নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর | জীবন সংগঠনের স্তর (Chapter 2) | Class 9 Life Science Question Answer WB Board

 নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান – জীবন সংগঠনের স্তর (Chapter 2) এর গুরুত্বপূর্ণ বড় প্রশ্নোত্তর। এখানে উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের পার্থক্য, ভাজক কলা ও স্থায়ী কলা, প্রোক্যারিওটিক ও ইউক্যারিওটিক কোষ, খনিজ মৌল ও নিউরনের গঠন সহ সব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হলো। WB Class 9 Life Science ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত।


নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর | জীবন সংগঠনের স্তর (Chapter 2) | Class 9 Life Science Question Answer WB Board



MCQ | জীবন সংগঠনের স্তর (দ্বিতীয় অধ্যায়) | নবম শ্রেণী | জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর

[প্রতিটি প্রশ্নের মান – 1]


১. কোশপর্দায় প্রধান কোন লিপিড পাওয়া যায়?
(A) ফসফোলিপিড
(B) সালফোলিপিড
(C) ফসফোপ্রোটিন
(D) মিউকোলিপিড
উত্তর: (A) ফসফোলিপিড


২. নীচের কোনটি অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড হিসেবে ধরা হয়?
(A) লিনোলেইক অ্যাসিড
(B) ট্রিপটোফ্যান
(C) লাইসিন
(D) সবকটি
উত্তর: (D) সবকটি


৩. DNA ও RNA অণুর শর্করায় কয়টি কার্বন পরমাণু থাকে?
(A) 3
(B) 4
(C) 5
(D) 6
উত্তর: (C) 5


৪. কোনটি বৃহৎ জৈব অণুর অন্তর্গত নয়?
(A) DNA
(B) RNA
(C) নিউক্লিওটাইড
(D) প্রোটিন
উত্তর: (C) নিউক্লিওটাইড


৫. মানবদেহে অতিমাত্রিক মৌল (Macroelements) কোনটি?
(A) Zn
(B) Cu
(C) Ca
(D) Cr
উত্তর: (C) ক্যালসিয়াম (Ca)


৬. RNA থেকে DNA তৈরির প্রক্রিয়ার নাম কী?
(A) ট্রান্সলেশন
(B) রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন
(C) ট্রান্সক্রিপশন
(D) রেপ্লিকেশন
উত্তর: (B) রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন


৭. উদ্ভিদ কোশপ্রাচীরের মধ্য ল্যামেলা কোন যৌগ দ্বারা তৈরি হয়?
(A) ক্যালশিয়াম পেকটেট
(B) ম্যাগনেশিয়াম পেকটেট
(C) A ও B উভয়ই
(D) কোনোটিই নয়
উত্তর: (C) A ও B উভয়ই


৮. প্রোটিন গঠনে দায়ী অঙ্গাণু হলো—
(A) রাইবোজোম
(B) সেন্ট্রোজোম
(C) মাইটোকন্ড্রিয়া
(D) লাইসোজোম
উত্তর: (A) রাইবোজোম


৯. হিমোগ্লোবিন গঠনে যে খনিজ প্রয়োজন তা হলো—
(A) ক্যালশিয়াম
(B) পটাশিয়াম
(C) ম্যাগনেসিয়াম
(D) আয়রন
উত্তর: (D) আয়রন


১০. লব্ধ প্রোটিনের উদাহরণ হলো—
(A) হিমোগ্লোবিন
(B) অ্যালবুমিন
(C) গ্লোবিউলিন
(D) পেপটোজ
উত্তর: (D) পেপটোজ


১১. লিগামেন্ট ও টেন্ডন কোন কলার অন্তর্গত?
(A) আবরণী কলা
(B) পেশীকলা
(C) তরুণাস্থি
(D) যোগকলা
উত্তর: (D) যোগকলা


১২. সোয়ান কোশের সাথে সম্পর্কিত অংশ কোনটি?
(A) ডেনড্রাইট
(B) অ্যাক্সন
(C) প্রান্তবুরুশ
(D) স্নায়ুসন্নিধি
উত্তর: (B) অ্যাক্সন


১৩. মানব পাকস্থলী থেকে কোন পদার্থ নিঃসৃত হয়?
(A) HCl
(B) যকৃৎ রস
(C) অগ্ন্যাশয় রস
(D) অন্ত্ররস
উত্তর: (A) HCl


