নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান (Life Science) চতুর্থ অধ্যায় – "জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ" MCQ প্রশ্নোত্তর এখানে দেওয়া হল। WBBSE Class 9 Science পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একাধিক MCQ (Multiple Choice Questions) সঠিক উত্তরসহ সাজানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সহজে প্রস্তুতি নিতে পারবে।
![]() |
MCQ | জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ (চতুর্থ অধ্যায়) | নবম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর | WB Class 9 Life Science Chapter 4 Jibbidya O Manobkolyan MCQ Question Answer |
📚 MCQ প্রশ্ন ও উত্তর
Chapter 4: জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ (Class 9 Life Science – WB Board)
👉 প্রশ্ন 1: নীচের কোনটি নাইট্রোজেন সংবন্ধন করতে পারে?
(A) প্রোটোজোয়া
(B) সায়ানোব্যাকটেরিয়া ✅
(C) ভাইরাস
(D) ছত্রাক
👉 প্রশ্ন 2: একটি oral vaccine হল –
(A) TAB
(B) DPT
(C) OPV ✅
(D) BCG
👉 প্রশ্ন 3: DPT টিকাটি কোন রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়?
(A) ডিপথেরিয়া
(B) হুপিং কাশি
(C) টিটেনাস
(D) সবকটি ✅
👉 প্রশ্ন 4: ইমিউনোগ্লোবিউলিন অণুগুলি হল একপ্রকার –
(A) শর্করা
(B) প্রোটিন ✅
(C) ফ্যাট
(D) সবকটিই
👉 প্রশ্ন 5: ভ্রূণের দেহে যে প্রতিরক্ষা গড়ে ওঠে তা হল –
(A) সক্রিয় ইমিউনিটি
(B) নিষ্ক্রিয় ইমিউনিটি ✅
(C) কোশীয় ইমিউনিটি
(D) যান্ত্রিক ইমিউনিটি
👉 প্রশ্ন 6: ভাইরাস আক্রান্ত কোশ থেকে ক্ষরিত অ্যান্টিভাইরাল প্রোটিন হল –
(A) ইন্টারফেরন ✅
(B) HCl
(C) লাইসোজাইম
(D) কোনোটিই নয়
👉 প্রশ্ন 7: রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়ার সঠিক বৈশিষ্ট্য –
(A) শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের মূলের অবুদে থাকে
(B) N₂ সংবন্ধন করতে পারে
(C) মিথোজীবী প্রকৃতির
(D) সবকটি ✅
👉 প্রশ্ন 8: স্পোডোপটেরা লিটুরা নামক পতঙ্গের লার্ভা বিনাশে প্রয়োজন –
(A) NPV
(B) গ্রানুলোসিস ভাইরাস ✅
(C) ব্যাসিলাস থুরিনজিয়েনসিস্
(D) সবকটি
👉 প্রশ্ন 9: নীচের কোনটি একটি জলবাহিত রোগ?
(A) টিটেনাস
(B) ডিপথেরিয়া
(C) ডায়ারিয়া ✅
(D) যক্ষ্মা
👉 প্রশ্ন 10: রোটা ভাইরাস শিশুদের যে রোগ ঘটায় তা হল –
(A) নিউমোনিয়া
(B) যক্ষ্মা
(C) ম্যালেরিয়া
(D) উদরাময় ✅
👉 প্রশ্ন 11: আদ্যপ্রাণীঘটিত রোগ হল –
(A) ম্যালেরিয়া ✅
(B) ইনফ্লুয়েঞ্জা
(C) যক্ষ্মা
(D) AIDS
👉 প্রশ্ন 12: কোশের অন্তঃপরজীবী –
(A) প্লাজমোডিয়াম ✅
(B) টিনিয়া
(C) মাইট
(D) ফ্লি
👉 প্রশ্ন 13: কোন রোগে ফুসফুস আক্রান্ত হয়?
