ইলিয়াস গল্প প্রশ্ন ও উত্তর | নবম শ্রেণীর বাংলা – WB Class 9 Bengali Ilias Question Answer 2025 | লিও তলস্তয় গল্প বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর


ইলিয়াস গল্প প্রশ্ন ও উত্তর | নবম শ্রেণীর বাংলা – WB Class 9 Bengali Ilias Question Answer 2025 | লিও তলস্তয় গল্প বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর


নবম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন ২০২৫, West Bengal Class 9 Bengali Suggestion, Ilias Question Answer, ইলিয়াস গল্প প্রশ্নোত্তর, Leo Tolstoy Bengali Story, Class 9 Bengali Long Question Answer, WB Bengali Exam Suggestion 2025, বাংলা সাহিত্য প্রশ্নোত্তর


নবম শ্রেণীর বাংলা – ইলিয়াস (লিও তলস্তয়) গল্পের বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তর ২০২৫। এখানে পাওয়া যাবে পূর্ণাঙ্গ প্রশ্ন ও উত্তর – যেমন “পঞ্চাশ বছর ধরে সুখ খুঁজে খুঁজে এতদিনে পেয়েছি” প্রশ্নের ব্যাখ্যা, ইলিয়াস চরিত্র বিশ্লেষণ, ও মহম্মদ শা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। WB Class 9 Bengali Suggestion 2025 অনুযায়ী সাজানো প্রশ্নোত্তর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর পেতে সহায়ক।








🟢 ইলিয়াস (গল্প) – লিও তলস্তয়

নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 9 Bengali – “Ilyas” Question and Answer | MCQ Practice 2025


প্রশ্ন ১

‘একদল আত্মীয় অনেক দূর থেকে এসে তার বাড়িতে অতিথি হলে।’ – তারা কার অতিথি হয়েছিল?
(A) ইলিয়াসের কাছে
(B) মোল্লার কাছে
(C) ইলিয়াসের মেয়ের কাছে
(D) মহম্মদ শার কাছে
উত্তর: (D) মহম্মদ শার কাছে


প্রশ্ন ২

“একসময় ধনী ও সুখী এই দুই ব্যক্তির এমন করুণ দশা দেখে মহম্মদ শার মনে গভীর সহানুভূতি জাগত।

(A) ইলিয়াসের দুই ছেলে
(B) ইলিয়াস ও তার স্ত্রী
(C) মোল্লা ও তার স্ত্রী
(D) মোহাম্মদ শা ও তার স্ত্রী
উত্তর: (B) ইলিয়াস ও তার স্ত্রী


প্রশ্ন ৩

‘আমাদের সঙ্গে একটু কুমিস পান করবে’ – কথাটি কে কাকে বলেছিল?
(A) মহম্মদ শা ইলিয়াসকে
(B) মহম্মদ শা অতিথিদের
(C) মহম্মদ শা মোল্লাকে
(D) মহম্মদ শা শামশেমাগিকে
উত্তর: (A) মহম্মদ শা ইলিয়াসকে


প্রশ্ন ৪

‘অতিথিরা বিস্মিত’ – কেন তারা বিস্মিত হয়েছিল?
(A) ইলিয়াস ও তার স্ত্রী সব হারিয়েও সুখে আছে দেখে
(B) তারা নিজের কল্যাণের কথা বলেছিল বলে
(C) অর্ধশতাব্দী ধরে সুখের খোঁজ পেয়েছিল বলে
(D) তারা সম্পদ ফিরে পেয়েছিল বলে
উত্তর: (A) ইলিয়াস ও তার স্ত্রী সব হারিয়েও সুখে আছে দেখে


প্রশ্ন ৫

‘যখন তার বাবা মারা গেল, সে না ধনী না গরিব।’ – কার বিষয়ে বলা হয়েছে?
(A) অতিথিরা
(B) শামশেমাগি
(C) মোল্লা
(D) ইলিয়াস
উত্তর: (D) ইলিয়াস


প্রশ্ন ৬

‘ইলিয়াস প্রতিবেশীকে ধন্যবাদ দিল।’ – প্রতিবেশীটি কে ছিলেন?
(A) মোল্লা
(B) মহম্মদ শা
(C) অতিথিরা
(D) শামশেমাগি
উত্তর: (B) মহম্মদ শা


প্রশ্ন ৭

‘তার সবচেয়ে ভালো ঘোড়াগুলো চুরি হয়ে গেল’ – ঘোড়াগুলো চুরি করেছিল কারা?
(A) কিরবিজরা
(B) বিতাড়িত পুত্র
(C) অতিথিরা
(D) মোল্লা
উত্তর: (A) কিরবিজরা


প্রশ্ন ৮

‘সম্বল বলতে রইল শুধু কাঁধের বোঁচকা।’ – বোঁচকায় কী ছিল?
(A) কম্বল, জিন, তাবু
(B) লোমের কোট, জুতো ও বুট
(C) চা, কুমিস, মাংস
(D) মূল্যবান অলঙ্কার
উত্তর: (B) লোমের কোট, জুতো ও বুট


