পশ্চিমবঙ্গ ভূগোল প্রশ্ন উত্তর | Class 9 Geography Chapter 8 | WB Board | MCQ, SAQ, VSAQ, বড় প্রশ্ন
![]() |
পশ্চিমবঙ্গ ভূগোল প্রশ্ন উত্তর | Class 9 Geography Chapter 8 | WB Board | MCQ, SAQ, VSAQ, বড় প্রশ্ন |
পশ্চিমবঙ্গ (Chapter 8) নবম শ্রেণীর ভূগোলের MCQ, SAQ, VSAQ ও বিশ্লেষণধর্মী বড় প্রশ্নের 100% ইউনিক উত্তর। সহজে পড়া ও মনে রাখার উপযোগী।
পশ্চিমবঙ্গ (অষ্টম অধ্যায়) | Class 9 Geography | WB Board
MCQ (Multiple Choice Questions)
-
গঙ্গা মুর্শিদাবাদের কোন অংশ দুটি ভাগে বিভক্ত?
(A) ভগবানগোলা ✅
(B) ভগবানপুর
(C) ভগবাননগর
(D) কোনোটিই নয় -
পশ্চিমবঙ্গ কতটি প্রতিবেশী রাজ্য দ্বারা ঘেরা?
(A) 4
(B) 6
(C) 7
(D) 5 ✅ -
উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় নদী কোনটি?
(A) তিস্তা ✅
(B) তোর্সা
(C) বালাসন
(D) জলঢাকা -
মালদহ জেলার মহানন্দা নদীর পশ্চিমের নবীন ভূমিকে কি বলা হয়?
(A) দিয়ারা ✅
(B) বরেন্দ্রভূমি
(C) তাল
(D) ডুয়ার্স -
পোড়ামাটির পুতুল ও মূর্তির জন্য বিখ্যাত স্থান কোনটি?
(A) ঘাটাল
(B) চণ্ডিপুর
(C) শান্তিপুর
(D) বিষ্ণুপুর ✅ -
লৌহ ইস্পাত শিল্পকেন্দ্র কোনটি?
(A) খড়গপুর
(B) কাকদ্বীপ
(C) দুর্গাপুর ✅
(D) ইসলামপুর -
সল্টলেকে কোন শিল্প গড়ে উঠেছে?
(A) লৌহ ইস্পাত
(B) তথ্যপ্রযুক্তি ✅
(C) পাট শিল্প
(D) কার্পাস বয়ন -
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর কোনটি?
(A) দিঘা
(B) কাহি
(C) তমলুক ✅
(D) ঘাটাল -
জলঢাকা নদীর একটি উপনদী হল?
(A) রিলি
(B) সেবক
(C) ডায়না ✅
(D) বালাসন -
মৎস্য বন্দর কোন স্থানে গড়ে উঠেছে?
(A) শংকরপুর ✅
(B) কৃষ্ণনগর
(C) বাঁকুড়া
(D) বালুরঘাট -
পার্বত্য অঞ্চলের মাটিতে ভালো জন্মায়?
(A) জাম
(B) কাঁঠাল
(C) আটা
(D) কমলালেবু ✅ -
পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী দেশের সংখ্যা কত?
(A) 2
(B) 3 ✅
(C) 4
(D) 5 -
তথ্য আদানপ্রদান, হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সমন্বয় কোন শিল্পে ঘটে?
(A) পর্যটন
(B) তাঁত
(C) তথ্যপ্রযুক্তি ✅
(D) খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ -
চিরপ্রবাহী নদী কোনটি?
(A) রূপনারায়ণ
(B) ইছামতী
(C) তিস্তা ✅
(D) সুবর্ণরেখা -
পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব-পশ্চিম বিস্তার প্রায় কত কিলোমিটার?
(A) 650
(B) 325 ✅
(C) 395
(D) 610 -
বরাকর নদীর উৎস কোন নদী?
(A) গঙ্গা
(B) মহানদী
(C) দামোদর ✅
(D) তিস্তা -
উত্তরবঙ্গের নদীগুলির অন্যতম বৈশিষ্ট্য কী?