১৪. রক্ত পরিশোধনের কাজ করে কোন অঙ্গ?
(A) বৃক্ক
(B) পাকস্থলী
(C) হৃৎপিণ্ড
(D) ত্বক
উত্তর: (A) বৃক্ক


১৫. ইউরিয়া উৎপাদন কোথায় হয়?
(A) প্লীহা
(B) ফুসফুস
(C) যকৃত
(D) বৃক্ক
উত্তর: (C) যকৃত


১৬. অরনিথিন চক্র সম্পাদিত হয় কোন অঙ্গে?
(A) যকৃত
(B) বৃক্ক
(C) অগ্ন্যাশয়
(D) ক্ষুদ্রান্ত্র
উত্তর: (A) যকৃত


১৭. আগুনে হাত দিলে হাত সরিয়ে নেওয়ার প্রতিক্রিয়া কোনটি নিয়ন্ত্রণ করে?
(A) মস্তিষ্ক
(B) সুষুম্নাকাণ্ড
(C) হাত
(D) ত্বক
উত্তর: (B) সুষুম্নাকাণ্ড


১৮. কোশের শক্তিঘর (Powerhouse) কোন অঙ্গাণু?
(A) মাইটোকন্ড্রিয়া
(B) নিউক্লিয়াস
(C) গলগি বডি
(D) সেন্ট্রোজোম
উত্তর: (A) মাইটোকন্ড্রিয়া


১৯. আলুর সাদা রঙের জন্য দায়ী অঙ্গাণু হলো—
(A) ক্রোমোপ্লাস্ট
(B) ক্লোরোপ্লাস্ট
(C) মাইক্রোটিউবিউল
(D) লিউকোপ্লাস্ট
উত্তর: (D) লিউকোপ্লাস্ট


২০. সাইটোপ্লাজমের কাঠামো কোন অঙ্গাণু তৈরি করে?
(A) মাইটোকন্ড্রিয়া
(B) এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম
(C) রাইবোজোম
(D) লাইসোজোম
উত্তর: (B) এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম


২১. মানুষের RBC ধ্বংস হয় কোন অঙ্গে?
(A) যকৃত
(B) বৃক্ক
(C) ফুসফুস
(D) প্লীহা
উত্তর: (D) প্লীহা


২২. রাইবোজোম নামকরণ করেছিলেন কে?
(A) বেন্ডা
(B) ব্রাউন
(C) হেকেল
(D) প্যালাডে
উত্তর: (D) প্যালাডে


২৩. ন্যাসপাতির শক্ত অংশ কোন কোশ দ্বারা গঠিত?
(A) ট্রাকিড
(B) স্ক্লেরাইড
(C) সঙ্গীকোশ
(D) কোলেনকাইমা
উত্তর: (B) স্ক্লেরাইড


২৪. কোন টিস্যুর সব কোশ মৃত?
(A) প্যারেনকাইমা
(B) কোলেনকাইমা
(C) জাইলেম
(D) ক্লোরেনকাইমা
উত্তর: (C) জাইলেম


২৫. সিনসিটিয়াম এর উদাহরণ কোনটি?
(A) ভাউকেরিয়া
(B) সরেখ পেশীকোশ
(C) মিউকর
(D) রাইজোপাস
উত্তর: (B) সরেখ পেশীকোশ


অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | জীবন সংগঠনের স্তর | নবম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান

[প্রতিটি প্রশ্নের মান – 1]


১. রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে সহায়তা করে কোন ভিটামিন?
✅ উত্তর: ভিটামিন K

২. গাজর ও পাকা পেঁপেতে কোন ভিটামিন পাওয়া যায়?
✅ উত্তর: ভিটামিন A

৩. অ্যাসিড–ক্ষার ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক একটি খনিজের নাম লেখো।
✅ উত্তর: ফসফরাস

৪. প্রোটিনের রাসায়নিক গঠন পরিবর্তনে সাহায্যকারী অঙ্গাণু কোনটি?
✅ উত্তর: রাফ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম (RER)

৫. সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার জন্য দায়ী অঙ্গাণুর নাম কী?
✅ উত্তর: ক্লোরোপ্লাস্ট

৬. উদ্ভিদকোশে কোশগহ্বর সংলগ্ন সাইটোপ্লাজমকে কী বলা হয়?
✅ উত্তর: টোনোপ্লাস্ট

৭. সবচেয়ে ছোট জীবন্ত কোশ কোনটি?
✅ উত্তর: মাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপটিকাম

৮. কোন টিস্যুতে কোশান্তর রন্ধ্র দেখা যায়?
✅ উত্তর: প্যারেনকাইমা

৯. অ্যারেনকাইমা কোন উদ্ভিদে দেখা যায়?
✅ উত্তর: কচুরিপানা

১০. উদ্ভিদে জল পরিবহনের কাজ করে কোন টিস্যু?
✅ উত্তর: জাইলেম

১১. বিভাজ্য কলার একটি কাজ লেখো।
✅ উত্তর: উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটানো

১২. ফ্লোয়েমের মৃত উপাদান কোনটি?
✅ উত্তর: ফ্লোয়েম তন্তু

১৩. কয়েকটি টিস্যু একত্রে মিলে কী গঠন করে?
✅ উত্তর: অঙ্গ

১৪. একটি যোগকলার উদাহরণ দাও।
✅ উত্তর: রক্ত

১৫. নিউরোন বলতে কী বোঝায়?
✅ উত্তর: স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একককে নিউরোন বলে।

১৬. প্রাণীদেহে কোন টিস্যুতে মেদ সঞ্চিত থাকে?
✅ উত্তর: অ্যাডিপোজ টিস্যু

১৭. কোন অঙ্গটির উদরগহ্বর থাকে না?
✅ উত্তর: হৃৎপিণ্ড

১৮. একটি দ্বিশর্করার উদাহরণ দাও।
✅ উত্তর: সুক্রোজ

১৯. গলগণ্ড প্রতিরোধকারী একটি লবণের নাম লেখো।
✅ উত্তর: সোডিয়াম আয়োডাইড (NaI)

২০. পাকস্থলী থেকে কোন অ্যাসিড নিঃসৃত হয়?
✅ উত্তর: হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl)


সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | জীবন সংগঠনের স্তর | নবম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান

[প্রতিটি প্রশ্নের মান – 2]


১. পেয়ারা ফলের ত্বক শক্ত হওয়ার কারণ কী?
✅ উত্তর: স্ক্লেরেনকাইমা কোশ থাকার জন্য পেয়ারা শক্ত হয়।

২. বায়ু গহ্বরযুক্ত প্যারেনকাইমাকে কী বলে?
✅ উত্তর: একে বলা হয় এয়ারেনকাইমা।

৩. ক্যাস্পেরিয়ান পট্টি কোথায় পাওয়া যায়?
✅ উত্তর: এটি দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের মূলের অন্তস্ত্বকে দেখা যায়।

৪. একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্কের ওজন কত?
✅ উত্তর: প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের মস্তিষ্কের গড় ওজন প্রায় 1336 গ্রাম।

৫. শুক্রাশয়ের হরমোন কোন কোশ থেকে ক্ষরিত হয়?
✅ উত্তর: লেডিগ কোশ থেকে হরমোন নিঃসৃত হয়।

৬. ডিম্বাশয় থেকে কোন হরমোন নিঃসৃত হয়?
✅ উত্তর: ইস্ট্রোজেন হরমোন।

৭. ট্রিপসিন এনজাইম কোন পরিপাক গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হয়?
✅ উত্তর: অগ্ন্যাশয় থেকে।

৮. ইনসুলিন হরমোন কোথা থেকে নিঃসৃত হয়?
✅ উত্তর: অগ্ন্যাশয়ের ল্যাঙ্গারহ্যানসের বিটা কোশ থেকে।

৯. কোশ বলতে কী বোঝায়?
✅ উত্তর: জীবদেহের পর্দাবেষ্টিত, প্রোটোপ্লাজম সমৃদ্ধ, স্বপ্রজননশীল এবং গঠনগত ও কার্যগত একককে কোশ বলে।

১০. একটি অ্যাল্ডোজ ও একটি কিটোজ শর্করার উদাহরণ দাও।
✅ উত্তর: অ্যাল্ডোজ – গ্লুকোজ, কিটোজ – ফ্রুকটোজ।

১১. কার্বোহাইড্রেটে কোন উপাদান থাকে না যা প্রোটিনে বিদ্যমান?
✅ উত্তর: নাইট্রোজেন কার্বোহাইড্রেটে অনুপস্থিত কিন্তু প্রোটিনে থাকে।

১২. জলে দ্রবণীয় ভিটামিনগুলির নাম লেখো।
✅ উত্তর: ভিটামিন B কমপ্লেক্স ও ভিটামিন C।