প্রশ্ন ৯

‘সে একেবারে সর্বহারা হয়ে পড়ল।’ – কখন এটি ঘটেছিল?
(A) মেয়ের মৃত্যুর পরে
(B) অবস্থা বুঝে ওঠার আগেই
(C) শরীরের জোর কমে গেলে
(D) বড় ছেলে মারা গেলে
উত্তর: (B) অবস্থা বুঝে ওঠার আগেই


প্রশ্ন ১০

“এছাড়াও যদি কিছু প্রয়োজন হয়, জানিও।” – কে কাকে বলেছিল?
(A) ইলিয়াস
(B) মোল্লা
(C) মহম্মদ শা
(D) অতিথি
উত্তর: (C) মহম্মদ শা


প্রশ্ন ১১

“আগেকার সুখ আর এখনকার দুঃখের কথা বলো।” – কে কাকে বলেছিল?
(A) শামশেমাগি
(B) অতিথি
(C) মহম্মদ শা
(D) ইলিয়াস
উত্তর: (B) অতিথি


প্রশ্ন ১২

“কখনও সুখ পাইনি।” – কবে সে সুখ পায়নি?
(A) যখন চিন্তায় ডুবে ছিল
(B) ধনী অবস্থায়
(C) শীতকালে
(D) সম্পত্তি হারালে
উত্তর: (B) ধনী অবস্থায়


প্রশ্ন ১৩

“এখনকার দুরাবস্থার কথা ভেবে কি কষ্ট হচ্ছে?” – কে কাকে বলেছিল?
(A) মোল্লা অতিথিকে
(B) ইলিয়াস ছেলেকে
(C) মহম্মদ শা ইলিয়াসকে
(D) অতিথি ইলিয়াসের স্ত্রীকে
উত্তর: (D) অতিথি ইলিয়াসের স্ত্রীকে


প্রশ্ন ১৪

‘দুর্দশা চরমে পৌঁছল’ – কখন?
(A) আত্মীয়দের আগমনকালে
(B) গ্রীষ্মকালে
(C) ইলিয়াসের ৭০ বছর বয়সে
(D) অতিথিদের কথায়
উত্তর: (C) ইলিয়াসের ৭০ বছর বয়সে


প্রশ্ন ১৫

“লোকটিকে কেউ চেনেনি, তবুও তার নাম ছড়িয়ে ছিল দূর দূরান্তে।” – কার কথা?
(A) গৃহস্বামীর
(B) শামশেমাগির
(C) অতিথির
(D) ইলিয়াসের
উত্তর: (C) অতিথির


প্রশ্ন ১৬

“সুখের সন্ধান পেয়েছি” – কত বছর পর?
(A) ২০ বছর
(B) ৩০ বছর
(C) ৫০ বছর
(D) অর্ধশতাব্দী
উত্তর: (C) ৫০ বছর


প্রশ্ন ১৭

“এ বিষয়ে সত্য জানেন তিনিই।” – কে সেই ব্যক্তি?
(A) মহম্মদ শা
(B) ইলিয়াস
(C) অতিথি
(D) শামশেমাগি
উত্তর: (D) শামশেমাগি


প্রশ্ন ১৮

“বন্ধুগণ হাসবেন না।” – কেন এমন বলা হয়েছে?
(A) কথাগুলো ধর্মগ্রন্থে লেখা
(B) এগুলো সত্য ঘটনা
(C) এটি কোনো কৌতুক নয়, জীবনের বাস্তবতা
(D) অতিথিদের মতামত
উত্তর: (C) এটি কোনো কৌতুক নয়, জীবনের বাস্তবতা


প্রশ্ন ১৯

“বন্ধুগণ হাসবেন না।” – কে বলেছেন?
(A) ইলিয়াস
(B) শামশেমাগি
(C) মহম্মদ শা
(D) অতিথি
উত্তর: (A) ইলিয়াস


প্রশ্ন ২০

ইলিয়াস কত বছরের পরিশ্রমে প্রচুর সম্পত্তি গড়েছিলেন?
(A) ৩০ বছর
(B) ৩২ বছর
(C) ৩৪ বছর
(D) ৩৫ বছর
উত্তর: (D) ৩৫ বছর


প্রশ্ন ২১

মহম্মদ শার বাড়ির অতিথিদের মধ্যে কে ছিলেন?
(A) পুরোহিত
(B) মোল্লা সাহেব
(C) ইলিয়াস
(D) ইলিয়াসের ছেলে
উত্তর: (B) মোল্লা সাহেব


প্রশ্ন ২২

শীতের জন্য মজুত রাখা হত যথেষ্ট —
(A) খাদ্যশস্য
(B) খড়
(C) ভেড়া
(D) যব
উত্তর: (B) খড়


প্রশ্ন ২৩

ইলিয়াসের বড় ছেলে মারা গিয়েছিল —
(A) জ্বরে
(B) কলেরায়
(C) ক্যানসারে
(D) মারামারিতে
উত্তর: (D) মারামারিতে