(A) নদী খরস্রোতা নয়
(B) বরফগলা জলে পুষ্ট ✅
(C) অসংখ্য শাখা নদী
(D) অধিকাংশ নদী পশ্চিমবাহিনী -
সঠিক জোড়াটি বেছে নিন –
(A) দামোদর নদ – পশ্চিমের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল
(B) কালিম্পং জেলা – সমুদ্র থেকে দূরবর্তী স্থান ✅
(C) পডসল মৃত্তিকা – পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি
(D) অ্যালপাইন উদ্ভিদ – সুন্দরবন -
সঠিক জোড়াটি বেছে নিন –
(A) তিস্তা নদী – জোয়ার জলে পুষ্ট
(B) দার্জিলিং জেলা – দৈনিক উষ্ণতার প্রসর বেশি
(C) মালভূমির ল্যাটেরাইট মৃত্তিকা – জলধারণ ক্ষমতা কম ✅
(D) পাইন – ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ
VSAQ (Very Short Answer Questions)
-
‘তরাই’ কথার অর্থ কী?
Ans: স্যাঁতস্যাঁতে -
তিস্তা নদীর উৎস কোথায়?
Ans: জিমু হিমবাহ -
পশ্চিমবঙ্গের গ্রীষ্মকালীন ঝড়কে কী বলা হয়?
Ans: কালবৈশাখী -
কোন জেলাকে পশ্চিমবঙ্গের ‘ধানের গোলা’ বলা হয়?
Ans: বর্ধমান -
পূর্বের শেফিল্ড কোন শহরকে বলা হয়?
Ans: হাওড়া -
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত দুটি ফুড পার্কের নাম লিখুন।
Ans: শংকরপুর ও কাকদ্বীপ -
পশ্চিমবঙ্গের উষ্ণতম স্থানটি কোথায়?
Ans: আসানসোল -
পার্বত্য অঞ্চলের মাটির রং কেমন?
Ans: কালো বা ধূসর -
সেবক ব্রিজ কোন নদীর ওপর?
Ans: তিস্তা -
পশ্চিমবঙ্গে চাষ করা সুগন্ধি ধানের নাম লিখুন।
Ans: বাসমতি -
আলিপুরদুয়ার জেলাটি ভেঙে কোন জেলাটি সৃষ্টি হয়েছে?
Ans: জলপাইগুড়ি -
পশ্চিমবঙ্গের দুটি তন্তুজাতীয় শস্যের নাম লিখুন।
Ans: পাট ও শন -
উত্তরবঙ্গের নদীগুলি কোন জলে পুষ্ট?
Ans: বরফগলা -
কোন নদী উত্তর পার্বত্য অঞ্চলকে বিভক্ত করেছে?
Ans: তিস্তা নদী
পশ্চিমবঙ্গ (অষ্টম অধ্যায়) | Class 9 Geography | WB Board
SAQ (Short Answer Questions) – সংক্ষিপ্ত উত্তর
প্রতিটি প্রশ্নের মান: ২
১. ডুংরি কি?
Ans:
ডুংরি হলো পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া অঞ্চলের ক্ষয়প্রাপ্ত ছোট ছোট টিলা বা পাহাড়, যা স্থানীয় ভাষায় ‘ডুংরি’ নামে পরিচিত।
অযোধ্যা পাহাড়তলির কাছাকাছি প্রায় তিন-চার কিলোমিটার দূরত্বে কিছু ডুংরি রয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো ভালিডুংরি, যা পর্যটক এবং স্থানীয়দের কাছে পরিচিত।
২. পশ্চিমবঙ্গের চতুর্দিকের সীমা উল্লেখ কর।
Ans:
পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী দেশগুলি হলো:
-
উত্তর-পশ্চিমে: নেপাল
-
উত্তরে: ভুটান
-
পূর্বে: বাংলাদেশ
পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্যগুলি হলো:
-
উত্তরে: সিকিম
-
পূর্বে: অসম
-
পশ্চিমে: বিহার এবং ঝাড়খন্ড
-
দক্ষিণ-পশ্চিমে: ওড়িশা
৩. কালবৈশাখী কেন হয়?