(A) ডেঙ্গু
(B) হেপাটাইটিস
(C) টিটেনাস
(D) নিউমোনিয়া ✅
👉 প্রশ্ন 14: দেহে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হওয়ার জন্য যে বস্তু দায়ী –
(A) অ্যান্টিজেন ✅
(B) ভাইরাস
(C) প্রিয়ন
(D) ভাইরয়েড
👉 প্রশ্ন 15: মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া হল –
(A) ক্লসট্রিডিয়াম
(B) রাইজোবিয়াম ✅
(C) অ্যাজোটোব্যাকটর
(D) মাইকোব্যাকটেরিয়াম
👉 প্রশ্ন 16: মাটিতে বাতাসের নাইট্রোজেন যুক্ত করে –
(A) ক্লসট্রিডিয়াম
(B) অ্যাজোটোব্যাকটর ✅
(C) রাইজোবিয়াম
(D) নাইট্রোসোমোনাস
👉 প্রশ্ন 17: অ্যান্টিবডির রাসায়নিক প্রকৃতি হল –
(A) প্রোটিন ✅
(B) গ্লাইকোপ্রোটিন
(C) শর্করা
(D) লিপিড
👉 প্রশ্ন 18: নীচের কোনটি অ্যান্টিবডি নয়?
(A) IgA
(B) IgB ✅
(C) IgE
(D) IgD
👉 প্রশ্ন 19: টক্সয়েড থেকে প্রস্তুত টিকা হল –
(A) হাম
(B) পোলিও
(C) টিটেনাস ✅
(D) যক্ষ্মা
👉 প্রশ্ন 20: BCG যে ধরনের টিকা –
(A) টক্সয়েড
(B) কনজুগেটেড ভ্যাকসিন
(C) অ্যাটিনিউরয়েটেড ভ্যাকসিন ✅
(D) সাবইউনিট ভ্যাকসিন
👉 প্রশ্ন 21: কোন রোগটি প্রোটোজোয়া ঘটিত?
(A) কলেরা
(B) আমাশয় ✅
(C) ইনফ্লুয়েঞ্জা
(D) টিউবারকিউলোসিস
👉 প্রশ্ন 22: লোহিত রক্তকণিকা ধ্বংস করে –
(A) ফাইলেরিয়া
(B) নিউমোনিয়া
(C) ডিপথেরিয়া
(D) ম্যালেরিয়া ✅
👉 প্রশ্ন 23: প্লেটলেট কমে মৃত্যু ঘটে কোন রোগে?
(A) ম্যালেরিয়া
(B) ডেঙ্গু ✅
(C) যক্ষ্মা
(D) ডিপথেরিয়া
👉 প্রশ্ন 24: রক্তের যে অ্যান্টিবডি পেন্টামার গঠন করে –
(A) IgM ✅
(B) IgA
(C) IgE
(D) IgG
👉 প্রশ্ন 25: কোশভিত্তিক অনাক্রম্যতার প্রধান কোশ –
(A) T-কোশ ✅
(B) B-কোশ
(C) α-কোশ
(D) কোনোটিই নয়
👉 প্রশ্ন 26: টিকাকরণ প্রদান করে –
(A) সক্রিয় অনাক্রম্যতা ✅
(B) নিষ্ক্রিয় অনাক্রম্যতা
(C) প্রাকৃতিক অনাক্রম্যতা
(D) A ও B উভয়ই
📚 অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর (VSAQ)
Chapter 4 – জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ (Class 9 Life Science, WB Board)
👉 প্রশ্ন 1: বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস কোন দিন পালিত হয়?
✅ উত্তর: 7 এপ্রিল।
👉 প্রশ্ন 2: শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের মূলে গুটি সৃষ্টিকারী মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখো।
✅ উত্তর: রাইজোবিয়াম (Rhizobium)।
👉 প্রশ্ন 3: ধান ও ভুট্টা গাছের মূলে কোন মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়?