প্রশ্ন ২৪

“সেও তো পাপ।” – কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে?
(A) মজুরদের ওপর কঠোর নজরদারি
(B) পশুপালনের তদারকি
(C) পশুহত্যা
(D) অতিথি আপ্যায়নে ব্যর্থতা
উত্তর: (A) মজুরদের ওপর কঠোর নজরদারি


প্রশ্ন ২৫

‘ইলিয়াস নামে এক বাসকির বাস করত।’ – কোথায় বাস করত?
(A) ব্রিটেনে
(B) উফা প্রদেশে
(C) রাশিয়ায়
(D) মস্কোয়
উত্তর: (B) উফা প্রদেশে


প্রশ্ন ২৬

‘এই তার যা কিছুই সম্পত্তি।’ – কার প্রসঙ্গে?
(A) অতিথি
(B) মহম্মদ শা
(C) ইলিয়াস
(D) শামশেমাগি
উত্তর: (C) ইলিয়াস


প্রশ্ন ২৭

‘পাশের লোকেরা ঈর্ষা করত।’ – কেন?
(A) ইলিয়াসের নাম খ্যাতি ছিল
(B) তার তখন ছিল প্রবল ঐশ্বর্য
(C) সে ভাগ্যবান মানুষ
(D) তার অনেক ঘোড়া ছিল
উত্তর: (B) তার তখন ছিল প্রবল ঐশ্বর্য


প্রশ্ন ২৮

‘ইলিয়াস, তুমি আমার সঙ্গে এসে থেকো।’ – কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল?
(A) মোল্লা
(B) শামশেমাগি
(C) মহম্মদ শা
(D) অতিথি
উত্তর: (C) মহম্মদ শা


প্রশ্ন ২৯

‘বড়লোক হওয়ার পরে তারা আর পরিশ্রম করত না।’ – কারা?
(A) ইলিয়াসের সন্তানরা
(B) মহম্মদ শা ও তার স্ত্রী
(C) ইলিয়াস ও তার স্ত্রী
(D) অতিথিরা
উত্তর: (A) ইলিয়াসের সন্তানরা


প্রশ্ন ৩০

‘বৃদ্ধ দম্পতিকে রেখে মহম্মদ শার লাভ হয়েছিল।’ – কেন?
(A) তারা পরিশ্রমী ও বিশ্বস্ত ছিল
(B) একসময় তারাও ধনী ছিল
(C) তারা সাধ্যমতো কাজ করত
(D) তারা আলসে ছিল না
উত্তর: (A) তারা পরিশ্রমী ও বিশ্বস্ত ছিল


প্রশ্ন ৩১

ইলিয়াসের বিয়ের এক বছর পর তার বাবা মারা গেলে সে ছিল —
(A) ধনী
(B) না ধনী, না গরিব
(C) দরিদ্র
(D) প্রভাবশালী
উত্তর: (B) না ধনী, না গরিব


প্রশ্ন ৩২

ইলিয়াসের সেরা ঘোড়াগুলো চুরি করেছিল —
(A) কিরবীজরা
(B) কজারিকা
(C) প্রতিবেশী
(D) মহম্মদ শা
উত্তর: (A) কিরবীজরা


প্রশ্ন ৩৩

“ইলিয়াস তাকে বাড়ি ও কিছু গরু-ঘোড়া দিল।” – কাকে দিয়েছিল?
(A) একমাত্র মেয়েকে
(B) বড় ছেলেকে
(C) ছোট ছেলেকে
(D) প্রতিবেশীকে
উত্তর: (C) ছোট ছেলেকে


✳️ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

ইলিয়াস (গল্প) – লিও তলস্তয় | নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WBBSE Class 9 Bengali SAQ 2025


1️⃣ “বাড়ি থেকে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হল”— কারা এবং কেন?

👉 ইলিয়াসের ছোট ছেলে এক অবাধ্য ও মুখরা মেয়েকে বিয়ে করেছিল। পিতার নিষেধ অমান্য করায় ইলিয়াস তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেন।


2️⃣ “ইলিয়াসের সম্পত্তিতে টান পড়ল”— কেন?

👉 ছোট ছেলেকে একটি বাড়ি ও কিছু গরু-ঘোড়া দিয়ে দেওয়ায় ইলিয়াসের সম্পত্তি কমে যায়।


3️⃣ ইলিয়াসের ভেড়ার মৃত্যু কীভাবে ঘটেছিল?

👉 ভেড়ার পালে রোগ ছড়িয়ে পড়ায় অনেক ভেড়া মারা যায়।


4️⃣ কে ইলিয়াসের ভালো ঘোড়াগুলি চুরি করেছিল?

👉 কিরবিজ সম্প্রদায়ের লোকেরা ইলিয়াসের সেরা ঘোড়াগুলো চুরি করে।


5️⃣ বার্ধক্যে ইলিয়াস কী কী বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিল?

👉 সত্তর বছরে এসে ইলিয়াস তার পশমের কোট, তাবু, কম্বল, ঘোড়ার জিন ও গৃহপালিত পশু বিক্রি করে জীবন চালাত।


6️⃣ বৃদ্ধ ইলিয়াস ও তাঁর স্ত্রী কোথায় থাকতেন ও কীভাবে খেতেন?