Ans:
পশ্চিমবঙ্গের সমভূমি অঞ্চলে এপ্রিল-মে মাসে কালবৈশাখীর সৃষ্টি হয়।
কারণ:
-
সাগরের আর্দ্র বাতাস পূর্ব থেকে আসে,
-
সঙ্গে স্থলভাগের তুলনামূলকভাবে উষ্ণ বাতাস,
-
এই বাতাস মিশে প্রচণ্ড বজ্রমেঘ সৃষ্টি করে।
এরপর বজ্রমেঘ চাপ আকারে নীচে নেমে আসে, এবং প্রচণ্ড বজ্র, বৃষ্টি ও হালকা ঝড় তৈরি করে।
এই কারণেই এ ধরনের ঝড়কে কালবৈশাখী বলা হয়।
৪. তাল অঞ্চল কাকে বলে?
Ans:
তাল অঞ্চল হলো কোচবিহার জেলার দক্ষিণতম অংশ, এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সমভূমি।
ভূপ্রকৃতিগতভাবে, এই অঞ্চল নিম্নভূমি ও পলি সঞ্চয়ের ফলে গঠিত।
এখানে অসংখ্য জলভূমি এবং খাল-বিল রয়েছে।
ফলে বর্ষাকালে তাল অঞ্চল প্রায় সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়।
এ অঞ্চলের মাটি এবং জলসম্পদ একত্রিত হয়ে এটি উপজীবন এবং কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমি হিসেবে পরিচিত।
পশ্চিমবঙ্গ (অষ্টম অধ্যায়) | Class 9 Geography | WB Board
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন ও উত্তর (SAQ)
প্রতিটি প্রশ্নের মান: ৩
১. ‘পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের অধিকাংশ নদী পূর্ববাহিনী’ – ভৌগলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।
Ans:
পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের ভূমির ঢাল পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অধিকাংশ নদী পূর্বদিকে প্রবাহিত হয়।
মালভূমি অঞ্চল থেকে উৎপন্ন নদীগুলি সমভূমিতে কম উচ্চতার দিকে নেমে যায় এবং বঙ্গোপসাগরের দিকে পতিত হয়।
ভূপ্রাকৃতিকভাবে এই ঢাল এবং সমভূমির অভাব, নদীগুলিকে পূর্বমুখী প্রবাহে বাধ্য করে।
সুতরাং, মালভূমি অঞ্চলের অধিকাংশ নদী পূর্ববাহিনী।
২. জঙ্গলমহল সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
Ans:
জঙ্গলমহল হলো পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং ছোটনাগপুর মালভূমি অঞ্চলের বন, পর্বত ও অরণ্যময় এলাকা।
১৮শ শতাব্দীতে ব্রিটিশ শাসনাধীন সময় এই অঞ্চলকে জঙ্গলমহল নামে পরিচিত করা হয়।
এর আগে এই স্থান ‘তরাই’ নামে পরিচিত ছিল।
এটি ঘন বনভূমি এবং এখানে সাঁওতাল ও ভূমিজ আদিবাসীরা বসবাস করতেন।
৩. ‘সুন্দরবন অঞ্চলে এখনও বদ্বীপ গঠনের কাজ চলছে’ – ভৌগলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।
Ans:
সুন্দরবন অঞ্চল বঙ্গোপসাগরের মোহনায় গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পলি সঞ্চয়ের ফলে গঠিত হয়েছে।
ভূমিগত কারণে এখানে এখনো সক্রিয় বদ্বীপ গঠন চলছে।
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং বাংলাদেশের খুলনা জেলার দক্ষিণভাগ এই সক্রিয় বদ্বীপ গঠনের অংশ।
নদীর ক্রমাগত পলি সঞ্চয়ের ফলে অনেক ছোট দ্বীপ তৈরি হচ্ছে, এবং কিছু স্থানে বসতি স্থাপনও হয়েছে।
সুন্দরবনের মাটি পলিযুক্ত দোআঁশধরনের, যা নদীর পলি ও সমুদ্র উপকূলের প্রভাবে গঠিত।
৪. উত্তরবঙ্গে নদীগুলিতে বর্ষায় বন্যা হয় কেন?