১৩. শিশুদের মধ্যে আয়োডিনের অভাবে কোন রোগ হয়?
✅ উত্তর: ক্রেটিনিজম রোগ।

১৪. দেহে সোডিয়াম, পটাশিয়াম প্রভৃতি খনিজের ভারসাম্য কোন অঙ্গ রক্ষা করে?
✅ উত্তর: বৃক্ক।

১৫. নিউক্লিওপ্লাজম কোথায় থাকে?
✅ উত্তর: নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে।

১৬. প্রাণী কোশ বিভাজনে বেম (spindle) কোন অঙ্গাণু তৈরি করে?
✅ উত্তর: সেন্ট্রোজোম।

১৭. সিলিয়া ও অ্যাক্রোজোম কোন অঙ্গাণু দ্বারা গঠিত?
✅ উত্তর: সিলিয়া গঠন করে সেন্ট্রিওল এবং অ্যাক্রোজোম গঠন করে গলগি বডি।

১৮. সাইটোপ্লাজমে একটি ম্যাক্রো ও একটি মাইক্রো উপাদানের নাম লেখো।
✅ উত্তর: ম্যাক্রো উপাদান – স্টার্চ, মাইক্রো উপাদান – গ্লুকোজ।

১৯. সারকোলেমা কী?
✅ উত্তর: পেশীকোশকে আবৃত করে থাকা ঝিল্লিকে সারকোলেমা বলে।

২০. পেশীকোশের সারকোপ্লাজমে কোন দুটি প্রোটিন থাকে?
✅ উত্তর: অ্যাকটিন ও মায়োসিন।


✨ সংক্ষিপ্ত ব্যাখামূলক প্রশ্নোত্তর

জীবন সংগঠনের স্তর (অধ্যায় – ২) | নবম শ্রেণী | জীবনবিজ্ঞান


1. আবরণী কলার একটি বৈশিষ্ট্য ও একটি কাজ লেখ।

উত্তর:
আবরণী কলা হলো উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহের বাইরের আবরক স্তর।

  • বৈশিষ্ট্য: আবরণী কলার কোষগুলো সাধারণত একটি সরু ভিত্তি ঝিল্লির উপর একস্তর বা একাধিক স্তরে সাজানো থাকে। কোষগুলো একে অপরের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে যুক্ত থাকে।

  • কাজ: এটি দেহ বা অঙ্গকে বাইরের যান্ত্রিক আঘাত, ব্যাকটেরিয়া, রাসায়নিক পদার্থ প্রভৃতি ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে এবং অভ্যন্তরীণ অংশকে সুরক্ষা প্রদান করে।


2. DNA ও RNA এর তিনটি পার্থক্য লেখ।

উত্তর:
DNA ও RNA উভয়ই নিউক্লিক অ্যাসিড হলেও এদের মধ্যে মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে—

  1. অবস্থান: DNA প্রধানত কোষের নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোমের মধ্যে পাওয়া যায়, আর RNA প্রধানত সাইটোপ্লাজমে ও রাইবোজোমে পাওয়া যায়।

  2. শর্করার ধরণ: DNA-তে থাকে ডিঅক্সিরাইবোজ শর্করা, অপরদিকে RNA-তে থাকে রাইবোজ শর্করা।

  3. গঠন: DNA দ্বিস্তর বিশিষ্ট (ডাবল হেলিক্স আকৃতি), কিন্তু RNA একস্তর বিশিষ্ট ও সোজা রেখার মত।


3. প্যারেনকাইমা ও কোলেনকাইমার তিনটি প্রধান পার্থক্য লেখ।

উত্তর:

  1. কোষ প্রাচীর: প্যারেনকাইমার কোষ প্রাচীর পাতলা ও সমভাবে সেলুলোজ দ্বারা গঠিত। কোলেনকাইমার কোষ প্রাচীর অসমভাবে পুরু এবং প্রধানত হেমিসেলুলোজ দ্বারা গঠিত।

  2. কোষের আকার: প্যারেনকাইমা কোষ গোলাকার, ডিম্বাকার বা পলিগনাল আকারের হয়। কোলেনকাইমা কোষ লম্বাটে এবং প্রস্থচ্ছেদে বহুভুজাকার।