👉 তারা অপরিচিতদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে কাজের বিনিময়ে খাবার পেতেন।


7️⃣ ইলিয়াসের স্ত্রীর নাম কী?

👉 তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল শাম-শেমাগি।


8️⃣ বৃদ্ধ ইলিয়াসের একমাত্র সম্বল কী ছিল?

👉 তাঁর সম্বল ছিল এক জোড়া বুট, টুপি, পশমের কোট, একটা বোঁচকা ও স্ত্রী শাম-শেমাগি।


9️⃣ বৃদ্ধ ইলিয়াসকে দেখে কার করুণা হয়েছিল?

👉 প্রতিবেশী মহম্মদ শা বৃদ্ধ ইলিয়াসের প্রতি সহানুভূতি দেখান।


🔟 মহম্মদ শা ইলিয়াসকে কী কাজ দিয়েছিল?

👉 তিনি ইলিয়াসকে গ্রীষ্মে তরমুজক্ষেত রক্ষা ও শীতে গরু-ঘোড়া দেখাশোনার কাজ দেন।


11️⃣ ইলিয়াসের স্ত্রীর কাজ কী ছিল?

👉 ইলিয়াসের স্ত্রী ঘোড়ার দুধ দোহানো ও কুমিস তৈরির কাজ করতেন।


12️⃣ ইলিয়াস দম্পতি কীভাবে কাজ করতেন?

👉 তাঁরা মহম্মদ শার বাড়িতে ভাড়াটে মজুরের মতো পরিশ্রম করতেন।


13️⃣ “ক্রমে ক্রমে সব সয়ে গেল”— কার কী সয়ে গেল?

👉 প্রথমে কষ্ট পেলেও ইলিয়াস ও তাঁর স্ত্রী শ্রমজীবনের কষ্টে অভ্যস্ত হয়ে যান।


14️⃣ “তা ছাড়া তারা অলস নয়”— কারা অলস নয়?

👉 বৃদ্ধ ইলিয়াস ও তাঁর স্ত্রী, যারা কঠোর পরিশ্রম করে জীবন কাটাচ্ছিলেন।


15️⃣ মহম্মদ শার বাড়িতে আসা আত্মীয়দের মধ্যে কে ছিলেন?

👉 সেখানে আগত অতিথিদের মধ্যে একজন মুসলিম পণ্ডিত বা মোল্লাসাহেব ছিলেন।


16️⃣ “এ তল্লাটের সবচেয়ে ধনী ছিল”— কে ছিলেন?

👉 ইলিয়াস একসময় এলাকায় সবচেয়ে ধনী মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।


17️⃣ অতিথিরা ইলিয়াসের স্ত্রীর কাছে কী জানতে চেয়েছিলেন?

👉 তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন, ধনসম্পদ হারিয়ে তাদের বর্তমান জীবনের অনুভূতি কী।


18️⃣ “এই তার যা কিছু বিষয়সম্পত্তি”— বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

👉 এখানে সাতটি ঘোড়া, দুটি গরু ও কুড়িটি ভেড়াকেই তার সম্পত্তি বলা হয়েছে।


19️⃣ কত বছর পরিশ্রম করে ইলিয়াস সম্পদ অর্জন করেছিলেন?

👉 তিনি টানা পঁয়ত্রিশ বছর কঠোর পরিশ্রম করে বিপুল সম্পত্তি অর্জন করেন।


20️⃣ “ওর তো মরবারই দরকার নেই”— কেন বলা হয়েছে?

👉 ইলিয়াসের ছিল অগাধ সম্পত্তি ও সুখের জীবন, তাই প্রতিবেশীরা বলত— তার মরার দরকার নেই।


21️⃣ দূরদূরান্ত থেকে অতিথিরা কার সঙ্গে দেখা করত?

👉 তারা ধনী ইলিয়াসের সঙ্গে দেখা করতে আসত।


22️⃣ অতিথিদের কীভাবে আপ্যায়ন করত ইলিয়াস?

👉 ইলিয়াস কুমিস, শরবত ও মাংস দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করতেন।


23️⃣ ইলিয়াসের কয়টি সন্তান ছিল?

👉 তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে — মোট তিনটি সন্তান ছিল।


24️⃣ দারিদ্র্যে ইলিয়াসকে ছেলেরা কীভাবে সাহায্য করত?

👉 তারা বাবার সঙ্গে ভেড়া চরিয়ে ও কাজ করে সাহায্য করত।


25️⃣ “তারা আয়েশি হয়ে উঠল”— কখন?

👉 ইলিয়াস ধনী হওয়ার পর তার ছেলেরা অলস ও ভোগবিলাসী হয়ে ওঠে।


26️⃣ বড় ছেলে কীভাবে মারা যায়?

👉 একদিন ঝগড়ার ঘটনায় ইলিয়াসের বড় ছেলে মারা যায়।


27️⃣ “অতিথিরা বিস্মিত”— কেন?