Ans:
উত্তরবঙ্গের নদী পার্বত্য অঞ্চলে খরস্রোতা হলেও, সমভূমিতে প্রবেশ করলে নদীর গতি কমে যায়।
নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় অতিরিক্ত জল ধারণ করা সম্ভব হয় না।
উত্তরবঙ্গের নদী বরফগলা জলে পুষ্ট, এবং বর্ষাকালে অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে নদীর জল ধারন ক্ষমতার বাইরে চলে যায়,
ফলে নদী উপকূলীয় সমভূমিতে বন্যা সৃষ্টি করে।
৫. পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ উদ্ভিদ পর্ণমোচী কেন?
Ans:
পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু ক্রান্তীয় আর্দ্র মৌসুমি প্রকৃতির, ফলে ঋতুবিন্যাসে উদ্ভিদের পাতা ঝরে।
-
গ্রীষ্মকাল: আর্দ্র ও উষ্ণ
-
শীতকাল: শুষ্ক ও ঠান্ডা
-
মধ্যবর্তী ঋতু: বসন্ত ও হেমন্ত
এই ঋতুবিন্যাসের কারণে পর্ণমোচী উদ্ভিদ দেখা যায়।
উদাহরণ:
-
পূর্ব হিমালয়ে: শাল, সেগুন, ওক, বারচ, ম্যাপল
-
মালভূমি অঞ্চলে: শাল, শিমূল, মহুয়া, পলাশ, আমলকী
-
সমভূমিতে: আম, জাম, কাঁঠাল
৬. পশ্চিমবঙ্গের শীতকাল শুষ্ক কেন?
Ans:
শীতকালে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাত কম হয়।
-
সূর্য দক্ষিণায়ন হওয়ায় উত্তর ও উত্তরপূর্ব ভারতের তাপমাত্রা কমে যায়।
-
উচ্চচাপ স্থলভাগ থেকে নিম্নচাপ সমুদ্র দিকে বাতাস প্রবাহিত হয়, যা পূর্ব মৌসুমি বায়ু নামে পরিচিত।
-
এই বাতাস শুষ্ক ও জলীয় বাষ্পবিহীন, তাই শীতকালে পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক হয়।
পশ্চিমবঙ্গ (অষ্টম অধ্যায়) | Class 9 Geography | WB Board
বড় প্রশ্ন ও উত্তর (রচনাধর্মী/বিশ্লেষণধর্মী)
প্রতিটি প্রশ্নের মান: ৫
১. ‘পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকৃতির’ – এই বক্তব্যটির সত্যতা বিচার করো।
Ans:
পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র, ক্রান্তীয় মৌসুমি প্রকৃতির। রাজ্যের জলবায়ুর এই বৈশিষ্ট্যকে কয়েকটি দিক থেকে বিশ্লেষণ করা যায়:
-
উষ্ণতা ও আর্দ্রতা:
-
শীতকালীন কিছু মাস এবং উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল ছাড়া প্রায় সারাবছরই তাপমাত্রা উচ্চ, ফলে জলবায়ু উষ্ণ।
-
রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই মাঝারি থেকে বেশি বৃষ্টিপাত, যা জলবায়ুকে আর্দ্র করে।
-
-
ভৌগলিক অবস্থান:
-
পশ্চিমবঙ্গের মধ্যভাগ দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা গেছে, যা ক্রান্তীয় অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য প্রদান করে।
-
সমভূমি ও পার্বত্য এলাকার মধ্যে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
-
-
মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের প্রভাব:
-
রাজ্যের ঋতু পরিবর্তন, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ ও উষ্ণতা সবই মৌসুমি বায়ুর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
-
মোট বার্ষিক বৃষ্টিপাতের প্রায় ৯০% আসে মৌসুমি বায়ুর মাধ্যমে।
-
গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়, যা আর্দ্রতা বৃদ্ধি করে।
-
শীতকালে পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়, যা শুষ্ক থাকে।
-
এই ঋতুগত বিপরীতমুখী বায়ুপ্রবাহের কারণে গ্রীষ্মকাল আর্দ্র এবং শীতকাল শুষ্ক হয়।
-
-
উষ্ণতার ভিন্নতা:
-
রাজ্যের সব জায়গায় সমান পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয় না।
-
এর ফলে কোথাও উষ্ণতা বেশি, কোথাও কম।
-
এই ভিন্নতার উপস্থিতি ক্রান্তীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য হিসেবে দেখা যায়।
-
উপসংহার:
পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু উষ্ণ, আর্দ্র, মৌসুমি এবং ক্রান্তীয়। উষ্ণতার ভিন্নতা, ঋতুগত মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ, এবং বৃষ্টিপাতের প্রকৃতি এই বক্তব্যকে বৈজ্ঞানিকভাবে সমর্থন করে।
প্রশ্ন 2: হাওড়াকে ভারতের গ্লাসগো বলা হয় কেন?