  3. কাজ: প্যারেনকাইমা উদ্ভিদের পুষ্টি ও খাদ্য সঞ্চয়ে সাহায্য করে। কোলেনকাইমা উদ্ভিদকে নমনীয়তা ও যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদান করে।


4. দুটি অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিডের নাম লেখ।

উত্তর:
মানবদেহ নিজে থেকে কিছু ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করতে পারে না। এগুলো খাদ্য থেকে গ্রহণ করতে হয়। দুটি গুরুত্বপূর্ণ অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড হলো—

  • লিনোলেইক অ্যাসিড

  • লিনোলেনিক অ্যাসিড


5. দুটি অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিডের নাম লেখ।

উত্তর:
প্রোটিন গঠনের জন্য কিছু অ্যামাইনো অ্যাসিড অপরিহার্য, যা দেহে তৈরি হয় না। খাদ্যের মাধ্যমে এগুলো পেতে হয়। দুটি অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড হলো—

  • লিউসিন

  • লাইসিন


6. ভিটামিন কাকে বলে?

উত্তর:
ভিটামিন হলো একধরনের জৈব যৌগ যা অতি অল্প পরিমাণে খাদ্যে উপস্থিত থেকে দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, পুষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিনের অভাবে নানা ধরনের ঘাটতি রোগ যেমন স্কার্ভি, বেরিবেরি, রিকেটস ইত্যাদি দেখা যায়।


7. ‘কোষের মস্তিষ্ক’ কাকে বলে এবং কেন বলে?

উত্তর:
কোষের মস্তিষ্ক হলো নিউক্লিয়াস
কারণ নিউক্লিয়াসের ভেতরে DNA থাকে যা কোষের বৃদ্ধি, বিভাজন, বংশগত বৈশিষ্ট্য এবং প্রোটিন সংশ্লেষসহ সমস্ত কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই একে কোষের মস্তিষ্ক বলা হয়।


8. ‘কোষের শক্তিঘর’ কাকে বলা হয় এবং কেন বলা হয়?

উত্তর:
মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলা হয়।
কারণ এখানে গ্লুকোজের ভাঙন দ্বারা প্রচুর পরিমাণে ATP (শক্তি) উৎপন্ন হয় যা কোষের সমস্ত কাজ সম্পাদনে ব্যয় হয়। তাই একে শক্তিঘর বলা হয়।


9. প্রাইমরডিয়াল ইউট্রিকল বলতে কী বোঝো?

উত্তর:
উদ্ভিদ কোষে ভ্যাকুওল বড় হলে সাইটোপ্লাজম এবং নিউক্লিয়াস ভ্যাকুওলের চারপাশে কোষ প্রাচীর বরাবর সরে যায়। সাইটোপ্লাজমের এই পাতলা স্তরকে, যা ভ্যাকুওলকে ঘিরে রাখে, প্রাইমরডিয়াল ইউট্রিকল বলে।


10. নিউক্লিওটাইড কি কি দিয়ে গঠিত?

উত্তর:
নিউক্লিওটাইড হলো নিউক্লিক অ্যাসিডের গঠনমূলক একক। প্রতিটি নিউক্লিওটাইড ৩টি অংশ দিয়ে গঠিত—

  1. একটি নাইট্রোজেন যুক্ত ক্ষারক (Purine বা Pyrimidine)

  2. একটি পেন্টোজ শর্করা (DNA-তে ডিঅক্সিরাইবোজ, RNA-তে রাইবোজ)

  3. একটি ফসফেট আয়ন


11. স্নায়ুতন্ত্র কার্যকরী নিয়ন্ত্রণ করে এমন দুটি খনিজ মৌলের নাম লেখ।

উত্তর:
স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ ও স্নায়ুর সংকেত পরিবহনে সাহায্য করে এমন দুটি প্রধান খনিজ মৌল হলো—

  • পটাশিয়াম (K)

  • ম্যাগনেসিয়াম (Mg)


12. বৃক্কের দুটি ভূমিকা উল্লেখ কর।

উত্তর:
বৃক্ক দেহের একটি প্রধান অঙ্গ। এর দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হলো—

  1. মূত্র উৎপাদন ও নিঃসরণের মাধ্যমে দেহের বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়।

  2. দেহের লবণ ও জলের সামঞ্জস্য বজায় রাখে, অর্থাৎ দেহে অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য রক্ষা করে।


13. কোষপর্দার দুটি প্রধান কাজ লেখ।

উত্তর:
কোষপর্দা কোষের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। এর দুটি প্রধান কাজ হলো—