👉 তাঁরা অবাক হন শুনে যে, ধনী জীবনে নয় বরং দারিদ্র্যেই ইলিয়াস ও তার স্ত্রী প্রকৃত সুখ খুঁজে পেয়েছেন।


28️⃣ “অন্যদিকে দুশ্চিন্তা”— কোন দুশ্চিন্তা?

👉 নেকড়ে বা চোর এসে পশু চুরি করবে— এই আশঙ্কায় তাঁদের ঘুম হতো না।


29️⃣ ইলিয়াস কোথায় থাকতেন?

👉 তিনি উফা প্রদেশে বাস করতেন।


30️⃣ ইলিয়াস কোন সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন?

👉 তিনি বাস্কির জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।


31️⃣ “সকলেই তাকে ঈর্ষা করে”— কেন?

👉 ধনসম্পদ ও প্রতিপত্তির কারণে মানুষ ইলিয়াসকে ঈর্ষা করত।


32️⃣ “কথা বলবার সময় নেই”— কেন?

👉 ধনী জীবনে প্রচুর ব্যস্ততার জন্য ইলিয়াস দম্পতির কথা বলার অবসর ছিল না।


33️⃣ “ফলে সারারাত ঘুমই ছিল না”— কেন ঘুম হতো না?

👉 পশুদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তাঁদের ঘুম হতো না।


34️⃣ গল্পে কাকে ‘বাবাই’ বলা হয়েছে?

👉 বৃদ্ধ ইলিয়াসকেই ‘বাবাই’ নামে ডাকা হয়েছে।


35️⃣ ‘ইলিয়াস’ গল্পের লেখক কে?

👉 গল্পটি লিখেছেন রুশ সাহিত্যিক লিও তলস্তয়


36️⃣ গল্পটি কে বাংলায় অনুবাদ করেছেন?

👉 এই গল্পটির বাংলা অনুবাদক মণীন্দ্র দত্ত


✳️ সংক্ষিপ্ত বা ব্যাখ্যাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর

ইলিয়াস (গল্প) – লিও তলস্তয় | নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | WB Class 9 Bengali Ilyas Suggestion 2025


১️⃣ “ইলিয়াসের অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ল।” — ইলিয়াসের অবস্থা কীভাবে খারাপ হয়ে পড়ল?

উত্তর:
ইলিয়াস একসময় উফা প্রদেশের বাস্কির সম্প্রদায়ভুক্ত একজন পরিশ্রমী ও সম্পদশালী ব্যক্তি ছিলেন। প্রথম জীবনে তিনি দরিদ্র হলেও কঠোর পরিশ্রম ও মিতব্যয়িতার মাধ্যমে প্রচুর সম্পত্তির অধিকারী হন। কিন্তু তাঁর পুত্রদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে তিনি ছোট ছেলেকে কিছু সম্পত্তি দিয়ে আলাদা করে দেন। এতে তাঁর সম্পদ কমে যায়। পরে ভেড়ার পালে মহামারি দেখা দিলে অনেক পশু মারা যায়। দুর্ভিক্ষে খাদ্যাভাব দেখা দেয়। এমন সময় ‘কিরবিজ’-রা তাঁর সেরা ঘোড়াগুলি চুরি করে নিয়ে যায়। একের পর এক বিপর্যয়ে ইলিয়াস সর্বস্ব হারান। সত্তর বছর বয়সে এসে তিনি সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়ে পড়েন এবং অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবনধারণ করতে বাধ্য হন। এইভাবেই একসময়ের ধনবান ইলিয়াসের অবস্থা ক্রমশ করুণ হয়ে ওঠে।


২️⃣ “তাকে দেখতে পেয়ে মহম্মদ শা অতিথিদের বলল”— ‘তাকে’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? মহম্মদ শা অতিথিদের কী বলল?

উত্তর:
এখানে ‘তাকে’ বলতে বোঝানো হয়েছে বৃদ্ধ ইলিয়াসকে। একসময় তিনি এলাকার ধনাঢ্য ও সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে তিনি সব হারিয়ে ফেলে পরিশেষে মহম্মদ শার বাড়িতে চাকরিরত অবস্থায় জীবনযাপন করতে থাকেন।
মহম্মদ শা তাঁর গৃহে আগত অতিথিদের বলেন, “তোমরা যাকে এখন মজুরের মতো কাজ করতে দেখছ, তিনিই একসময় এই অঞ্চলের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন। এখন অবস্থার পরিবর্তনে তিনি ও তাঁর স্ত্রী আমার বাড়িতে সামান্য কাজ করে জীবন কাটাচ্ছেন।” এইভাবেই তিনি অতিথিদের কাছে ইলিয়াসের অতীত ও বর্তমান জীবনের বিপরীত চিত্র তুলে ধরেন।


৩️⃣ “এ বিষয়ে তিনিই পুরো সত্য বলতে পারবেন।” — ‘তিনি’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? কেন তিনিই সত্য বলতে পারবেন?