✅ উত্তর: আজোস্পিরিলাম (Azospirillum)।
👉 প্রশ্ন 4: UNICEF-এর পুরো নাম লেখো।
✅ উত্তর: United Nations International Children’s Emergency Fund।
👉 প্রশ্ন 5: মৃত বা নিষ্ক্রিয় টিকার একটি উদাহরণ দাও।
✅ উত্তর: ইনফ্লুয়েঞ্জা।
👉 প্রশ্ন 6: টিটেনাস রোগের জীবাণুর নাম কী?
✅ উত্তর: Clostridium tetani (ক্লসট্রিডিয়াম টিটানি)।
👉 প্রশ্ন 7: ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি ফুসফুসের রোগের নাম লেখো।
✅ উত্তর: যক্ষ্মা।
👉 প্রশ্ন 8: যে পোষকের দেহে পরজীবীর জীবনচক্রের যৌনজনন ছাড়া অন্য দশা অতিবাহিত হয়, তাকে কী বলে?
✅ উত্তর: গৌণ পোষক।
👉 প্রশ্ন 9: মটর গাছের মূলে কোন ব্যাকটেরিয়া নাইট্রোজেন সংবন্ধনে সাহায্য করে?
✅ উত্তর: রাইজোবিয়াম।
👉 প্রশ্ন 10: হেপাটাইটিস–A কোন বাহিত রোগ?
✅ উত্তর: জলবাহিত রোগ।
📝 সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক উত্তর (2 Marks)
Chapter 4 – Jibbidya O Manobkolyan, Class 9, WB
প্রশ্ন 1: BCG টিকা কোন রোগ প্রতিরোধের জন্য দেওয়া হয়?
উত্তর:
BCG টিকা ব্যবহৃত হয় যক্ষ্মা (Tuberculosis) রোগ প্রতিরোধের জন্য।
এই টিকাটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্য প্রদত্ত, যা দেহকে যক্ষা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
BCG টিকা ব্যবহৃত হয় যক্ষ্মা (Tuberculosis) রোগ প্রতিরোধের জন্য।
এই টিকাটি শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্য প্রদত্ত, যা দেহকে যক্ষা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
প্রশ্ন 2: MMR এর পুরো নাম লিখো।
উত্তর:
MMR এর পূর্ণরূপ হলো –
Measles, Mumps, Rubella।
এই টিকা তিনটি রোগের বিরুদ্ধে দেহকে সক্রিয় অনাক্রম্যতা প্রদান করে।
প্রশ্ন 3: পেস্ট বা ক্ষতিকর পতঙ্গ দমনে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাকটেরিয়া কোনটি?
উত্তর:
পেস্ট বা ক্ষতিকর পতঙ্গ দমনে ব্যবহৃত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাকটেরিয়া হলো Bacillus thuringiensis (ব্যাসিলাস থুরিনজিয়েনসিস)।
এই ব্যাকটেরিয়া পতঙ্গের লার্ভা ধ্বংস করতে সহায়ক।
প্রশ্ন 4: ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার জীবাণুর নাম কী?
উত্তর:
ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী জীবাণু হলো Plasmodium falciparum।
এই পরজীবী সংক্রমণ করলে প্রচন্ড জ্বর ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়।
প্রশ্ন 5: HAV দ্বারা কী বোঝানো হয়?
উত্তর:
HAV হলো Hepatitis A Virus (হেপাটাইটিস A ভাইরাস)।
এই ভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগ জলবাহিত এবং প্রাথমিকভাবে যকৃৎকে আক্রমণ করে।
প্রশ্ন 6: নিউমোনিয়া রোগ কোন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংঘটিত হয়?
উত্তর:
নিউমোনিয়া রোগের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়ার নাম হলো Streptococcus pneumoniae।
এই ব্যাকটেরিয়া ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসকষ্ট ও জ্বরের কারণ হয়।
প্রশ্ন 7: মানবদেহে ফুসফুস আক্রমণকারী একটি ব্যাকটেরিয়ার নাম লিখো।
উত্তর:
ফুসফুস আক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম হলো Mycobacterium tuberculosis।
এই ব্যাকটেরিয়া মূলত যক্ষা রোগের জন্য দায়ী।
প্রশ্ন 8: AIDS এর পুরো নাম লিখো।
উত্তর:
AIDS এর পূর্ণরূপ হলো –
Acquired Immuno Deficiency Syndrome।
এই রোগ দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (ইমিউনিটি) দুর্বল করে।
প্রশ্ন 9: ধৌতকরণের প্রধান উদ্দেশ্য কী?
