 100% ইউনিকভাবে সাজাচ্ছি।


কর্ণিক স্কেল (Diagonal Scale) | Class 9 Geography WB Board

প্রশ্ন: 4. কর্ণিক স্কেল বা ডায়াগোনাল স্কেল কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার কী?


উত্তর:

সংজ্ঞা:

কর্ণিক স্কেল বা ডায়াগোনাল স্কেল হলো এমন একটি স্কেল যা আয়তক্ষেত্র বা বর্গক্ষেত্রের দুটি কর্ণকে যুক্ত করে সদৃশ ত্রিভুজ তৈরি করার মাধ্যমে গৌণ ভাগকে ভগ্নাংশে রূপান্তরিত করে

  • মূল উদ্দেশ্য: মানচিত্রে সূক্ষ্ম বা অতি সূক্ষ্ম দূরত্ব নির্ণয় করা।

  • এটি মূলত বৃহৎ স্কেল মানচিত্র, বিশেষ করে মৌজা মানচিত্রে ব্যবহার করা হয়।


বৈশিষ্ট্য:

  1. বৃহৎ স্কেল মানচিত্রে প্রয়োগ:

    • বড়ো স্কেল মানচিত্র, যেমন মৌজা মানচিত্রে কর্ণিক স্কেলের ব্যবহার বেশি।

  2. মুখ্য, গৌণ ও প্রগৌণ ভাগে বিভাজন:

    • দৈর্ঘ্যকে মুখ্য (Main), গৌণ (Sub) ও প্রগৌণ (Sub-sub) ভাগে ভাগ করা যায়।

    • এই ভাগের মাধ্যমে অতি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম মান পড়া সম্ভব।

  3. সমানুপাতিক মান:

    • একটি মুখ্য ভাগের মান সমান গৌণ ভাগ দ্বারা বিভক্ত।

    • একটি গৌণ ভাগের মান সমান প্রগৌণ ভাগ দ্বারা বিভক্ত।

    • প্রগৌণ ভাগের প্রতিটি অংশ গৌণ ভাগের অনুপাতিক দৈর্ঘ্য নির্দেশ করে।

  4. সঠিক এবং সূক্ষ্ম মান নির্ণয়:

    • দূরত্ব, ক্ষেত্রফল বা কোণ নির্ণয়ে বেশ সঠিক ও সূক্ষ্ম পাঠ সম্ভব।


ব্যবহার:

  1. অতি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম দূরত্ব নির্ণয়:

    • মুখ্য, গৌণ ও প্রগৌণ ভাগের মাধ্যমে মানচিত্রে সূক্ষ্ম দূরত্ব নির্ধারণ করা যায়।

  2. কোণ পরিমাপ:

    • ডায়াগোনাল স্কেল কোণ পরিমাপের ক্ষেত্রেও ব্যবহারযোগ্য।

  3. ক্ষেত্রফল নির্ণয়:

    • মানচিত্রে কোনো অঞ্চলের ক্ষেত্রফল পরিমাপ করতে ব্যবহৃত হয়।

  4. পেশাদার ব্যবহার:

    • পরিকল্পনাকারী, জরিপকারী এবং ভূগোলবিদরা মানচিত্র বিশ্লেষণ ও জরিপের জন্য এই স্কেল ব্যবহার করেন।


সংক্ষেপে বলা যায়:
কর্ণিক স্কেল বা ডায়াগোনাল স্কেল হলো এমন একটি সূক্ষ্ম ও অত্যন্ত নির্ভুল স্কেল, যা মুখ্য, গৌণ ও প্রগৌণ ভাগের মাধ্যমে মানচিত্রে দূরত্ব ও ক্ষেত্রফল নির্ণয়ে বিশেষভাবে সহায়ক।


ঠিক আছে! আমি তোমার দেওয়া “তুলনামূলক রৈখিক স্কেল (Comparative Linear Scale)” সংক্রান্ত উত্তরটিকে রচনাধর্মী ও বিশ্লেষণধর্মীভাবে, বড় ও বিস্তারিতভাবে সাজাচ্ছি।


তুলনামূলক রৈখিক স্কেল (Comparative Linear Scale) | Class 9 Geography WB Board

প্রশ্ন:

তুলনামূলক রৈখিক স্কেল কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার কী কী?