উত্তর:
এখানে ‘তিনি’ বলতে বোঝানো হয়েছে ইলিয়াসের স্ত্রী শাম-শেমাগিকে। যখন মহম্মদ শার অতিথিরা ইলিয়াসের বর্তমান জীবনের অবস্থা ও তাঁর অনুভূতির কথা জানতে চাইলেন, তখন মহম্মদ শা বলেছিলেন যে, তাঁর স্ত্রী শাম-শেমাগিই আসল সত্য বলতে পারবেন। কারণ, তিনি ছিলেন সরলমনা, অকপট ও সত্যবাদী মহিলা— যাঁর মনে যা থাকে, মুখেও তাই বলেন। তাই ইলিয়াসের জীবনের সুখ-দুঃখের আসল অভিজ্ঞতা তিনি-ই প্রকাশ করতে পারেন বলে মহম্মদ শা মনে করেছিলেন।


৪️⃣ “‘এটা খুবই জ্ঞানের কথা’— কার, কোন কথাকে ‘জ্ঞানের কথা’ বলা হয়েছে?”

উত্তর:
এই উক্তিটি বলা হয়েছে মোল্লাসাহেবের মুখে, যিনি মহম্মদ শার বাড়িতে আগত এক অতিথি ছিলেন। তিনি ইলিয়াস দম্পতির জীবনবোধ ও উপলব্ধিকে ‘জ্ঞানের কথা’ বলে প্রশংসা করেন।
ইলিয়াস ও তাঁর স্ত্রী তাঁদের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে অতিথিদের বলেন, যখন তাঁরা ধনী ছিলেন, তখন দিনরাত চিন্তা-দুশ্চিন্তায় ভরা জীবনযাপন করতেন। অর্থ থাকলেও মনের শান্তি ছিল না। কিন্তু যখন সব হারিয়ে মজুরের মতো সাধারণ জীবন কাটাচ্ছেন, তখন তাঁদের মনে প্রকৃত সুখ ও প্রশান্তি এসেছে। তাঁদের কাছে এখন আর ভয় বা লোভের স্থান নেই। এই উপলব্ধি যে গভীর জীবনের জ্ঞান ও বাস্তব সত্যের প্রতিফলন, তাই মোল্লাসাহেব বলেন — “এটা খুবই জ্ঞানের কথা।”


৫️⃣ “অতিথিরা বিস্মিত।” — অতিথিরা কেন বিস্মিত হলেন?

উত্তর:
লিও তলস্তয় রচিত ‘ইলিয়াস’ গল্পে অতিথিরা বিস্মিত হন ইলিয়াস দম্পতির জীবনদর্শন শুনে। তাঁরা জানতে চেয়েছিলেন, ধনী জীবনে ও গরিব জীবনে তাঁদের সুখ-দুঃখের পার্থক্য কী।
এর উত্তরে শাম-শেমাগি অকপটে বলেন যে, ধনসম্পদের সময় তাঁদের জীবনে অন্তহীন দুশ্চিন্তা, ভয়, অনিদ্রা ও অশান্তি ছিল। কিন্তু এখন, যখন তাঁদের কিছুই নেই, তখন মন শান্ত, জীবন সুখের। তাঁরা এখন আর লোভ বা ভয়ে ভোগেন না। এইভাবে ধনহীন জীবনে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়— এই সত্য শুনে অতিথিরা বিস্মিত হয়ে যান, কারণ এটি তাঁদের ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত।


৬️⃣ “প্রতি বছরই তার অবস্থার উন্নতি হতে লাগল।” — কার অবস্থার উন্নতি, এবং কীভাবে উন্নতি হতে লাগল?

উত্তর:
এখানে ‘তার’ বলতে ইলিয়াসের কথাই বলা হয়েছে। বিবাহের এক বছর পরে পিতার মৃত্যু হলে ইলিয়াস প্রথমে খুব সাধারণ অবস্থায় ছিলেন— না ধনী, না দরিদ্র। এরপর তিনি নিজের পরিশ্রম, বুদ্ধিমত্তা ও সৎ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ধীরে ধীরে সম্পদ বৃদ্ধি করতে থাকেন।
তিনি ভোরে উঠে পশুপালনের কাজ করতেন, গরু-ভেড়া চরাতেন, লেনদেনের কাজে সততা বজায় রাখতেন। তাঁর স্ত্রীও পরিশ্রমে সহায়তা করতেন। ধীরে ধীরে তাঁর গৃহপালিত পশু, জমি ও ধনসম্পত্তি বাড়তে থাকে। এইভাবে ধারাবাহিক পরিশ্রম ও সততার ফলে প্রতি বছর ইলিয়াসের অবস্থার উন্নতি ঘটতে থাকে।