উত্তর:
ধৌতকরণের প্রধান উদ্দেশ্য হলো শরীরের স্বাস্থ্য রক্ষা করা এবং জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধ করা।
প্রশ্ন 10: আমাদের দেহে কত প্রকার ইমিউনোগ্লোবিউলিন গঠিত হয়?
উত্তর:
মানবদেহে মোট 5 প্রকার ইমিউনোগ্লোবিউলিন গঠিত হয়।
এই অ্যান্টিবডিগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন 11: অ্যান্টিজেনের রাসায়নিক প্রকৃতি লিখো।
উত্তর:
অ্যান্টিজেনের রাসায়নিক প্রকৃতি প্রধানত প্রোটিন।
কিছু অ্যান্টিজেন গ্লাইকোপ্রোটিন বা শর্করা হতে পারে।
প্রশ্ন 12: অ্যান্টিজেনের দুটি ধর্ম লিখো।
উত্তর:
অ্যান্টিজেনের দুটি প্রধান ধর্ম হলো –
-
প্রধানত প্রোটিন।
-
প্রজাতি নির্দিষ্টতা (Specificity) থাকে।
প্রশ্ন 13: অ্যান্টিজেনের যে অংশে অ্যান্টিবডি যুক্ত হয়, তাকে কী বলে?
উত্তর:
অ্যান্টিজেনের অংশ যেখানে অ্যান্টিবডি যুক্ত হয় তাকে এপিটোপ (Epitope) বলা হয়।
প্রশ্ন 14: অ্যান্টিবডির চেন দুটি কী দিয়ে সংলগ্ন থাকে?
উত্তর:
অ্যান্টিবডির চেন দুটি ডাই-সালফাইড বন্ধন (Disulfide bond) দ্বারা সংযুক্ত থাকে।
প্রশ্ন 15: অ্যান্টিবডিতে কয়টি পলিপেপটাইড শৃঙ্খল থাকে?
উত্তর:
অ্যান্টিবডিতে মোট 4টি পলিপেপটাইড শৃঙ্খল থাকে – 2টি ভারী (Heavy chains) এবং 2টি হালকা (Light chains)।
প্রশ্ন 16: রসভিত্তিক অনাক্রম্যতার জন্য দায়ী কোশ কোনটি?
উত্তর:
রসভিত্তিক (Humoral) অনাক্রম্যতার জন্য দায়ী কোশ হলো B লিম্ফোসাইট (B-Lymphocyte)।
প্রশ্ন 17: UNICEF কথাটির পুরো নাম লিখো।
উত্তর:
UNICEF এর পূর্ণরূপ হলো –
United Nations Children’s Fund।
প্রশ্ন 18: অ্যান্টিবডির সৃষ্টির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ কোন রক্তকণিকার কাজ?
উত্তর:
রক্তকণিকা লিম্ফোসাইট (Lymphocyte) অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং রোগ প্রতিরোধ করে।
প্রশ্ন 19: জৈবিক নিয়ন্ত্রণে ব্যবহারযোগ্য একটি প্রোটোজোয়ার নাম লিখো।
উত্তর:
জৈবিক নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত প্রোটোজোয়ার নাম হলো নোসেমা লোকাস্টি (Nosema locustae)।
এটি পতঙ্গ দমন বা পেস্ট নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন 20: ইমিউনোলজির জনক কে?
উত্তর:
ইমিউনোলজির জনক হলেন ডঃ এডয়ার্ড জেনার (Dr. Edward Jenner)।
তিনি ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়েছিলেন।
📚 সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নোত্তর (3 Marks – Detalied & Expanded)
প্রশ্ন 1: নিউমোনিয়া রোগের প্রধান লক্ষণ গুলো কি কি?