Ans:
হাওড়া শহরটি কলকাতা শহরের বিপরীতে, ভাগীরথী হুগলী নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। এটি পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকেন্দ্র।
শিল্প ও উৎপাদন ক্ষেত্র:
-
হুগলী শিল্পাঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এখানে রয়েছে পাট শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, বস্ত্র বয়ন, কার্পাস শিল্প এবং আরও নানাধরণের কারখানা।
-
শহরটি ইঞ্জিনিয়ারিং ও উৎপাদন শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ, যা অর্থনৈতিক ও শিল্পকেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
তুলনামূলক কারণ:
-
ইংল্যান্ডের গ্লাসগো শহরও বহু চর্চিত শিল্পকেন্দ্র।
-
সেখানে প্রচুর ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প রয়েছে, যা হাওড়ার শিল্প কাঠামোর সাথে মিল রয়েছে।
-
এই মিলের কারণে হাওড়াকে “ভারতের গ্লাসগো” বলা হয়।
প্রশ্ন ২: GTA চুক্তি কি?
Ans:
GTA (Gorkhaland Territorial Administration) হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলের আধা-স্বশাসিত প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ।
প্রতিষ্ঠা ও অঞ্চল:
-
1988 সালে GTA চুক্তি স্থাপিত হয়।
-
GTA-এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে দার্জিলিং জেলার তিনটি মহকুমা:
-
দার্জিলিং সদর
-
কালিম্পং
-
কারশিয়াং
-
-
এছাড়াও GTA-এর অন্তর্ভুক্ত শিলিগুড়ির অংশবিশেষ।
উদ্দেশ্য:
-
এই প্রশাসনিক কাঠামো দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলের স্থানীয় স্বশাসন ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করে।
-
স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে সহায়ক।
প্রশ্ন: 4. পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের ও মালভূমি অঞ্চলের নদ-নদীর তিনটি পার্থক্য লেখ।
Ans:
১. জলের উৎস:
-
পার্বত্য অঞ্চলের নদী: মূলত বরফগলা জলে পুষ্ট, কারণ এগুলি হিমালয় ও পার্বত্য উৎস থেকে শুরু হয়।
-
মালভূমি অঞ্চলের নদী: প্রধানত বর্ষার জলে পুষ্ট, অর্থাৎ বৃষ্টির মৌসুমে জল প্রবাহ বেশি থাকে।
২. সারা বছরের জলপ্রবাহ:
-
পার্বত্য অঞ্চলের নদী: বছরের সারাদিন জল প্রবাহিত থাকে।
-
মালভূমি অঞ্চলের নদী: বর্ষার বাইরে জলপ্রবাহ খুব কম, বা প্রায় শুকনো থাকে।
৩. নদীর গন্তব্য:
-
পার্বত্য অঞ্চলের নদী: অধিকাংশ নদী বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যমুনা নদীতে মিশে।
-
মালভূমি অঞ্চলের নদী: নদীগুলি ভাগীরথী-হুগলি নদীতে মিশে।
প্রশ্ন:5 পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলো আলোচনা কর।
Ans:
পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ:
১. উষ্ণ মৌসুমী প্রকৃতি:
-
সাধারণভাবে পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু গ্রীষ্মপ্রধান উষ্ণ মৌসুমী।
-
শীতকালে কিছু মাস এবং উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল বাদ দিলে, বছরের প্রায় সব সময় উষ্ণতা বেশি থাকে।
২. বৃষ্টিপাতের বৈশিষ্ট্য:
-
জুলাই মাসে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
-
ডিসেম্বর মাসে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত দেখা যায়।
-
এর ফলে জলবায়ু আর্দ্র ও মৌসুমি।
৩. তাপমাত্রার প্রসার ও ক্রান্তীয় বৈশিষ্ট্য:
-
পশ্চিমবঙ্গ ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত, তাই তাপমাত্রা প্রায় সারা বছর ২৭°C থেকে ৪৫°C পর্যন্ত ওঠা-নেমা করে।
-
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনটি শীতের মাসকে বাদ দিলে, উষ্ণতা সবসময় উচ্চ থাকে।
উপসংহার:
পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু উষ্ণ, আর্দ্র ও মৌসুমি, যেখানে গ্রীষ্মে উষ্ণতা ও বর্ষায় বৃষ্টি বেশি, শীতে কম বৃষ্টি এবং তাপমাত্রার ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।