৭️⃣ “ইলিয়াসের তখন খুব বোলবোলাও”— ‘বোলবোলাও’ শব্দের অর্থ কী? উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর:
‘বোলবোলাও’ শব্দের অর্থ হলো প্রতিপত্তি, প্রভাব বা সামাজিক মর্যাদা
দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছরের নিরলস শ্রমের ফলস্বরূপ ইলিয়াস বিপুল সম্পদের অধিকারী হন। তাঁর ঘোড়া, গরু ও ভেড়ার সংখ্যা ছিল শত শত। অনেক ভাড়াটে মজুর ও নারী কর্মী তাঁর জন্য কাজ করত। তাঁর ঘরে অতিথিদের জন্য সবসময় ভোজ ও পানীয়ের আয়োজন থাকত।
এই বিপুল ঐশ্বর্য, প্রভাব ও খ্যাতির ফলে ইলিয়াস এলাকার সর্বাধিক ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হন। তাই লেখক বলেছেন — “ইলিয়াসের তখন খুব বোলবোলাও।” এই বাক্যাংশটি ইলিয়াসের ঐশ্বর্য, সমাজে স্থান ও প্রভাবের এক উজ্জ্বল চিত্র তুলে ধরে।


৮️⃣ “দূরদূরান্তর থেকে অতিথিরা তার সঙ্গে দেখা করতে আসে।” — অতিথিরা কার সঙ্গে দেখা করতে আসত? সে অতিথিদের কীভাবে সেবা করত?

উত্তর:
অতিথিরা আসতেন ধনী ও প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তি ইলিয়াসের সঙ্গে দেখা করতে। একসময় ইলিয়াসের নাম, সম্পদ ও আতিথেয়তার খ্যাতি দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি অতিথিদের কুমিস (ঘোড়ার দুধের শরবত), চা, শরবত ও মাংস দিয়ে আপ্যায়ন করতেন। অতিথিদের সেবার জন্য প্রয়োজনে এক বা একাধিক ভেড়া জবাই করা হত, আর অতিথি বেশি এলে কখনও কখনও ঘোটকীও বলি দেওয়া হত। এইভাবে ইলিয়াস তাঁর অতিথিদের প্রতি আন্তরিক আতিথেয়তা প্রদর্শন করতেন, যা তাঁর উদারতা ও ঐশ্বর্যের পরিচয় বহন করে।


তোমার লেখা প্রশ্নগুলো দারুণভাবে সাজানো হয়েছে 👍 এখন নিচে আমি এগুলিকে আরও বিশদভাবে, পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর পাওয়ার মতো বর্ধিত আকারে লিখে দিলাম — যাতে শিক্ষক পড়েই মুগ্ধ হন ✨


1. “পঞ্চাশ বছর ধরে সুখ খুঁজে খুঁজে এতদিনে পেয়েছি।” — এই সুখের পরিচয় দাও।

উত্তর:
উক্তিটি ইলিয়াসের স্ত্রী শাম–শেমাগির মুখে বলা হয়েছে। ইলিয়াস ও তার স্ত্রী জীবনের প্রথম দিকে অত্যন্ত ধনী ছিলেন। তাদের ছিল প্রচুর গৃহপালিত পশু, ভৃত্য-বেটি, ধন-সম্পদ ও প্রতিপত্তি। কিন্তু এত ঐশ্বর্য থাকা সত্ত্বেও তারা প্রকৃত সুখ পাননি। সব সময়ই তাদের মন উদ্বেগে ভরা থাকত — মজুরেরা কাজ ফাঁকি দিচ্ছে কিনা, পশুর ক্ষতি হচ্ছে কিনা, অতিথিদের সেবা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা ইত্যাদি চিন্তায় তারা অস্থির থাকতেন। ফলে তাদের জীবনে ছিল না শান্তি, ছিল না ঈশ্বরচিন্তার সময়।

কিন্তু ভাগ্যের পরিক্রমায় যখন তারা সর্বস্ব হারিয়ে গরিব হলেন, তখনই তারা প্রকৃত সুখের সন্ধান পেলেন। এখন তাদের মনিব মহম্মদ শার বাড়িতে কাজ করতে হয়, কিন্তু এখানে তারা দুশ্চিন্তামুক্ত। তারা যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু উপার্জন করে খেতে পান, মাথা গোঁজার ঠাঁই আছে, ঈশ্বরচিন্তার অবকাশ আছে এবং পরস্পরের প্রতি ভালোবাসাও অটুট। এই নিঃস্ব জীবনে যে তৃপ্তি, যে মানসিক শান্তি তারা পেয়েছেন— তাই-ই তাদের প্রকৃত “সুখ”।
তাই ইলিয়াস দম্পতির উপলব্ধি অনুযায়ী, সুখ মানে ধন নয়, মনঃশান্তি ও ঈশ্বরচিন্তাই প্রকৃত সুখ।


2. “ইলিয়াসের অতিথিবৎসলতার কথা স্মরণ করে তার খুব দুঃখ হল।” — কার কথা বলা হয়েছে? সে কী করেছিল? ইলিয়াসের জীবনে তার কী প্রভাব পড়েছিল?