উত্তর:
নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণগুলো তিনটি প্রধান দিক দিয়ে লক্ষ্য করা যায় –
-
কাশি ও জ্বর: রোগী কাশি শুরু করে, যা মাঝে মাঝে খিচখিচ বা সিক্ত কাশি আকারে দেখা যায়। সাধারণত মাঝারি ধরনের জ্বর থাকে।
-
নাক দিয়ে সর্দি ও কফ: নাক দিয়ে সর্দি আসে এবং কাশির সঙ্গে কফ বের হয়, যা শ্বাসপ্রশ্বাসকে ব্যাহত করে।
-
শ্বাসকষ্ট: রোগী হালকা থেকে মাঝারি শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে পারে। বিশেষ করে শারীরিক ক্রিয়াকলাপের সময় শ্বাস ফাঁপা বা হাঁচি-কাশির সমস্যা দেখা দেয়।
উল্লেখযোগ্য: শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে নিউমোনিয়ার উপসর্গ আরও বেশি মারাত্মক হতে পারে।
প্রশ্ন 2: ম্যালেরিয়া রোগের উপসর্গ গুলো কি কি?
উত্তর:
ম্যালেরিয়া রোগের উপসর্গগুলো মূলত রক্তে পরজীবী প্লাজমোডিয়ামের প্রভাবের কারণে দেখা দেয় –
-
শীত ও কাঁপুনি: রোগী প্রচণ্ড শীত অনুভব করে এবং কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
-
উচ্চ জ্বর: জ্বর 103°–104° ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে।
-
ঘাম ও দুর্বলতা: জ্বর কমার সময় প্রচুর ঘাম হয়, ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পোশাক ভিজে যায়।
-
অতিরিক্ত ক্লান্তি: জ্বরের কারণে সারাদিনের কার্যকলাপ করতে ক্লান্তি লাগে।
উল্লেখযোগ্য: ম্যালেরিয়ার উপসর্গ পর্যবেক্ষণ করে রোগ নির্ণয় করা যায়।
প্রশ্ন 3: ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ গুলি উল্লেখ করো।
উত্তর:
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলো প্রধানত ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ প্রতিক্রিয়ার কারণে দেখা দেয় –
-
প্রাথমিক জ্বর: রোগীর শরীরে প্রাথমিকভাবে অল্পমাত্রার জ্বর হয়।
-
ক্ষুধামান্দ্য: আক্রান্ত রোগীর খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যায় এবং ক্ষুধামান্দ্য দেখা দেয়।
-
দেহব্যথা: সারা শরীরে ব্যথা অনুভূত হয়। বিশেষ করে গা-হাত-পায় প্রচন্ড ব্যথা হয়।
-
শরীর দুর্বলতা: রোগী মোটেও শক্তিশালী বোধ করে না এবং শারীরিক কর্মক্ষমতা কমে যায়।
উল্লেখযোগ্য: ডেঙ্গুতে রক্তশূন্যতা ও প্লেটলেট হ্রাসের ঝুঁকি থাকে।
প্রশ্ন 4: অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডির প্রধান দুটি পার্থক্য লেখো।
উত্তর:
পার্থক্য | অ্যান্টিজেন | অ্যান্টিবডি |
---|---|---|
1 | দেহে অনুপ্রবেশকারী বহিরাগত বস্তু | অ্যান্টিজেন উপস্থিতিতে উৎপন্ন প্রতিরোধী প্রোটিন |
2 | সাধারণত লোহিত রক্তকণিকার কোষ পর্দায় থাকে | সাধারণত প্লাজমায় অবস্থান করে |
বিস্তারিত: অ্যান্টিজেন দেহে রোগ সৃষ্টিকারী হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিবডি অ্যান্টিজেনকে শনাক্ত করে বন্ধ করে দেয় এবং রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
প্রশ্ন 5: ইমিউনিটি বা অনাক্রম্যতা বলতে কি বোঝো?