উত্তর:

সংজ্ঞা:

যখন পারস্পরিক দুটি ভিন্ন এককে (যেমন CGS ও FPS) প্রকাশিত দুটি সরলরৈখিক স্কেলকে একত্রে তুলনামূলকভাবে প্রদর্শন করার জন্য একটি সরলরেখার দুই পাশে দুটি স্কেল অঙ্কন করা হয়, তখন তাকে তুলনামূলক রৈখিক স্কেল বা Comparative Linear Scale বলা হয়।

  • এটিকে যৌগিক রৈখিক স্কেল নামেও ডাকা হয়।

  • মূল উদ্দেশ্য: ভিন্ন একক ব্যবহৃত দূরত্বের মধ্যে সহজে তুলনা ও পরিমাপ করা।


বৈশিষ্ট্য:

  1. দুইটি এককের তুলনা:

    • এই স্কেলে CGS (সেন্টিমিটার-গ্রাম-সেকেন্ড) এবং FPS (ফুট-পাউন্ড-সেকেন্ড) পদ্ধতির দুই একককে একসাথে তুলনা করা যায়।

  2. সমান সংখ্যা ভাগ:

    • উভয় স্কেলেই একই সংখ্যক মুখ্য (Main) ও গৌণ (Sub) বিভাগ থাকে।

    • একই ভগ্নাংশসূচক (RF) ব্যবহার করে মান নির্ধারণ করা সম্ভব।

  3. দূরত্বের সাধারণ পার্থক্য নির্ণয়:

    • মাইল এবং কিলোমিটার ভিত্তিক দূরত্বের সহজ তুলনা ও নির্ণয় করা যায়।

  4. সহজ বোঝা ও আঁকা:

    • তুলনামূলক রৈখিক স্কেল ব্যবহার ও অঙ্কন সহজ, তাই শিক্ষার্থী এবং জরিপকারীদের জন্য সুবিধাজনক।

  5. প্রচলন:

    • প্রথমে সামরিক প্রয়োজনে ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যবহৃত হলেও পরে সমগ্র বিশ্বে ব্যবহার শুরু হয়।

  6. মূল স্কেল ও ভার্নিয়ার সংযুক্তি:

    • এই স্কেলে মূল স্কেল ও ভার্নিয়ার স্কেল একসাথে সংযুক্ত থাকে।

    • এর মাধ্যমে যেকোনো দৈর্ঘ্য নির্ভুলভাবে পরিমাপযোগ্য


ভার্নিয়ার স্কেলের সম্পর্কিত তথ্য:

  1. পরিমাপের নিয়ম:
    [
    মোট দৈর্ঘ্য = প্রধান স্কেলের মাপ + ভার্নিয়ার স্কেলের মাপ
    ]

  2. ভার্নিয়ার স্থিরাঙ্ক (Vernier Constant, VC):

    • মূল স্কেলের ক্ষুদ্রতম ভাগ এবং ভার্নিয়ার স্কেলের ক্ষুদ্রতম ভাগের মধ্যবর্তী পার্থক্যকে ভার্নিয়ার স্থিরাঙ্ক বলা হয়।

    • সূত্র:
      [
      VC = \frac{d}{n}
      ]
      যেখানে,

    • (d) = মূল স্কেলের ক্ষুদ্রতম ভাগের মান

    • (n) = ভার্নিয়ার স্কেলের ক্ষুদ্রতম ভাগের সংখ্যা


ব্যবহার:

  1. দূরত্ব নির্ণয়:

    • মানচিত্রে সঠিক ও অতি সূক্ষ্ম দূরত্ব নির্ণয়ে ব্যবহৃত।

  2. ভিন্ন এককের তুলনা:

    • মাইল ও কিমি বা অন্যান্য একক ব্যবহৃত দূরত্বের সহজ তুলনা ও রূপান্তর

  3. পরিকল্পনা ও জরিপে ব্যবহার:

    • জরিপ, নকশা ও পরিকল্পনায় তুলনামূলক রৈখিক স্কেল গুরুত্বপূর্ণ।

  4. উপকরণে ব্যবহার:

    • থিয়োডোলাইট, ব্যারোমিটার, সেক্সট্যান্ট, প্লানিমিটার ইত্যাদিতে ব্যবহৃত।


সংক্ষেপে বলা যায়:
তুলনামূলক রৈখিক স্কেল হলো এমন একটি দুই এককের সঙ্গে মানানসই রৈখিক স্কেল, যা দূরত্ব নির্ণয় ও একক তুলনায় সঠিকতা নিশ্চিত করে। এটি শিক্ষার্থী, জরিপকারী এবং পরিকল্পনাকারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যবহারযোগ্য স্কেল।


6. তুলনামূলক রৈখিক স্কেল (Comparative Linear Scale)

Class 9 Geography – Map Work / Scale


সংজ্ঞা:

তুলনামূলক রৈখিক স্কেল বলতে বুঝায় এমন একটি স্কেল যেখানে দুটি ভিন্ন এককে (যেমন CGS পদ্ধতি এবং FPS পদ্ধতি) একই সরলরেখায় তুলনামূলকভাবে প্রদর্শন করা হয়। অর্থাৎ, এক রৈখিক স্কেলের একদিকে CGS স্কেল এবং অপরদিকে FPS স্কেল অঙ্কন করা হয়। এটি যৌগিক রৈখিক স্কেল হিসেবেও পরিচিত।

উদ্দেশ্য: দুটি ভিন্ন একক ব্যবহারের মধ্যে সহজে তুলনা ও দূরত্ব নির্ণয় করা।


বৈশিষ্ট্য:

  1. যৌগিক স্কেল: এটি যৌগিক রৈখিক স্কেল হিসেবেও পরিচিত, কারণ এতে দুটি স্কেল একত্রে অঙ্কন করা হয়।

  2. দুই এককের তুলনা: CGS এবং FPS পদ্ধতির দুই একককে সহজে তুলনা করা যায়।

  3. একই সংখ্যক বিভাগ: উভয় স্কেলে মুখ্য ও গৌণ বিভাগ সমান সংখ্যক থাকে।

  4. ভগ্নাংশ স্কেল দ্বারা প্রকাশ: স্কেলের দূরত্ব এবং মানকে ভগ্নাংশ সূচক স্কেল বা RF দ্বারা সহজে প্রকাশ করা যায়।

  5. দূরত্ব নির্ণয়: মাইল ও কিলোমিটারের মধ্যে সাধারণ পার্থক্য নির্ধারণ সহজ।

  6. দুটি রৈখিক স্কেল: একসাথে দুটি স্কেল অঙ্কন সম্ভব।

  7. প্রাচীন ব্যবহার: সামরিক প্রয়োজনে প্রথম ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যবহৃত হলেও পরবর্তীতে বিশ্বের সমস্ত দেশে এর ব্যবহার শুরু হয়।


সুবিধা:

  • বোঝা ও আঁকা সহজ।

  • দুটি ভিন্ন একক বা দৈর্ঘ্যের মধ্যে তুলনা সহজ।

  • একসাথে দুটি রৈখিক স্কেল ব্যবহার করা যায়।

  • যে কোনও দৈর্ঘ্য নির্ভুলভাবে পরিমাপযোগ্য।

  • থিয়োডোলাইট, ব্যারোমিটার, সেক্সট্যান্ট, প্লানিমিটার ইত্যাদি যন্ত্রে ব্যবহৃত।


পরিমাপের নিয়ম:

[
\text{মোট দৈর্ঘ্য} = \text{মূল স্কেলের মাপ} + \text{ভার্নিয়ার স্কেলের মাপ}
]


ভার্নিয়ার স্থিরাঙ্ক (Vernier Constant – VC):

ভার্নিয়ার স্থিরাঙ্ক হলো মূল স্কেলের একটি ক্ষুদ্রতম ভাগ এবং ভার্নিয়ার স্কেলের একটি ক্ষুদ্রতম ভাগের মধ্যে পার্থক্য

[
\text{VC} = \frac{d}{n}
]

যেখানে:

  • (d) = মূল স্কেলের ক্ষুদ্রতম ভাগের মান

  • (n) = ভার্নিয়ার স্কেলের ক্ষুদ্রতম ভাগের সংখ্যা


উপসংহার:
তুলনামূলক রৈখিক স্কেল দুই ভিন্ন এককের দূরত্বকে তুলনামূলকভাবে নির্ণয় ও ব্যবহার করার একটি কার্যকর ও সহজ পদ্ধতি। এটি মানচিত্র ও পরিমাপের কাজকে আরও নির্ভুল, দ্রুত ও সুবিধাজনক করে তোলে।





West Bengal Class 9th Geography Suggestion 2025 WBBSE | Class 9 Geography Suggestion 2025 | পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ২০২৫

নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ২০২৫ – Class 9 Geography Suggestion 2025 :

  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – গ্রহরূপে পৃথিবী (প্রথম অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীর গতিসমূহ (দ্বিতীয় অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – পৃথিবীপৃষ্ঠের কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় (তৃতীয় অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ (চতুর্থ অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – আবহবিকার (পঞ্চম অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – দুর্যোগ ও বিপর্যয় (ষষ্ঠ অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – ভারতের সম্পদ (সপ্তম অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – পশ্চিমবঙ্গ (অষ্টম অধ্যায়) Click Here
  • নবম শ্রেণীর ভূগোল – মানচিত্র ও স্কেল (নবম অধ্যায়) Click Here


Post a Comment

We’d love to hear your thoughts! Share your comment below.

Previous Post Next Post