  1. কোষের অভ্যন্তরীণ জীবন্ত অংশকে বাইরের আঘাত থেকে সুরক্ষা দেওয়া।

  2. বিভিন্ন অঙ্গাণু যেমন মাইটোকন্ড্রিয়া, গলগি বডি, নিউক্লিয়াস প্রভৃতি গঠন ও সীমানা নির্ধারণ করা।


14. জাইলেম ও ফ্লোয়েম কলার একটি করে গঠনগত ও কার্যগত পার্থক্য লেখ।

উত্তর:

  • গঠনগত পার্থক্য: জাইলেমের উপাদানগুলির অধিকাংশই মৃত (প্যারেনকাইমা ছাড়া), আর ফ্লোয়েমের উপাদানগুলির অধিকাংশই সজীব (ফ্লোয়েম তন্তু ছাড়া)।

  • কার্যগত পার্থক্য: জাইলেম জল ও খনিজ পদার্থ মূল থেকে উপরের দিকে পরিবহন করে, আর ফ্লোয়েম খাদ্য পদার্থ পাতা থেকে নিচের দিকে পরিবহন করে।


✨ রচনাধর্মী / বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নোত্তর

জীবন সংগঠনের স্তর (অধ্যায় – ২) | নবম শ্রেণী | জীবনবিজ্ঞান


1. উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষের প্রধান পাঁচটি পার্থক্য লেখ।

উত্তর:
উদ্ভিদ কোষ ও প্রাণী কোষ অনেক দিক থেকে ভিন্ন প্রকৃতির। এদের মধ্যে প্রধান পাঁচটি পার্থক্য নিচে উল্লেখ করা হলো –

  1. কোষের বহিঃআবরণ: উদ্ভিদ কোষে কোষ প্রাচীর বিদ্যমান যা সেলুলোজ দ্বারা গঠিত। প্রাণী কোষে কোষ প্রাচীর থাকে না, কেবলমাত্র প্লাজমা মেমব্রেন থাকে।

  2. প্লাস্টিড: উদ্ভিদ কোষে প্লাস্টিড থাকে (যেমন – ক্লোরোপ্লাস্ট) যা সালোকসংশ্লেষণ ও খাদ্য তৈরিতে সাহায্য করে। প্রাণী কোষে কোনো ধরনের প্লাস্টিড অনুপস্থিত।

  3. লাইসোজোম: উদ্ভিদ কোষে লাইসোজোম সাধারণত অনুপস্থিত থাকে, তবে প্রাণী কোষে সবসময় লাইসোজোম থাকে যা কোষের আবর্জনা হজম করে।

  4. ভ্যাকুওল: উদ্ভিদ কোষে ভ্যাকুওল সাধারণত একটি বড় আকারে উপস্থিত থাকে। প্রাণী কোষে ভ্যাকুওল অনেকগুলো হলেও ছোট ছোট আকারে থাকে।

  5. সেন্ট্রোজোম: উদ্ভিদ কোষে সেন্ট্রোজোম থাকে না বা অতি ক্ষুদ্রাকারে থাকে। প্রাণী কোষে সেন্ট্রোজোম স্পষ্টভাবে বিদ্যমান এবং কোষ বিভাজনে সাহায্য করে।


2. ভাজক কলা ও স্থায়ী কলার প্রধান পাঁচটি পার্থক্য লেখ।

উত্তর:
ভাজক কলা ও স্থায়ী কলা গঠন ও কার্যকলাপের দিক থেকে অনেকটাই আলাদা। এদের মধ্যে পাঁচটি পার্থক্য হলো –

  1. কোষ গহ্বর: ভাজক কলার কোষে গহ্বর অনুপস্থিত থাকে, কিন্তু স্থায়ী কলার কোষে গহ্বর সাধারণত উপস্থিত থাকে।

  2. কোষের পরিণতি: ভাজক কলার কোষগুলো অপরিণত, আর স্থায়ী কলার কোষগুলো সর্বদা পরিণত।

  3. কোষ বিভাজন ক্ষমতা: ভাজক কলার কোষ বিভাজনের ক্ষমতা থাকে, কিন্তু স্থায়ী কলার কোষ বিভাজনে অক্ষম।