উত্তর:
ইমিউনিটি বা অনাক্রম্যতা হলো দেহের একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, পরজীবী বা অন্য যেকোনো ক্ষতিকর বস্তু থেকে দেহকে রক্ষা করে।
-
প্রধান দিক:
-
দেহের অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষা কোষগুলো সক্রিয় হয়।
-
অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
-
সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক হয়।
-
উল্লেখযোগ্য: ইমিউনিটি দেহকে স্বাভাবিকভাবে সুস্থ রাখে।
প্রশ্ন 6: ভ্যাকসিন বা টিকা বলতে কি বোঝো?
উত্তর:
ভ্যাকসিন হলো এমন একটি প্রস্তুত পদার্থ, যা কোনো নির্দিষ্ট রোগ প্রতিরোধের জন্য তৈরি।
-
দেহে প্রবেশ করলে তা রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: BCG টিকা যক্ষ্মা প্রতিরোধে।
-
কার্যকারিতা: টিকাকরণের মাধ্যমে কৃত্রিম সক্রিয় অনাক্রম্যতা সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন 7: রোগ বা ডিজিস বলতে কী বোঝো?
উত্তর:
রোগ হলো দেহের গঠনগত ও কার্যগত অস্বাভাবিকতা, যা শারীরিক বা মানসিকভাবে লক্ষণ দেখায়।
-
সাধারণ লক্ষণ: জ্বর, দুর্বলতা, ব্যথা।
-
উদাহরণ: নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া।
প্রশ্ন 8: টীকা করনের গুরুত্ব লেখ।
উত্তর:
-
দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
-
নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে।
-
কৃত্রিম সক্রিয় অনাক্রম্যতা সৃষ্টি হয়।
উল্লেখযোগ্য: শিশুদের ও প্রবীণদের জন্য টিকাকরণ জীবনরক্ষাকারী।
প্রশ্ন 9: জৈবিক নিয়ন্ত্রণে একটি প্রোটোজোয়া ও একটি ব্যাকটেরিয়ার নাম লেখ।
উত্তর:
-
প্রোটোজোয়া: নোসেমা
-
ব্যাকটেরিয়া: আজোস্পিরিলাম
ব্যাখ্যা: এরা উদ্ভিদ বা পতঙ্গের ক্ষতিকর প্রজাতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহারযোগ্য।
প্রশ্ন 10: কিভাবে AIDS সংক্রমণ ঘটে?
উত্তর:
AIDS সংক্রমণের প্রধান উপায়গুলো –
-
যৌন সংস্পর্শ: HIV আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে অবাধ যৌন সম্পর্ক।
-
রক্ত গ্রহণ: HIV পজিটিভ রক্ত, সিরিঞ্জ, ব্লেড, রেজার ইত্যাদি ব্যবহার।
-
মাতৃদেহ থেকে শিশুতে সংক্রমণ: প্লাসেন্টার মাধ্যমে।
উল্লেখযোগ্য: সংক্রমণ প্রতিরোধে নিরাপদ যৌন জীবন এবং রক্ত/সরঞ্জামের পরিচ্ছন্নতা জরুরি।
📝 রচনাধর্মী / বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নোত্তর (5 Marks)
Chapter 4 – Jibbidya O Manobkolyan, Class 9, WB
প্রশ্ন 1: যক্ষা রোগের লক্ষণ গুলি আলোচনা করো।
উত্তর:
যক্ষা (Tuberculosis) হলো বায়ুবাহিত ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ, যা Mycobacterium tuberculosis নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে সৃষ্ট।
-
সংক্রমণের পদ্ধতি:
-
যক্ষা রোগ আক্রান্ত ব্যক্তির নাক-মুখ থেকে হাঁচি, কাশি বা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
-
সুস্থ ব্যক্তির নাক-মুখের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া দেহে প্রবেশ করলে সংক্রমণ ঘটে।
-
-