উত্তর:
এখানে বলা হয়েছে ইলিয়াসের প্রতিবেশী মহম্মদ শা-এর কথা। সে ছিল উদার, সহৃদয় এবং মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ একজন মানুষ। একসময় সে নিজ চোখে দেখেছিল কীভাবে ধনী ইলিয়াস তার অতিথিদের আপ্যায়নে কোনো ত্রুটি রাখত না। যখন সে শুনল যে ইলিয়াস এখন একেবারে নিঃস্ব, তখন তার হৃদয় ব্যথিত হয়ে ওঠে।

মহম্মদ শা ইলিয়াস ও তার স্ত্রী শাম–শেমাগিকে নিজের গৃহে আশ্রয় দেন। বিনিময়ে ইলিয়াস গরমকালে তরমুজ চাষের কাজে এবং শীতকালে গরু-ঘোড়ার দেখাশোনায় সাহায্য করত। তার স্ত্রী ঘোটকীর দুধ দোহাতেন, কুমিস তৈরি করতেন এবং ঘরদোর পরিষ্কার রাখতেন। আর মহম্মদ শা প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি তাদের খাওয়া-পরার সমস্ত দায়িত্ব নেবেন।

এই মানবিক সহানুভূতির প্রতিদান স্বরূপ ইলিয়াস ও তার স্ত্রী সততা ও পরিশ্রমের সঙ্গে কাজ করে কৃতজ্ঞচিত্তে জীবনযাপন করতে শুরু করেন। এখানেই তারা উপলব্ধি করেন— অর্থ বা সম্পত্তি নয়, মানুষের ভালোবাসা ও নির্লোভ জীবনই সত্যিকার সুখের উৎস। মহম্মদ শার মানবিক সাহায্যই ইলিয়াস দম্পতির জীবনে এক নতুন আলোর দিশা এনে দেয়।


3. ইলিয়াস চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর:
রুশ সাহিত্যিক লিও তলস্তয় রচিত “ইলিয়াস” গল্পটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ইলিয়াস এক বাস্তবধর্মী ও শিক্ষণীয় মানবচরিত্র। তাঁর জীবনের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে লেখক দেখিয়েছেন – সত্যিকারের সুখ সম্পদে নয়, শান্তি ও ঈশ্বরচিন্তায়।

নিচে ইলিয়াস চরিত্রের বিশ্লেষণ দেওয়া হলো —

🟣 (১) পরিচয়:

ইলিয়াস উফা প্রদেশের বাকির জাতির একজন সাধারণ মানুষ। তাঁর দুই পুত্র ও এক কন্যা, স্ত্রী শাম–শেমাগি। প্রথম জীবনে দরিদ্র হলেও কঠোর পরিশ্রম ও সততার মাধ্যমে তিনি বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সব হারিয়ে জীবনের অন্তিমে ভাড়াটে মজুর হিসেবে বাঁচতে শুরু করেন।

🟣 (২) কর্মঠ ও অধ্যবসায়ী:

ইলিয়াস সর্বদাই কর্মনিষ্ঠ ছিলেন। পঁয়ত্রিশ বছরের কঠোর পরিশ্রমে তিনি শত শত গরু, ঘোড়া ও ভেড়ার মালিক হন। ধনবান হয়েও অলসতা তাকে ছুঁতে পারেনি। এমনকি দারিদ্র্যের সময়েও তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে মনিবের কাজ করতেন।

🟣 (৩) অতিথিপরায়ণ:

ইলিয়াস ছিলেন প্রকৃত অর্থে অতিথিবৎসল। অতিথিদের তিনি কুমিস, চা, মাংস ও শরবত দিয়ে আপ্যায়ন করতেন। তাঁর অতিথিপরায়ণতার স্মৃতিই পরবর্তীকালে প্রতিবেশী মহম্মদ শাকে অনুপ্রাণিত করে তাকে আশ্রয় দিতে।

🟣 (৪) কর্তব্যপরায়ণ ও ন্যায়নিষ্ঠ:

ইলিয়াস ছিলেন কঠোর কিন্তু ন্যায়পরায়ণ। ছোট ছেলে ও পুত্রবধূর ঝগড়াটে স্বভাবের কারণে তিনি তাদের আলাদা করে দেন, কিন্তু তবুও মানবিক কর্তব্যবোধে তাদের একটি বাড়ি ও কিছু পশু দিয়ে দেন।

🟣 (৫) আত্মবোধসম্পন্ন ও দার্শনিক:

শেষ জীবনে সব হারিয়ে ইলিয়াস বুঝতে পারেন, অর্থসঞ্চয়ই জীবনের লক্ষ্য নয়। ধন থাকলে দুশ্চিন্তা বাড়ে, শান্তি হারিয়ে যায়। দারিদ্র্যের মধ্যেও ঈশ্বরচিন্তা ও মানসিক প্রশান্তিই প্রকৃত সুখ। তাঁর এই উপলব্ধিই গল্পের মূল শিক্ষণীয় দিক।

🔹 উপসংহার:
ইলিয়াস এমন এক চরিত্র যিনি জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রমাণ করেছেন— অর্থসুখ নয়, মনঃশান্তিই জীবনের আসল সম্পদ। তাঁর জীবন আমাদের শেখায়, বিনয়, শ্রম, ন্যায় ও ঈশ্বরভক্তিই মানুষকে পরিপূর্ণতা দেয়।



Post a Comment

We’d love to hear your thoughts! Share your comment below.

Previous Post Next Post