  4. অবস্থান: ভাজক কলা ভ্রূণ অবস্থা থেকে দেহের বিভিন্ন স্থানে থাকে এবং নতুন কোষ তৈরি করে। স্থায়ী কলা ভ্রূণ অবস্থায় অনুপস্থিত থাকে এবং পরে ভাজক কলা থেকে তৈরি হয়।

  5. প্রধান কাজ: ভাজক কলার কাজ হলো উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটানো। স্থায়ী কলার কাজ হলো উদ্ভিদের শক্তি, খাদ্য পরিবহন ও সঞ্চয়, এবং যান্ত্রিক দৃঢ়তা প্রদান করা।


3. প্রোক্যারিওটিক কোষ ও ইউক্যারিওটিক কোষের প্রধান পাঁচটি পার্থক্য লেখ।

উত্তর:
প্রোক্যারিওটিক কোষ ও ইউক্যারিওটিক কোষের মধ্যে গঠনগত ও কার্যগত অনেক পার্থক্য আছে। প্রধান পাঁচটি পার্থক্য হলো –

  1. কোষ প্রাচীর: প্রোক্যারিওটিক কোষে সাধারণত কোষ প্রাচীর থাকে (যেমন – ব্যাকটেরিয়া)। ইউক্যারিওটিক কোষে উদ্ভিদ কোষে কোষ প্রাচীর থাকে, কিন্তু প্রাণী কোষে থাকে না।

  2. নিউক্লিয়াস: প্রোক্যারিওটিক কোষে আদিম নিউক্লিয়াস থাকে, যেখানে নিউক্লিয়ার মেমব্রেন বা নিউক্লিওলাস অনুপস্থিত। ইউক্যারিওটিক কোষে সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে, যেখানে নিউক্লিয়ার মেমব্রেন, নিউক্লিওলাস ও ক্রোমাটিন বিদ্যমান।

  3. ক্রোমোজোম: প্রোক্যারিওটিক কোষে সাধারণত একক বৃত্তাকার DNA থাকে, নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে না। ইউক্যারিওটিক কোষে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে।

  4. কোষ বিভাজন: প্রোক্যারিওটিক কোষ বিভাজন সাধারণ বাইনারি ফিশন বা সরল বিভাজনে ঘটে। ইউক্যারিওটিক কোষ বিভাজন মাইটোসিস ও মিয়োসিস – উভয় প্রক্রিয়ায় ঘটে।

  5. ভ্যাকুওল: প্রোক্যারিওটিক কোষে সাধারণত ভ্যাকুওল থাকে না। ইউক্যারিওটিক কোষে উদ্ভিদ কোষে ভ্যাকুওল থাকে, তবে প্রাণী কোষে থাকে না বা খুব ছোট থাকে।


4. খনিজ মৌল কয় প্রকার ও কি কি? মানবদেহে এদের ভূমিকা গুলি উল্লেখ কর।

উত্তর:
মানবদেহের সুষ্ঠু বৃদ্ধি, পুষ্টি এবং স্বাভাবিক কাজকর্ম চালানোর জন্য বিভিন্ন খনিজ মৌল অপরিহার্য। দেহে মূলত ম্যাক্রো-মিনারেল ও মাইক্রো-মিনারেল – এই দুই প্রকার খনিজ প্রয়োজন হয়। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ মৌল ও তাদের ভূমিকা আলোচনা করা হলো –

  1. লৌহ (Fe):
    হিমোগ্লোবিন ও সাইটোক্রোম তৈরিতে প্রয়োজন। অক্সিজেন পরিবহন ও কোষশ্বাস প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এর অভাবে রক্তাল্পতা (Anemia) হয়।

  2. পটাশিয়াম (K):
    স্নায়ুর উত্তেজনা পরিবহন, হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ ও পেশির কাজকর্মে সাহায্য করে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

  3. হাইড্রোজেন (H):
    কোষ গঠনে ও প্রোটোপ্লাজমের মূল উপাদান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

  4. ক্যালসিয়াম (Ca):
    হাড় ও দাঁত গঠন, রক্ত জমাট বাঁধা (Blood clotting), পেশি সংকোচন ও স্নায়ুর কাজকর্মে প্রয়োজন।

  5. আয়োডিন (I):
    থাইরক্সিন হরমোন তৈরিতে অপরিহার্য। এর অভাবে গলগণ্ড রোগ দেখা দেয়।


5.  একটি নিউরনের ছবি এঁকে বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করো।

Ans.

Post a Comment

We’d love to hear your thoughts! Share your comment below.

Previous Post Next Post