রোগের লক্ষণ:
-
জ্বর: রোগীর বারবার জ্বর হয়, যা সাধারণত সন্ধ্যার দিকে বেশি থাকে।
-
কাশি ও কফ: সারাক্ষণ কাশি দেখা দেয় এবং কাশির সঙ্গে কফ বের হয়; অনেক সময় কফের সঙ্গে রক্তও বের হতে পারে।
-
ব্যথা: আক্রান্ত জায়গায় হালকা বা মাঝারি ব্যথা থাকে।
-
ওজন কমা ও দুর্বলতা: ধীরে ধীরে রোগীর ওজন কমতে থাকে এবং দেহ শীর্ণকায় হয়।
-
ক্ষুধাহীনতা: রোগীর খিদে কমে যায় এবং দুর্বল হয়ে যায়।
-
উল্লেখযোগ্য: যক্ষা দীর্ঘমেয়াদী সংক্রমণ ঘটায়, তাই দ্রুত চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জরুরি।
প্রশ্ন 2: অণুজীব সার বা বায়োফার্টিলাইজার বলতে কী বোঝো? অণুজীব সারের ব্যবহার ও সমস্যাগুলো আলোচনা করো।
উত্তর:
অণুজীব সার বা বায়োফার্টিলাইজার:
-
এমন সক্রিয় জীবাণু (ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল, ছত্রাক), যা জমির উর্বরতা বাড়ায়।
-
তারা শস্য ও ফসলের পুষ্টি সরবরাহ করে এবং গাছের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
-
পরিবেশের ক্ষতি না করে প্রাকৃতিক উপায়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
ভারতে ব্যবহারের সমস্যা:
-
সর্বোচ্চ অণুজীব সার সহজলভ্য নয়।
-
ভারত উষ্ণ জলবায়ুর দেশ, যেখানে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অণুজীব দ্রুত ক্ষয় হয়।
-
সাধারণ জনগণের মধ্যে অণুজীব সার ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা কম।
ভারতে সম্ভাবনা:
-
বিজ্ঞান ও গবেষণার উন্নতির ফলে অণুজীব সার ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
-
অণুজীব সারের খরচ কম এবং কার্যকারিতা বেশি, তাই কৃষকের জন্য এটি লাভজনক।
-
দীর্ঘমেয়াদে সরাসরি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি নিশ্চিত করবে।
প্রশ্ন 3: মানব কল্যাণে জীবাণুদের পাঁচটি ভূমিকা উল্লেখ করো।
উত্তর:
জীবাণু শুধুমাত্র ক্ষতি করে না, তারা মানুষের উপকারেও আসে। মানব কল্যাণে জীবাণুদের প্রধান ভূমিকা হলো –
-
দুধজাত পণ্য উৎপাদন:
-
দই, পনির, মাখন, ঘোল ইত্যাদি তৈরিতে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হয়।
-
-
মদ ও অন্যান্য পানীয় উৎপাদন:
-
ফলের রস, খেজুরের রস ইত্যাদি ব্যবহার করে মদ তৈরি করা হয়।
-
এই প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন রকমের জীবাণুর (yeast বা ব্যাকটেরিয়া) ব্যবহার হয়।
-
-
অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন:
-
বিভিন্ন ধরনের জীবাণু থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ উৎপাদন করা হয়।
-
যেমন: পেনিসিলিন উৎপাদনে Penicillium ছত্রাক ব্যবহৃত হয়।
-
-
ভ্যাকসিন উৎপাদন:
-
যক্ষা, কলেরা, প্লেগ, টিটেনাস, হুপিং কাশি ইত্যাদির টিকা তৈরিতে মৃত বা নিষ্ক্রিয় জীবাণু ব্যবহার হয়।
-
-
ভিটামিন উৎপাদন:
-
কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন ভিটামিন যেমন B-complex, ভিটামিন C উৎপাদনের জন্য ব্যাকটেরিয়া ব্যবহৃত হয়।
-
উল্লেখযোগ্য: জীবাণু মানব জীবনে বিভিন্নভাবে অপরিহার্য ও উপকারী।