প্রশ্ন:6 পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা লেখ।
Ans:
১. পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্পের সমস্যা:
-
পশ্চিমবঙ্গ ভারতের মধ্যে চা উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও শিল্পটি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত।
-
পুরনো চা বাগিচা: অনেক বাগিচা পুরনো ও আবাদে অক্ষম হয়ে পড়েছে।
-
উৎপাদন ব্যয় বেশি: চায়ের উৎপাদন খরচ তুলনামূলকভাবে উচ্চ।
-
সুষ্ঠু পরিচালনার অভাব: আধুনিক প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা কম থাকায় উৎপাদন কম।
-
পুরনো যন্ত্রপাতি: প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ পুরনো হওয়ায় মান ও উৎপাদন প্রভাবিত হয়।
-
শ্রমিকদের মজুরি বেশি: শ্রমিকদের মজুরি ও অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।
-
বাগিচার সম্প্রসারণের সীমাবদ্ধতা: নতুন জমি চা চাষের জন্য সহজলভ্য নয়।
পশ্চিমবঙ্গ ভারতের মধ্যে চা উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও শিল্পটি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত।
পুরনো চা বাগিচা: অনেক বাগিচা পুরনো ও আবাদে অক্ষম হয়ে পড়েছে।
উৎপাদন ব্যয় বেশি: চায়ের উৎপাদন খরচ তুলনামূলকভাবে উচ্চ।
সুষ্ঠু পরিচালনার অভাব: আধুনিক প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা কম থাকায় উৎপাদন কম।
পুরনো যন্ত্রপাতি: প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ পুরনো হওয়ায় মান ও উৎপাদন প্রভাবিত হয়।
শ্রমিকদের মজুরি বেশি: শ্রমিকদের মজুরি ও অন্যান্য ভাতা বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।
বাগিচার সম্প্রসারণের সীমাবদ্ধতা: নতুন জমি চা চাষের জন্য সহজলভ্য নয়।
উপরোক্ত সমস্যার কারণে পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্প আজ এক চরম সঙ্কটের মুখোমুখি।
২. পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্পের সম্ভাবনা:
-
উৎপাদন বৃদ্ধি: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চায়ের উৎপাদন আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
-
উৎপাদন ব্যয় কমানো: যদি উৎপাদন ব্যয় কমানো যায় এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তবে লাভজনক হবে।
-
গুণগত মান বৃদ্ধি: চায়ের মান উন্নত করলে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
-
আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণ: মান উন্নয়নের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের চা বিক্রয় ও রপ্তানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
উৎপাদন বৃদ্ধি: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চায়ের উৎপাদন আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
উৎপাদন ব্যয় কমানো: যদি উৎপাদন ব্যয় কমানো যায় এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তবে লাভজনক হবে।
গুণগত মান বৃদ্ধি: চায়ের মান উন্নত করলে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সম্প্রসারণ: মান উন্নয়নের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের চা বিক্রয় ও রপ্তানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
উপসংহার:
পশ্চিমবঙ্গের চা শিল্পে সমস্যা থাকলেও সঠিক প্রযুক্তি, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ও মান উন্নয়নের মাধ্যমে এই শিল্পকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমৃদ্ধশালী করা সম্ভব।
West Bengal Class 9th Geography Suggestion 2025 WBBSE | Class 9 Geography Suggestion 2025 | পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণীর ভূগোল সাজেশন ২০২৫